বৃহস্পতিবার, ০৩ জুলাই ২০২৫ ।। ১৯ আষাঢ় ১৪৩২ ।। ৮ মহর্‌রম ১৪৪৭

শিরোনাম :
কওমী মাদরাসার ছাত্রদেরকে দেশ সচেতন  নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। জুলাই গণঅভ্যুত্থান ছিল নব্য ফেরাউনের বিরুদ্ধে গণবিস্ফোরণ: জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম ইউকে পাকিস্তানি সোশ্যাল মিডিয়া চ্যানেলের ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করল ভারত পি আর পদ্ধতি নির্বাচন : জনগণ কীভাবে দেখছে গাজায় ইসরায়েলি হামলায় হাসপাতাল পরিচালক নিহত সকালের নাশতা কেন জরুরি: স্বাস্থ্য সচেতনদের পরামর্শ আজ লালবাগে ইসলামী ঐক্যজোটের সাথে সমমনা ইসলামী দলসমুহের বৈঠক দারুল আরকাম মাদরাসার দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যু ! শিক্ষক সমিতির শোক প্রকাশ হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ, চান্দিনা উপজেলা শাখার কাউন্সিল অধিবেশন অনুষ্ঠিত ৷ চুয়াডাঙ্গা সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি যুবক নিহত

সার্বভৌমত্ব রক্ষায় জাতিসংঘের মানবাধিকার  কার্যালয় অনুমোদন বাতিল করুন: খেলাফত 

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

বাংলাদেশে জাতিসংঘ মানবাধিকার কার্যালয় স্থাপনের অনুমোদনকে দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ, জাতীয় স্বার্থ ও ইসলামী মূল্যবোধের বিরুদ্ধে সরাসরি আঘাত হিসেবে আখ্যায়িত করে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের জন্য সরকারের প্রতি দৃঢ় আহ্বান জানিয়েছে।

আজ সোমবার (৩০ জুন) এক যৌথ বিবৃতিতে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস-এর আমীর মাওলানা মুহাম্মাদ মামুনুল হক ও মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দীন আহমদ বলেন, জাতিসংঘের এ পদক্ষেপ এবং সরকারের পক্ষ থেকে এর অনুমোদন দেশের সার্বভৌমত্ব, রাজনৈতিক স্বকীয়তা ও ধর্মীয় পরিচয়ের জন্য গভীর উদ্বেগ ও শঙ্কার বিষয়। এধরনের তথাকথিত ‘মানবাধিকার কার্যালয়’ দেশের ধর্মীয়, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক জীবনে অযাচিত হস্তক্ষেপের পথ প্রশস্ত করবে।

নেতৃদ্বয় বলেন, অতীত অভিজ্ঞতা থেকে প্রমাণিত, জাতিসংঘের মানবাধিকার দপ্তর  মুসলিম দেশগুলোর ওপর পশ্চিমা রাজনৈতিক এজেন্ডা বাস্তবায়নের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে। তথাকথিত মানবাধিকারের নামে ইসলামী শরিয়াহ, পারিবারিক আইন, সামাজিক রীতিনীতি ও শিক্ষা ব্যবস্থার ওপর চাপ প্রয়োগের অপচেষ্টা একটি আন্তর্জাতিক চক্রান্তেরই অংশ। বাংলাদেশে একটি স্থায়ী কার্যালয় স্থাপন সেই চক্রান্তকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়ার শামিল।

তাঁরা আরও বলেন, দেশের মানুষ বিগত একযুগ ধরে ফ্যাসিবাদী দমন-পীড়নের শিকার হয়েছে। গুম-খুন, নির্যাতন, ভোটাধিকার হরণ, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা দমন এবং শাপলা চত্বরে সংঘটিত নির্মম গণহত্যার মতো মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় জাতিসংঘ ছিল নির্বিকার। অথচ এখন, যখন ফ্যাসিবাদী শাসনের পতনের মধ্য দিয়ে সুস্থ ধারার রাজনৈতিক বন্দোবস্তের সম্ভাবনা উঁকি দিচ্ছে, তখনই একটি তথাকথিত ‘মানবাধিকার অফিস’ খোলার মাধ্যমে দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নতুন করে হস্তক্ষেপের ক্ষেত্র তৈরি করা হচ্ছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশের ইতিহাসে বারবার প্রমাণিত হয়েছে—এই জাতি তার ধর্মীয় বিশ্বাস, সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও স্বাধীনতার প্রশ্নে কখনো আপস করেনি। ১৯৪৭ সালের দেশভাগ, ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ কিংবা সাম্প্রতিক জুলাই-আগষ্ট বিপ্লব —সবই এ দেশের মানুষ ও আলেম সমাজের ইসলামপ্রিয়তা, আত্মমর্যাদা ও স্বাধীনচেতা মনোভাবের উজ্জ্বল সাক্ষ্য বহন করে। এ প্রেক্ষাপটে জাতিসংঘের এ ধরনের হস্তক্ষেপমূলক উদ্যোগ একটি নতুন রাজনৈতিক-সাংস্কৃতিক আগ্রাসন ছাড়া কিছু নয়।

বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলে—দেশের সার্বভৌমত্ব, জাতীয় স্বার্থ ও ইসলামী তাহজিব-তামাদ্দুন রক্ষার্থে জাতিসংঘ মানবাধিকার কার্যালয়ের অনুমোদন অবিলম্বে বাতিল করুন। একই সঙ্গে দেশপ্রেমিক রাজনৈতিক দল, আলেম সমাজ, জাতীয়তাবাদী ও ইসলামপন্থী শক্তিসমূহ এবং বিবেকবান নাগরিকদের এই দেশবিরোধী অপচেষ্টার বিরুদ্ধে সর্বাত্মক প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানানো হচ্ছে।

এমএইচ/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ