মঙ্গলবার, ০১ জুলাই ২০২৫ ।। ১৭ আষাঢ় ১৪৩২ ।। ৬ মহর্‌রম ১৪৪৭


কাশ্মীর নিয়ে মাহমুদের বক্তব্য একান্ত ব্যক্তিগত: মাওলানা আরশাদ মাদানী

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

নুরুল্লাহ্ আশরাফী
দেওবন্দ থেকে

দেওবন্দ মাদরাসার মুহাদ্দিস ও জমিয়ত উলামায়ে হিন্দের প্রেসিডেন্ট মাওলানা আরশাদ মাদানী বলেন, মাওলানা মেহমুদ (মাহমুদ) যা বলেছে সেটা তার ব্যক্তিগত বক্তব্য। তার বক্তব্যের ব্যাপারে কিছু জানতে চাইলে, তাকেই গিয়ে জিজ্ঞেস করো!

সোমবার দেওবন্দে তিরমিজি শরীফের দরসে সম্প্রতি কাশ্মীর ইস্যুতে ভারতীয় মুসলমানদের সর্ববৃহৎ সামাজিক সংগঠন জমিয়তে উলামা হিন্দের জেনারেল সেক্রেটারি মাওলানা সাইয়্যিদ মাহমুদ মাদানীর ‘বিতর্কিত’ বক্তব্যের ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি এ কথা বলেন।

প্রসঙ্গত, 'পাকিস্তান এখন কাশ্মীরি জনগণের রক্ষাকবচ হিসেবে নিজেদের পরিচিত করে উপত্যকাকে ধ্বংস করতে চাইছে। সেক্ষেত্রে মোদী সরকারের ৩৭০ ধারা বিলোপের সিদ্ধান্ত একদমই সঠিক। ’

মাওলানা মাহমুদ মাদানীর এমন বক্তব্যের পর উপমহাদেশের ধর্মীয় মহলে তাকে নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। অনেকে বলছেন, কাশ্মীরিদের উপর যে অত্যাচর চলছে, এই  বক্তব্যর মাধ্যমে মাওলানা মাদানী সেই অত্যাচার সমর্থন করছেন!

তিরমিজি শরীফের ওই দরসে এক কাশ্মীরি ছাত্র চিঠির মাধ্যমে কাশ্মীরের বর্তমান অবস্থা নিয়ে মাওলানা আরশাদ মাদানীর অবস্থান জানতে চাইলে তিনি বলেন, দেখো ভাই! কাশ্মীর সমস্যা একটা জাতীয় সমস্যা। এবং এটা আল্লাহ্ তাআ'লার পক্ষ থেকে আমাদের জন্য একটা বড় পরিক্ষা।

তিনি আরও বলেন, কাশ্মীরে আমাদের মুসলমান ভাই-বোনদের উপর সীমাহীন জুলুম নির্যাতন হচ্ছে। আর আমরা এই মুহুর্তে তাদের জন্য আল্লাহ্ তাআ'লার দরবারে ফরিয়াদ ছাড়া আর কি'ইবা করতে পারি?

কাশ্মীর সংকটের যুদ্ধের মাধ্যমে সম্ভব নয় বলেও মন্তব্য করেন তিনি। এই সংকটের সমাধান আলোচনার মাধ্যমেই করতে হবে বলে মতামত দেন মাদানী।

এরপর মাওলানা আরশাদ মাদানী দাওরায়ে হাদিসের ছাত্রদের নিয়ে কাশ্মীরী মুসলমানদের জন্য বিশেষ মুনাজাত করেন।

উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) নয়াদিল্লিতে জমিয়োতে উলামায়ে হিন্দের আয়োজিত বার্ষিক সভায় সংগঠনটির নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেন, 'আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস, সংবিধান সংশোধনের মাধ্যমে ভারতের সঙ্গে জম্মু ও কাশ্মীরের বন্ধন আগের চেয়ে আরও মজবুত হয়েছে। আর এভাবেই ভারতের সঙ্গে সার্বিক ঐক্য সৃষ্টি করে কাশ্মীরিদের উন্নতি লুকিয়ে আছে।'

মাহমুদ মাদানি বলেছেন, 'পাকিস্তান এখন কাশ্মীরি জনগণের রক্ষাকবচ হিসেবে নিজেদের পরিচিত করে উপত্যকাকে ধ্বংস করতে চাইছে। সেক্ষেত্রে মোদী সরকারের ৩৭০ ধারা বিলোপের সিদ্ধান্ত একদমই সঠিক। কাশ্মীর থেকে বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহার করা হলেও অঞ্চলটি আমাদেরই থাকবে। না তুলে নিলেও তা পুরোপুরি আমাদের। জম্মু ও কাশ্মীরের অধিবাসী মানেই ভারতীয়। তারা ভারতের বাহিরের কেউ নয়।'

আরএম/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ