মঙ্গলবার, ০৪ নভেম্বর ২০২৫ ।। ১৯ কার্তিক ১৪৩২ ।। ১৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
জুলাই আন্দোলনের অগ্রসেনানী নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীর বিরুদ্ধে মামলার নিন্দা ও প্রতিবাদ খুলনায় হাতপাখার সংসদ সদস্য প্রার্থীর নির্বাচন পরিচালনা কমিটির জরুরি বৈঠক সার্বিক উন্নয়ন ও ইসলামী মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠায় কাজ করতে চাই: হাফিজ ফখরুল ইসলাম ফরিদপুরে স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য পদপ্রার্থীর প্রচারণার গেট ও ব্যানার ভাঙচুর  জুলাই সনদের আইনি ভিত্তির জন্য নভেম্বরেই গণভোট দিতে হবে: এ টি এম মাছুম জামায়াত আমিরের আসনে বিএনপির প্রার্থী হলেন যিনি খালেদা জিয়াসহ ৯ নারী পেলেন বিএনপির মনোনয়ন ২৩৭ আসনে বিএনপির ধানের শীষ পেলেন যারা নাসিরুদ্দিন পাটওয়ারীর বিরুদ্ধে মামলায় মতিউর রহমান আকন্দ নিন্দা বস্ত্রহীন ঘুমানোর হুকুম কী ?

পাকিস্তানি সোশ্যাল মিডিয়া চ্যানেলের ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করল ভারত

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

সম্প্রতি জম্মু-কাশ্মিরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার পর পাকিস্তানের কিছু সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট ও ইউটিউব চ্যানেলের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল ভারত। তবে সেই সিদ্ধান্তে আংশিক পরিবর্তন এনে এসব অ্যাকাউন্ট ও চ্যানেলের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করেছে দেশটি। খবর হিন্দুস্তান টাইমসের।

ফলে এখন ভারতীয় ব্যবহারকারীরা আবারও পাকিস্তানি তারকা মাওরা হোকেন, ইউমনা জায়েদি, আহাদ রাজা মীর এবং ড্যানিশ তাইমুরের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট দেখতে পাচ্ছেন। তবে ফাওয়াদ খান, মাহিরা খান ও হানিয়া আমিরের মতো জনপ্রিয় তারকাদের অ্যাকাউন্ট এখনও ব্লক তালিকায় রয়েছে।

একই সঙ্গে পাকিস্তানের জনপ্রিয় টেলিভিশন চ্যানেল হাম টিভি, এআরওয়াই ডিজিটাল এবং হার পাল জিও’র ইউটিউব চ্যানেলগুলোও ভারতে পুনরায় চালু হয়েছে।

সাবেক ক্রিকেটার শহীদ আফ্রিদি, শোয়েব আখতার এবং রশিদ লতিফের ইউটিউব চ্যানেলও ভারতীয় ব্যবহারকারীদের জন্য আবার উন্মুক্ত করা হয়েছে।

তবে চলতি বছরের ৮ মে ভারত সরকার এক নির্দেশনায় পাকিস্তানের যেকোনো সিরিজ, গান, সিনেমা, পডকাস্ট বা অন্যান্য ডিজিটাল কনটেন্ট নিষিদ্ধ করেছিল। ওই নিষেধাজ্ঞার কারণ হিসেবে তথ্যপ্রযুক্তি বিধিমালা, ২০২১-এর আওতায় ‘জাতীয় নিরাপত্তা’ ও ‘ভারতের সার্বভৌমত্বের প্রতি হুমকি’র কথা উল্লেখ করা হয়েছিল। সে সময় অন্তত ১৬টি ইউটিউব চ্যানেল বন্ধ করা হয়, যার মধ্যে সাংবাদিক, শিল্পী ও ক্রীড়া ব্যক্তিত্বদের অ্যাকাউন্টও ছিল।

এ নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক। অল ইন্ডিয়ান সিনে ওয়ার্কার্স অ্যাসোসিয়েশন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে লেখা খোলা চিঠিতে এই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তকে ‘দুঃখজনক ও অগ্রহণযোগ্য’ বলে উল্লেখ করেছে। চিঠিতে বলা হয়, ‘এটা কেবল ডিজিটাল কনটেন্ট নয়, বরং সন্ত্রাসে প্রাণ হারানো শহীদদের প্রতি অসম্মান।’

তবে ভারত সরকার এ নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো মন্তব্য করেনি।

এনএইচ/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ