বুধবার, ২৭ আগস্ট ২০২৫ ।। ১১ ভাদ্র ১৪৩২ ।। ৪ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
মৃত ব্যবসায়ীর কবরে গিয়ে ক্ষমা চাইল জাপানি পুলিশ ও কৌঁসুলিরা গণ-অভ্যুত্থানে আহতদের চিকিৎসা দিতে চাওয়ায় ৫ ডাক্তারকে বদলি করা হয়েছিল  গাজায় যুদ্ধবিরতির দাবিতে ইসরাইলে বিক্ষোভ, সড়ক অবরোধ কোনো অদৃশ্য শক্তি সরকারকে প্রভাবিত করছে : পীর সাহেব চরমোনাই গুলশানে কবি আল মাহমুদ পাঠাগার উদ্বোধন চাঁদাবাজি নতুন বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থানের প্রধান বাধা: ইসলামী আন্দোলন ডাকসু নির্বাচনের প্রচারণার প্রথম দিনেই হিজাব পরিহিত নারী প্রার্থীদের প্রতি আক্রোশ বিএনপি নেতা ফজলুর রহমানের পদ ৩ মাসের জন্য স্থগিত বিএনপির শোকজের দীর্ঘ জবাব দিলেন ফজলুর রহমান জুলাই শহীদ পরিবারে সরকারি অনুদান বণ্টনে নতুন বিধিমালা জারি

সেপ্টেম্বরে এক যুগের মধ্যে সর্বোচ্চ মূল্যস্ফীতি

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: আগস্টের ৫ তারিখে হঠাৎ দেশে জ্বালানি তেলের দাম বাড়িয়ে প্রায় দ্বিগুণ করা হয়। এর প্রভাব পড়ে দেশের গড় মূল্যস্ফীতিতে। ফলে নিত্যপ্রয়োজনীয় সব পণ্যের দাম বাড়ে।

আগস্ট মাসে গড় মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়ায় ৯ দশমিক ৫ শতাংশ, অবশ্য পরের মাসে অর্থাৎ সেপ্টেম্বরে কিছুটা কমে ৯ দশমিক ১ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। তবে তা ১২ বছর বা এক যুগের মধ্যে সর্বোচ্চ।

গত কয়েক মাস ধরেই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের অজুহাত দেখিয়ে দেশের ব্যবসায়ীরা নিত্যপণ্যের দামি বাড়িয়ে দেন। এতে সাধারণ ভোক্তারা বিপাকে পড়েন।

জুনে মূল্যস্ফীতি ৭ দশমিক ৫৬ শতাংশ হলেও, জুলাইয়ে কিছুটা কমে ৭ দশমিক ৪৮ শতাংশে অবস্থান করছিল।শুধু দেশেই নয়, সারাবিশ্বে মূল্যস্ফীতি এখন আলোচিত একটি বিষয়।

বাংলাদেশে সাধারণত প্রতিমাসেই গড় মূল্যস্ফীতির হালনাগাদ প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। কিন্তু গত দুই মাসে কোনো হালানাগাদ তথ্য দিতে পারেনি পরিসংখ্যান ব্যুরো।

মূল্যস্ফীতি বেড়ে যাওয়া প্রসঙ্গে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম বুধবার গণমাধ্যমকে বলেন, ‘জ্বালানির মূল্য বৃদ্ধির কারণে আগস্ট মাসে মূল্যস্ফীতি আড়াই শতাংশ পয়েন্টের মতো বেড়ে ৯ দশমিক ৫ শতাংশে উঠেছিল। সেপ্টেম্বরে তা কমে ৯ দশমিক ১ শতাংশে নেমে এসেছে।’

তিনি জানান, মূল্যস্ফীতির হালনাগাদ তথ্য পাওয়া গেছে। গত আগস্ট মাসে পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে (মাসওয়ারি বা মাসভিত্তিক) দেশে সার্বিক মূল্যস্ফীতির পারদ ৯ দশমিক ৫ শতাংশে উঠেছিল; সেপ্টেম্বরে তা কমে ৯ দশমিক ১ শতাংশে নেমে এসেছে।

দেশের মূল্যস্ফীতির তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, সর্বশেষ সেপ্টেম্বর মাসের গড় মূল্যস্ফীতি ৯ দশমিক ১ শতাংশে থাকলেও তা ১২ বছর বা এক যুগের মধ্যে সর্বোচ্চ। এর আগে ২০১০-১১ অর্থবছরে দেশের গড় মূল্যস্ফীতির হার ছিল ১০ দশমিক ৯২ শতাংশ। এরপর আর এ সূচক ৯ শতাংশের ওপরে ওঠেনি।

পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রীর দেয়া তথ্য অনুযায়ী, দেশে দেশে মূল্যস্ফীতির হার এখন ৯ দশমিক ১ শতাংশ। এর অর্থ হলো গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে দেশের মানুষ যে পণ্য বা সেবা ১০০ টাকায় পেয়েছিলেন, এ বছর সেপ্টেম্বর মাসে তা কিনতে ১০৯ টাকা ১০ পয়সা খরচ করতে হয়েছে। আগস্টে একই পরিমাণ পণ্য কিনতে তাদের লেগেছিল ১০৯ টাকা ৫০ পয়সা।

গত জুলাইয়ে দেশে সার্বিক মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৭ দশমিক ৪৮ শতাংশ। এক মাসের ব্যবধানে সেটা আড়াই শতাংশ পয়েন্টের মতো বেড়ে আগস্টে ৯ দশমিক ৫০ শতাংশে উঠেছিল। সেপ্টেম্বরে তা কমে ৯ দশমিক ১ শতাংশে নেমে এসেছে।

মঙ্গলবার পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান আগারগাঁওয়ে এনইসি সম্মেললন কেন্দ্রে এক সভা শেষে মূল্যস্ফীতি প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের বলেছিলেন, মূল্যস্ফীতির মূল বার্তা হচ্ছে কমেছে এবং ভালো পরিমাণে কমেছে। একজন ভোক্তা হিসেবে বলতে পারি এ মাসে আরো কমবে।

-এটি


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ