ধর্ম যার, উৎসব তার। উৎসবের নিরাপত্তার দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট ধর্মাবলম্বীদের পাশাপাশি রাষ্ট্রেরও রয়েছে। ধর্ম যার যার, উৎসব সবার—এই স্লোগানটি ঈমান পরিপন্থী।
শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর)গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও নির্বাচন পরিচালনা উপকমিটির আহ্বায়ক মাওলানা আব্দুর রব ইউসুফী এসব কথা বলেন।
মাওলানা ইউসুফী বলেন, স্বাধীন রাষ্ট্রের প্রতিটি নাগরিক তার নিজ ধর্ম স্বাধীনভাবে পালনের অধিকার রাখে। দেশের নাগরিকরা রাষ্ট্রীয় আইন মেনে চলেন এবং ট্যাক্স প্রদান করেন। সেহেতু রাষ্ট্রের দায়িত্ব হলো প্রতিটি নাগরিকের জান-মাল, সম্মান ও ধর্মীয় স্বাধীনতা রক্ষা করা।
জমিয়ত নেতা বলেন, একজন মুসলমানের ওপর অন্য ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় উপাসনালয়ের নিরাপত্তা দেওয়া বাধ্যতামূলক নয়। এটি অন্য ধর্মের ধর্মীয় কার্যক্রমে সহযোগিতা হিসেবে বিবেচিত হতে পারে, যা ইসলাম সমর্থন করে না।
মাওলানা ইউসুফী জানান, গত বছর ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে দেশের পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে আলেম সমাজ সাময়িকভাবে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের দুর্গাপূজা নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করতে নিরাপত্তার জন্য এগিয়ে এসেছিলেন। তখন প্রশাসনের কিছু সীমাবদ্ধতা থাকায়, আলেম সমাজ রাষ্ট্রকে সহযোগিতা করেছেন।
তিনি বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতি ভিন্ন। বর্তমান প্রেক্ষাপটে আলেম সমাজ বা মুসলমানদের জন্য হিন্দুদের দুর্গাপূজায় মন্দির পাহারা দেওয়ার কোনো প্রয়োজন নেই। তবে আলেম সমাজকে সচেতন থাকতে হবে, যাতে কোনো কুচক্রী মহল সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপাসনালয়ে নাশকতা চালিয়ে অপ্রীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি না করতে পারে।
তিনি সরকার ও প্রশাসনের প্রতি দেশের প্রতিটি নাগরিক তার নিজ ধর্ম নির্বিঘ্নে ও নিরাপদে পালন করতে পারে এবং শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের পরিবেশ বজায় রাখার আহ্বান জানান।
আরএইচ/