সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫ ।। ১৫ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ৩০ শাওয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
ভারতের বিশিষ্ট আলেম মাওলানা সাইয়িদ মুহাম্মাদ আকিল মাযাহেরি আর নেই আগামী মাসের শুরুতেই শেখ হাসিনার বিচার : প্রধান উপদেষ্টা বজ্রপাতে প্রাণ গেল মাদরাসা শিক্ষকের ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা হলেই শান্তি প্রতিষ্ঠা হবে: নূরুল ইসলাম বুলবুল প্রস্তুতি সম্পন্ন, রাতে শুরু হচ্ছে হজ ফ্লাইট ফ্রান্সে মসজিদে ঢুকে মুসল্লিকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাতে হত্যা ভারতীয় মুসলিমদের পাকিস্তানিদের সঙ্গে তুলনা উচিত নয়: বিজেপি বিধায়ক মুফতী ফয়জুল করীমের মেয়রের চেয়ারে বসা আটকে আছে কোথায়? মোদি ইসরায়েলের পক্ষে, ইসলাম-মুসলমানের শত্রু: মাওলানা ফজলুর রহমান কিশোরগঞ্জে হাওরে ইসলামী আন্দোলনের শরবত বিতরণ

এক পরিবারে ৪৮ জন হাফেজ

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

পটুয়াখালীতে একই পরিবারে ৪৮ জন হাফেজ

এক পরিবারের ৪৮ সদস্যের সবাই হাফেজ। ‍শুনতে আশ্চর্যজনক মনে হলেও ঘটনা সত্য। ঘটনাটি পটুয়াখালী জেলার বাউফলের বাশবাড়িয়া গ্রামের শাহজাহান হাওলাদারের (৬৮) পরিবারের।

শাহজাহান হাওলাদার সাধারণ শিক্ষায় শিক্ষিত। বাউফল সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেছেন। তিনি এলাকায় প্রতিষ্ঠা করেছেন ছয়টি হাফেজি মাদরাসা।

পবিত্র কোরআনের হাফেজ বানিয়েছেন নিজের ছেলেমেয়েসহ পরিবারের অন্যদের। তাদের বিয়েও দিয়েছেন হাফেজদের সঙ্গে। সব মিলিয়ে পরিবারের এখন ৪৬ জন হাফেজ। বাড়ির ছোটরাও একই পথে হাঁটছেন।

শাহজাহান হাওলাদার বলেন, বাবা (নুর মোহাম্মদ হাওলাদার) ছিলেন ধর্মপ্রাণ মুসলমান। তিনি হজ করেছেন। এমনকি হজ পালনরত অবস্থায় ইন্তেকাল করেছেন তিনি। বাবা হাফেজদের খুব ভালোবাসতেন।

এ কারণেই তিনি লক্ষ স্থির করেন, পরিবারের সবাইকে হাফেজি পড়াবেন। সেই সূত্র ধরে আত্মীয়তাও করেছেন হাফেজদের সঙ্গে। সে লক্ষ্যে তিনি নিজের ছয় ছেলে ও চার মেয়েকে হাফেজি পড়ান। পরে ছেলে-মেয়েদের বিয়েও দিয়েছেন হাফেজদের সঙ্গে। এরপর তার ইচ্ছে অনুযায়ী, তার ছেলেমেয়েরাও তাদের সন্তানদের হাফেজি পড়িয়েছেন ও পড়াচ্ছেন।

শাহজাহান হাওলাদারের মেজো ছেলে হাফেজ মাওলানা নুর হোসেন বলেন, আমিসহ আমার বাবার ছয় ছেলে ও চার মেয়ের মধ্যে এক ছেলে ও এক মেয়ে সৌদি আরব থাকে। বাকি সবাই ব্যবসার পাশাপাশি হাফেজি মাদরাসায় শিক্ষাকতা ও মসজিদের খতিবের দায়িত্ব পালন করছি।

ছয় ছেলের ২৮ সন্তান এবং চার মেয়ের ২৩ সন্তান রয়েছে। এরই মধ্যে তাদের ২৭ জন পবিত্র কোরআনের হাফেজ হয়েছে। বাকিরা হাফেজি পড়ছেন।

শাহজাহান হাওলাদার জানান, এলাকায় ছয়টি মাদরাসা স্থাপন করেছি। এর মধ্যে তিনটি ছেলেদের ও তিনটি মেয়েদের।

এছাড়া বরিশালের আলেকান্দা এলাকায় মেয়েদের জন্য নুর জাহান বেগম হাফেজি মাদরাসা ও কামরাঙ্গীরচর ঢাকায় দারুল আখরাম নুরানি হাফেজি মাদরাসাও স্থাপন করেছেন তিনি।

ছেলেদের মাদরাসা পরিচালনা করেন তার ছেলেরা ও মেয়েদের মাদরাসা পরিচালনা করেন তার মেয়ে ও ছেলের বউরা। আমার যা ছিল তার সব কিছু মাদরাসা স্থাপন ও বর্তমান খরচ পরিচলনায় খরচ করি। তারপরেও মাদরাসার সকল খরচ পোশাতে পারি না। এ জন্য সরকার যদি এতিম ছেলে-মেয়েদের জন্য সহায়তা করতেন তাহলে ভালো হতো।

১২নং বাউফল সদর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মুহা. জসিম উদ্দিন খান বলেন, শাহজাহান হাওলাদারের পরিবারের সবাই ধার্মিক ও বিনয়ী। পরিবারের সবাইকে হাফেজ বানিয়ে এক বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন তিনি।

পোশাক কোথাও বাধা নয়, সমস্যাও নয়, সমস্যা হলো দৃষ্টিভঙ্গির: আবদুস সাত্তার আইনী

এক লাখ মাদরাসায় টয়লেট তৈরি করবে মোদি সরকার


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ