ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদে ফ্যাসিবাদের মুখাকৃতি ও শান্তির পায়রা মোটিফে আগুন দেয়ার ঘটনায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
শনিবার ভোররাতে চার দেয়ালের ভেতরে তৈরি করা ফ্যাসিবাদের ওই প্রতিকৃতিতে আগুন দেয়া হয়।
মুখাবয়বটি তৈরি হওয়ার পর থেকেই বিভিন্ন অঙ্গণে আলোচনা সমলোচনা হচ্ছিল। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের কাছে বেশ কিছু বেনামী চিঠি দেয়া হয় । যেখানে মুখাকৃতিটি সরিয়ে ফেলার জন্য বলা হয়। যদি না সরানো হয়, আয়োজনে বড় ধরণের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে হুমকির আভাস দেয়া হয় ওই চিঠিতে।
এছাড়া বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার লোকজন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে দুর্ঘটনার ব্যাপারে জানালেও তারা গায়ে মাখেনি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রক্টরিয়াল টিমের একাধিক সদস্য বলেন, আমাদের রাতে ডিউটিতে ছিল মাত্র চারজন। তবে এখানে কেউ ছিল না। রাত ৮টার দিকে আমরা চলে যাই। পুলিশ গেটের দায়িত্বে ছিল।
কেন নিরাপত্তা নিয়ে আগাম জোরালো প্রস্তুতি নেয়া হয়নি সে ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বলেন, ফ্যাসিবাদের মুখাকৃতিতে যে আগুন দেয়ার ঘটনা ঘটেছে সেটা কাপুরুষোচিত আচরণ। সুযোগ বুঝে দুষ্কৃতকারীরা মুখাকৃতিতে আগুন দিয়েছে। সকালেই জিডি করা হয়েছে। দুপুরে মামলা করা হয়েছে। সিসিটিভি ফুটেজে একটি মুখোশ ধারি একজনকে আগুন দিতে দেখা গেছে। পুলিশ এ ব্যাপারে তদন্ত করছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকেও তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আশা করি দুষ্কৃতকারীদের চিহ্নিতপূর্ব অতিদ্রুত শাস্তির আওতায় আনা যাবে।
এমএইচ/