|| ড. মো. ইব্রাহীম খলিল ||
সুন্নি, শিয়া, আশারিয়া, মুতাজিলা, রাফেজি, খারেজি, আহলে হাদিস, আহলে কুরআন, মাজারি, বাজারি, নরমপন্থী, গরমপন্থী, প্রাক্টিসিং মুসলিম, নন প্রাক্টিসিং মুসলিম- যা হও, যেখানেই হও, তোমার নিপীড়িত হওয়ার জন্য, আক্রান্ত হওয়ার জন্য একটি কারণই যথেষ্ট যে, তুমি মুসলিম।
একজন একজন করে তোমাকে মারবে। পৃথিবীর যে প্রান্তে থাকো, যেভাবেই থাকো, তুমি আক্রান্ত হবেই। আজ অথবা কাল।
অন্য কেউ আজ আক্রান্ত হয়েছে বলে তোমার নিরাপদ বোধ করার কোনো কারণ নেই। কাল তোমার পালা। নাম বদলিয়ে, পোশাক পাল্টিয়ে, আদর্শ বদলে, ভোল পাল্টে এমনকি ধর্ম বদলেও তুমি বাঁচবে না। এমনকি তুমি যদি তোমার আনুগত্য বোঝানোর জন্য নির্মমভাবে মুসলিম হত্যাযজ্ঞেও লিপ্ত হও, তাও তোমার ছাড় নেই। ব্যবহৃত হওয়ার পর তোমার ভাগ্যেও জুটবে একই বিভীষিকা।
১২৫৮ সালের বাগদাদ, ১৪৯২ সালের কর্ডোভা, ১৭৫৭ সালের পলাশী মনে রেখো মুসলিম! তোমার বাঁচার উপায় একটাই, এক হওয়া। ঐক্যবদ্ধ হওয়া। নিজেদের মধ্যে কেবল তোমার মুসলিম নামের ভিত্তিতে সীসাঢালা প্রাচীরের অটুট ঐক্য গড়ে তোলা।
মুসলিম! আপনা মাংস হরিণা বৈরী। নিজের মাংসই হরিণের শত্রু। তোমার শত্রু তোমার নাম, তোমার বংশবৃত্তান্ত। এক হলে বাঁচবে, একা হলে মরবে। এখন দেখো, তুমি যা ভালো মনে করো।
লেখক: সহযোগী অধ্যাপক, ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়
এমএম/