সারাদেশে ‘জুলাই গণহত্যা’র শহীদদের স্মরণে বাংলাদেশ খেলাফত যুব মজলিসের উদ্যোগে কবর জিয়ারত ও শহীদ পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ কর্মসূচি পালিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ রায়েরবাজার বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে শহীদদের গণকবর জিয়ারত করেন এবং সেখান থেকে রায়েরবাজারের শহীদ হাসনাইন আহমদের বাসভবনে গিয়ে তাঁর পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
এসময় কেন্দ্রীয় সভাপতি মুহাম্মাদ জাহিদুজ্জামান বলেন, ‘জুলাইয়ের শহীদদের রক্ত বৃথা যায়নি। কিন্তু যারা এই গণহত্যার নির্দেশদাতা ও বাস্তবায়নকারী, তাদের আজও দৃষ্টান্তমূলক বিচার হয়নি—এরচে লজ্জার আর কিছু হতে পারে না। বিচারহীনতার এই সংস্কৃতিই আজ গোপালগঞ্জে নিষিদ্ধ আওয়ামী সন্ত্রাসীদের নতুন করে দুঃসাহস দেখাতে সাহায্য করছে।’
তিনি বলেন, ‘আজকের গোপালগঞ্জের বর্বরোচিত হামলা প্রমাণ করে, আওয়ামী ফ্যাসিবাদ এখনো সন্ত্রাস ও দখলবাজির নীতি থেকে সরে আসেনি। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও কঠোর প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিতে চাই—যুব মজলিস শহীদের রক্ত বৃথা যেতে দেবে না। আওয়ামী সন্ত্রাসীরা সাবধান হয়ে যান—দেশজুড়ে জনগণ জেগে উঠছে। এবার প্রতিরোধ হবেই।’
নেতৃবৃন্দ শহীদদের ‘জাতীয় বীর’ হিসেবে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দাবি করেন এবং শহীদ পরিবারকে পূর্ণ সম্মান ও পুনর্বাসনের দাবি জানান।
নেতারা বলেন, যে তরুণরা শহীদের মঞ্চে শহীদের মৃত্যু বরণ করেছে, তারা এ দেশের গর্ব। ইতিহাসে তাদের নাম স্বর্ণাক্ষরে লেখা হবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন যুব মজলিসের কেন্দ্রীয় সভাপতি পরিষদ সদস্য মওলানা আব্দুল্লাহ আশরাফ, মাওলানা জাকির হোসাইন, কেন্দ্রীয় তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা শহীদুল ইসলাম, ঢাকা মহানগর উত্তরের বাইতুল মাল বিভাগের সম্পাদক মোঃ বেলাল হোসেন সমাজ কল্যাণ বিভাগের সম্পাদক মোঃ সামিউল্লাহ শ্যামল, মাওলানা শাহিমুল ইসলাম প্রমুখ।
এছাড়াও নারায়ণগঞ্জ, নোয়াখালী, সিরাজগঞ্জ ও মোমেনশাহীতে জুলাই শহীদদের কবর জিয়ারত, শহীদ পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ কর্মসূচী পালিত হয়।
এসএকে/