বৃহস্পতিবার, ১৪ আগস্ট ২০২৫ ।। ৩০ শ্রাবণ ১৪৩২ ।। ২০ সফর ১৪৪৭

শিরোনাম :
ভোলা কওমী ছাত্র ঐক্য পরিষদের নতুন কমিটি ঘোষণা ‘জুলাই সনদের সাংবিধানিক স্বীকৃতি না দিলে কোনো নির্বাচন হবে না’ ‘ইসলামপন্থীরা জুলাই অভ্যুত্থানে শুধু অংশ নেননি, তারা এর চিন্তাও নির্মাণ করেছেন’ ‘কওমি তরুণরা নানা অহেতুক কাজে জীবন খোয়াচ্ছেন’ ঘোষিত সময়েই নির্বাচন হতে হবে: দুদু দুদক সংস্কারে আইন প্রণয়ন ১-২ মাসের মধ্যে: আসিফ নজরুল দেশের ১১ অঞ্চলে ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের পূর্বাভাস খিদমাহ ব্লাড ব্যাংকের এক দশক উদযাপন কাল, প্রধান অতিথি ধর্ম উপদেষ্টা ভাঙ্গা পৌর শাখায় বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের নতুন কমিটি গঠন সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে আইনি ভিত্তি দিয়ে জুলাই সনদ প্রণয়ন করতে হবে: খেলাফত মজলিস

ঘোষিত সময়েই নির্বাচন হতে হবে: দুদু

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে ঘোষিত সময়ের মধ্যেই জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে হবে। তিনি সতর্ক করে দেন, দেশে ফ্যাসিবাদ আবার মাথা চাড়া দিয়ে উঠছে, যা গণতন্ত্রের জন্য অশুভ সংকেত।

বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অপরাজেয় বাংলাদেশ আয়োজিত ‘জাতীয় সংসদ নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে প্রতীকী যুব সমাবেশে’ প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

দুদু বলেন, “যথাসময়ে এবং ঘোষিত তারিখে নির্বাচন হওয়া জরুরি। লক্ষ্য করবেন, দেশের ভেতরে-বাইরে ফ্যাসিবাদী শক্তি ও তাদের দোসররা মিডিয়ায় যেভাবে কথা বলছে, চলাফেরা করছে, ইঙ্গিত দিচ্ছে—সবই গণতন্ত্রের জন্য অশুভ।”

তিনি আরও বলেন, “স্বৈরতন্ত্রের পতন হয়েছে মানে এই নয় যে, সবকিছু অর্জন হয়ে গেছে। গণতন্ত্রকে সুসংহত করতে একটি সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য নির্বাচন দরকার। আগামী ফেব্রুয়ারিতে সেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। জনগণ আশা করছে, এই সময়সীমা অতিক্রম করা যাবে না।”

বিএনপির এই নেতা উল্লেখ করেন, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ঐতিহাসিক নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতেই করার কথা বলেছেন, যা ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারির মধ্যে হবে—এ ব্যাপারে সবাই একমত। তবে, তিনি সতর্ক করে বলেন, “ফেব্রুয়ারি যেন কোনোভাবেই অতিক্রম না করে।”

গত তিনটি নির্বাচনের সমালোচনা করে দুদু বলেন, “শেখ হাসিনা শুধু গণতন্ত্রকে কবরস্থ করেননি, গণহত্যা চালিয়েছেন, তরুণ-তরুণীদের হত্যা করেছেন এবং দেশের সম্পদ বিদেশে পাচার করেছেন। গণহত্যার বিচার ও লুণ্ঠিত সম্পদ ফেরত আনার প্রক্রিয়া চলমান, এর মধ্যেই নির্বাচিত সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।”

তিনি আরও বলেন, “গণতন্ত্র ও নির্বাচন নিয়ে কেউ যদি টালবাহানা করে, তবে বুঝতে হবে তারা স্বৈরতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে চাইছে। গত ১৬ বছর তারেক রহমানের নেতৃত্বে দেশ ফ্যাসিবাদমুক্ত হয়েছে। এখন ঐক্যবদ্ধ থেকে নির্বাচিত সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের নেতৃত্বে।”

সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন অপরাজেয় বাংলাদেশ-এর সহ-সভাপতি এমএ আজাদ চয়ন। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বিএনপির ধর্মবিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম জামাল ও জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ। উপস্থিত ছিলেন বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য রহিমা শিকদার, অপরাজেয় বাংলাদেশের ঈসমাঈল হোসেন সিরাজীসহ আরও অনেকে।

এমএইচ/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ