আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে পরিচালিত প্রশাসনের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
সোমবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মাজারে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন। এর আগে নীলফামারী জেলা বিএনপির নবগঠিত কমিটির নেতাদের সঙ্গে নিয়ে মাজারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান তিনি।
রিজভী বলেন, আগামী ফেব্রুয়ারিতে যে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে, তা অবাধ ও সুষ্ঠু হওয়া প্রত্যাশিত। কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে সেটা সম্ভব নয়। সরকার ১৬ হাজার ৩৮৯ জন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগ দিয়েছে, যাদের মধ্যে ৫৫ থেকে ৬০ শতাংশ আওয়ামী লীগের কর্মী বা সমর্থক। এরা যদি পোলিং এজেন্ট, পোলিং অফিসার বা প্রিজাইডিং অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন, তাহলে নিরপেক্ষ ভোট আশা করা যায় না। এই নিয়োগে মেধা নয়, দলীয় পরিচয়কেই প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আমরা চাই নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্বে যারা থাকবেন, তারা যেন নিরপেক্ষ থাকেন। দলীয়করণ থেকে বেরিয়ে না আসলে সুষ্ঠু নির্বাচন কখনোই সম্ভব নয়।
নির্বাচন পদ্ধতিতে প্রপোরশনাল রিপ্রেজেন্টেশন (পিআর) ব্যবস্থা চালুর বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে রিজভী বলেন, "জনগণ এখনও পিআর পদ্ধতি সম্পর্কে পর্যাপ্তভাবে জানে না। তারা জানেই না এটা কীভাবে কাজ করে। যাঁরা এ ব্যবস্থা চালুর কথা বলছেন, তাদের উদ্দেশ্য কী, সেটাও স্পষ্ট নয়। আমরা কিছু ধারণা করতে পারলেও প্রকাশ করছি না। তবে জনগণ যেন সরাসরি তাদের প্রতিনিধি নির্বাচন করতে পারে, সেটা নিশ্চিত করাই সুষ্ঠু গণতন্ত্রের পথ। এই মুহূর্তে পিআর পদ্ধতি উপযুক্ত নয়।”
সরকারবিরোধী চক্রান্ত বিষয়ে রিজভী বলেন, "বর্তমানে স্বৈরাচারী শক্তির দোসররা দেশে নাশকতার চেষ্টা চালাচ্ছে। তারা বিভিন্ন স্থানে গোপনে অবস্থান নিয়ে সামরিক প্রশিক্ষণ নিচ্ছে। এ ঘটনায় ইতোমধ্যে একজনকে গ্রেফতারও করা হয়েছে।"
আসন্ন ডাকসু নির্বাচন নিয়ে তিনি বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ছাত্র প্রতিনিধিত্ব থাকা জরুরি। বিভিন্ন মত ও পথের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত হলে শিক্ষাঙ্গনে গণতান্ত্রিক পরিবেশ বজায় থাকবে।”
এমএইচ/