রবিবার, ২৪ আগস্ট ২০২৫ ।। ৯ ভাদ্র ১৪৩২ ।। ১ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
চান্দিনার মাধাইয়া ও কেরনখাল ইউনিয়নে ইসলামী আন্দোলনের কর্মী সভা অনুষ্ঠিত ময়মনসিংহ-২ আসনে খেজুর গাছ নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন মাওলানা আবু রায়হান মক্কী ১৪০০ বছর আগের সাহাবি যুগের ‘হারানো মসজিদ’! ইসলামী যুব মজলিস মৌলভীবাজার জেলা শাখা পুনর্গঠন; সভাপতি এহসান, সেক্রেটারি আতহার বাংলাদেশ খেলাফত ছাত্র মজলিসের প্রাক্তন কেন্দ্রীয় দায়িত্বশীল পুনর্মিলনী সন্ধ্যায় বসছে কমিটি, দেখা যেতে পারে রবিউল আউয়ালের চাঁদ ১৪৮ আসনে জমিয়তের প্রার্থী যারা ঢাকায় আজ যেসব কর্মসূচি রয়েছে ফরিদপুরে সতন্ত্রপ্রার্থী মুজাহিদ বেগের উদ্যোগে চক্ষু চিকিৎসা সেবা পেল হাজারো মানুষ ড. সরোয়ার ও মাহতাবকে হত্যার হুমকিদাতাকে গ্রেফতার করতে হবে: জাতীয় শিক্ষক ফোরাম

খাদ্যদ্রব্যের উৎপাদন-অবৈধ মজুতে ৫ বছরের জেল, ১০ লাখ টাকা জরিমানা

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: খাদ্যদ্রব্যের উৎপাদনে অনিয়ম ও অবৈধ মজুতে সর্বোচ্চ ৫ বছর কারাদণ্ড ও ১০ লাখ টাকা জরিমানার বিধান রেখে ‘খাদ্যদ্রব্যের উৎপাদন, মজুত, স্থানান্তর, পরিবহন, সরবরাহ, বিতরণ ও বিপণন (ক্ষতিকর কার্যক্রম প্রতিরোধ) আইন ২০২২’ এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

নিরাপদ খাদ্য আদালতে এসব বিচার হবে। তবে ভ্রাম্যমাণ আদালতেও বিচারের সুযোগ থাকছে। সোমবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠকে আইনের খসড়াটি অনুমোদন দেওয়া হয়।

পরে সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্ত জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।

প্রস্তাবিত আইনানুযায়ী, খাদ্যদ্রব্যের সঙ্গে অতিরিক্ত ক্ষতিকর কিছু মিশিয়ে উৎপাদন করা, নির্দিষ্ট সময়ের বেশি মজুত করা, কর্মসূচির নামাঙ্কিত বা বিতরণকৃত এমন চিহ্ন যুক্ত ছাড়া সরকারি খাদ্যগুদাম থেকে খাদ্যশস্য ভর্তি বস্তা গ্রহণ, স্থানান্তর, মজুত করা, হাত বদল বা পুনরায় বিক্রি করা ইত্যাদি অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হবে।

সরকারি কোনো কর্মসূচির আওতায় নির্ধারিত পরিমাণের চেয়ে কম বিতরণ করা, সরকারি খাদ্য সামগ্রী বিক্রি বা বিতরণের জন্য বিএসটিআই নির্ধারিত বাটখারা বা মাপ ব্যবহার না করে হেরফের করলেও শাস্তি পেতে হবে।

মন্ত্রিসভার বৈঠকে যত্রতত্র ও অপরিকল্পিতভাবে শিল্প স্থাপন যাতে না হয় সে বিষয়ে যৌথভাবে একটি ধারণাপত্র তৈরি করতে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় এবং স্থানীয় সরকার বিভাগকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আগামী তিন মাসের মধ্যে সুপারিশসহ এই ধারণাপত্র মন্ত্রিসভায় উপস্থাপন করতে বলা হয়েছে।

মন্ত্রিসভার বৈঠকে আটিয়া বন (সংরক্ষণ) আইন উপস্থাপন করা হলেও সেটি অনুমোদন দেওয়া হয়নি। মন্ত্রিসভা সিদ্ধান্ত দিয়েছে, টাঙ্গাইলে অবস্থিত ওই বনের জায়গার বিষয়ে একটি ডিজিটাল জরিপ করবে ভূমি মন্ত্রণালয়। আগামী চার-পাঁচ মাসের মধ্যে এই জরিপ শেষ করার পর এই আইনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে।

মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের হার ৮৯ শতাংশ আজকের বৈঠকে মন্ত্রিসভার গৃহীত সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের চিত্র তুলে ধরা হয়। এ সংক্রান্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৯ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২২ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্তের ৮৯ শতাংশ বাস্তবায়িত হয়েছে। বাকি ১১ শতাংশ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নাধীন আছে। এই সময়ের মধ্যে মন্ত্রিসভায় মোট ৭৪৮টি সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এর মধ্যে, ৬৬৬টি বাস্তবায়িত হয়েছে।

-এটি


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ