বুধবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৫ ।। ১৩ কার্তিক ১৪৩২ ।। ৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
ঢাবিতে একটা সময় গোপনে নামাজ পড়তে হতো: আজহারুল ইসলাম বাংলাদেশের জাকাত ব্যবস্থাপনা অনুসরণ করতে চায় মালদ্বীপ হাজিদের ভালো সার্ভিস দিতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র চলছে, প্রতিহত করা হবে: মাওলানা ইউসুফী বাংলাদেশে নির্বাচন পর্যবেক্ষক দল পাঠাবে ইইউ: রাষ্ট্রদূত মিলার শুরু হচ্ছে আন্তর্জাতিক পর্যটন মেলা বিটিটিএফ, অংশ নিচ্ছে ১২ দেশ যারা নির্বাচনের দিন গণভোট চায় তারা জুলাই সনদকে অকার্যকর করতে চায়: মিয়া গোলাম পরওয়ার মুয়াজ্জিন কল্যাণ সমিতি সিলেট উদ্যোগে তাফসিরুল কুরআন মহাসম্মেলন খুলনা ২ আসনে হাতপাখা প্রার্থী মুফতী আমানুল্লাহ'র গণসংযোগ রাবি শিক্ষকের হিজাব নিয়ে কটাক্ষের প্রতিবাদে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে মানববন্ধন

ঈদে ধাপে ধাপে ঢাকা ছাড়ার পরামর্শ

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: ঈদুল ফিতরে এবার প্রায় দ্বিগুণ মানুষ গ্রামের বাড়ি যাবে। ঢাকা ছাড়বে প্রায় কোটি মানুষ। এ সময় তীব্র যানজট আর সড়কে নানা ঝক্কি-ঝামেলায় চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়। তাই ভোগান্তি কমাতে পরিবারের সদস্যদের একসাথে নয়, ধাপে ধাপে ঢাকা ছাড়ার পরামর্শ দিয়েছেন বুয়েটের অধ্যক্ষ ও দুর্ঘটনা গবেষণা প্রতিষ্ঠানের পরিচালক ড. মোহম্মদ হাদিউজ্জামান।

রোববার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ পরামর্শ দেন।

হাদিউজ্জামান বলেন, ঈদকে সামনে রেখে গড়ে প্রতিদিন ৩০ লাখ মানুষ ঢাকা ছেড়ে যান। কিন্তু পরিবহনগুলোর যাত্রী পরিবহনের সক্ষমতা রয়েছে মাত্র ১৫ লাখ। তাই ঢাকায় বিশেষ কোনো কাজ না থাকলে পরিবারের অর্ধেক সদস্যের ২০ রোজার পরপরই ঢাকা ছেড়ে যাওয়া ভালো। এতে ভোগান্তি কমবে। আর যাদের কাজ রয়েছে তাদের ২৭ রোজার মধ্যে ঢাকা ছাড়ার পরামর্শ দেন তিনি।

তিনি বলেন, যে ৩০ লাখ মানুষ ঢাকা ছাড়বেন তারমধ্যে বাসে আট লাখ, ট্রেনে এক লাখ, লঞ্চে দেড় লাখ, ব্যক্তিগত গাড়িতে চার লাখ ও বাইক রাইড করে চার লাখ লোক ঢাকা ছাড়বেন। বাকি ১৫ লাখ লোক ঝুঁকি নিয়ে কভার্ড ভ্যান, ট্রেনের ছাদেসহ বিভিন্ন উপায়ে গ্রামের বাড়ি যাওয়ার চেষ্টা করবেন।

সংবাদ সম্মেলনে যাত্রী কল্যাণ সমিতির সভাপতি মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, ‘এবারের ঈদে এক কোটির বেশি মানুষ বিভিন্ন জেলায় যাবে। প্রায় পাঁচ কোটি মানুষ এক জেলা থেকে অপর জেলায় যেতে পারে।’

তিনি বলেন, ‘প্রতিবছর ঈদে গ্রামের বাড়িতে ছুটে চলা এবং ছুটি শেষে আবারো ফিরে আসা মানুষগুলোর কাছে সবচেয়ে বড় ভোগান্তির নাম গণপরিবহন। হোক তা মহাসড়ক, রেল কিংবা নৌপথ। ঈদকে কেন্দ্র করে প্রতি বছরের চিত্র প্রায় একই। গত দুই বছর করোনার কারণে মানুষের এই যাতায়াত খানিকটা কম হলেও এবার প্রায় দ্বিগুণ মানুষ গ্রামের বাড়ি যাবে।’

বিশেষজ্ঞেরা বলেন, ঈদকে কেন্দ্র করে মহাসড়কে যানজট এবং চাঁদাবাজি বন্ধে প্রয়োজনীয় উদ্যোগের পাশাপাশি বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে নৌ-যাত্রায়। কেননা, ঈদের সময় কালবৈশাখী ঝড়ের আশঙ্কা প্রবল। আর, রেলের টিকেট কালোবাজারি ও শিডিউল বিপর্যয়ের কাটিয়ে উঠতে না পারলে ভোগান্তির মাত্রা আরো বাড়তে পারে। তাই তিন যোগাযোগ মাধ্যমকে সমন্বিতভাবে সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে ঈদযাত্রায় নির্বিঘ্ন করার দাবি সংশ্লিষ্টদের।

এনটি


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ