জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন প্রশ্নে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের রায়ের জন্য অপেক্ষা করছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। হাইকোর্টের রায়ে দলটির নিবন্ধন বাতিল ঘোষণার বিরুদ্ধে আপিলের তৃতীয় দিনের শুনানি শেষে এই তথ্য জানান ইসির আইনজীবী তৌহিদুল ইসলাম।
মঙ্গলবার (১৩ মে) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে আপিল বেঞ্চ পরবর্তী শুনানির দিন ঠিক করেছেন বুধবার (১৪ মে)।
তৌহিদুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, হাইকোর্টে যে অবস্থান নিয়েছিলাম, আপিল বিভাগেও তা অব্যাহত রয়েছে। জামায়াতের নিবন্ধনের আবেদন যাচাই চলাকালেই হাইকোর্ট হস্তক্ষেপ করে, ফলে কমিশনের পক্ষে আর কোনো পদক্ষেপ নেওয়া সম্ভব হয়নি। আপিল বিভাগ যেভাবে রায় দেবেন, নির্বাচন কমিশন তা-ই বাস্তবায়ন করবে।
তিনি বলেন, ২০১৬ সালে সুপ্রিম কোর্টের ফুলকোর্ট সভায় সিদ্ধান্ত হয় ‘দাঁড়িপাল্লা’ কেবল আদালতের প্রতীক হিসেবে ব্যবহৃত হবে এবং তা কোনো রাজনৈতিক দলকে বরাদ্দ দেওয়া যাবে না। এ সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন প্রতীকটি বাতিল করে। জামায়াত এখন এটি পুনরায় দাবি করলেও, যেহেতু এটি ফুলকোর্টের সিদ্ধান্ত, আপিল বিভাগ বলেছে এতে হস্তক্ষেপ করা সম্ভব নয়।
জামায়াতের আইনজীবী শিশির মনির বলেন, দলটির নিবন্ধনের আবেদন কমিশনের বিবেচনায় থাকা অবস্থায় হাইকোর্ট সেটি বাতিল করে। এটি ‘প্রিম্যাচিউর’ সিদ্ধান্ত—কারণ বিষয়টি তখনো কমিশনের বিচারাধীন ছিল। এর বিরুদ্ধে আপিল করা হয়েছে এবং শুনানি চলছে।
তিনি আরও বলেন, জামায়াতে ইসলামীর প্রতীক হিসেবে ‘দাঁড়িপাল্লা’ প্রতিষ্ঠার পর থেকেই ব্যবহৃত হয়ে আসছে এবং আগের সংসদ নির্বাচনে দলটি এই প্রতীক নিয়ে অংশ নেয়। হঠাৎ করে আদালতের ফুলকোর্ট সভার সিদ্ধান্তে প্রতীকটি নিষিদ্ধ করা হয়। এ বিষয়েও আংশিক শুনানি হয়েছে এবং আগামীকাল তা চলবে।
তিনি বলেন: “আমরা আদালতে বলেছি, ভারতীয় উপমহাদেশে আদালতের মাধ্যমে কোনো রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন বাতিলের নজির নেই। এটি প্রথম ঘটনা।”
শুনানির সময় জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এ টি এম মাছুম আদালতে উপস্থিত ছিলেন।