শুক্রবার, ২০ জুন ২০২৫ ।। ৫ আষাঢ় ১৪৩২ ।। ২৪ জিলহজ ১৪৪৬

শিরোনাম :

কঠিন দিনগুলো আমরা কাটিয়ে উঠব: মাসুদ পেজেশকিয়ান

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান জাতির উদ্দেশে দেওয়া এক বার্তায় বলেছেন, “কঠিন দিনগুলো আমরা কাটিয়ে উঠব।” সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেওয়া এই বার্তায় তিনি সরকারের প্রতিটি অংশকে ‘ইরানের জন্য কাজ করার’ নির্দেশ দিয়েছেন। খবরটি প্রকাশিত হয়েছে বিবিসি'তে।

মাসুদ পেজেশকিয়ান বলেন, “সব মন্ত্রণালয় এবং সরকারি সব এজেন্সিকে তাদের সর্বোচ্চ শক্তি ও সম্পদ ব্যবহার করে ইরানের জন্য কাজ করতে বলা হয়েছে। কোনো কিছুর প্রতি বিমুখ না হয়ে আপনাদের ধৈর্য এবং সমর্থন প্রয়োজন।”

তিনি আরও যোগ করেন, “আল্লাহর সাহায্য এবং পারস্পরিক সহানুভূতি ও সংহতির মাধ্যমে আমরা এই কঠিন দিনগুলো কাটিয়ে উঠব।”

ইরানের আহমেদাবাদের কাছে নাতানজ পারমাণবিক স্থাপনা (শহীদ আহমাদি রোশন পারমাণবিক স্থাপনা) হামলার শিকার হয়েছে, যেটি ইসরায়েলের দাবি অনুসারে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির কাজে ব্যবহৃত হতো। ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, বুধবার রাতে তাদের বিমানবাহিনী ইরানের নাতাঞ্জ শহরে একটি স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে।

ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) দাবি করেছে, হামলার লক্ষ্য ছিল এমন একটি স্থাপনা, যেখানে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির জন্য বিশেষ যন্ত্রাংশ এবং উপকরণ রাখা হতো। এই স্থাপনাটিতে এমন একটি প্রকল্প চলছিল, যা পারমাণবিক অস্ত্র কর্মসূচিকে দ্রুত এগিয়ে নিতে সাহায্য করতো।

এটি প্রথম নয়, এর আগেও নাতাঞ্জে হামলা হয়েছে। ১৪ জুন ইরান-ইসরায়েল সংঘাতের শুরুর দিকে ইসরায়েল সেখানে হামলা চালায়, যার ফলে ইরানে ইসরায়েলের হামলায় কয়েকজন শীর্ষ জেনারেল নিহত হন। ২০২১ সালের এপ্রিল মাসেও নাতাঞ্জে হামলা হয়েছিল, যেখানে ইরানের মূল ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কেন্দ্র ছিল। এটি একটি বাংকারযুক্ত স্থাপনা।

এদিকে, ইরানও পাল্টা হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলে। হোলোন, তেল আবিব ও রামাতগন শহরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইরান। ইসরায়েলি গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় হোলোন শহরে তিনজন গুরুতর আহত হয়েছেন এবং তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক। রামাতগন এলাকায় প্রায় ২০ জন হালকা আঘাত পেয়েছেন। তেল আবিবেও হামলা হয়েছে।

ইসরায়েলের সাহায্য সংস্থাগুলো জানিয়েছে, ইরানি হামলায় মোট আহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৫ জনে। ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনী এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, এটি ছিল ‘ইরানি সশস্ত্র বাহিনীর ১৪তম শক্তিশালী সমন্বিত হামলা’, যা তারা বিভিন্ন কৌশলগত স্থাপনার ওপর চালিয়েছে। তবে বিস্তারিত তথ্য দেয়নি তারা।

এমএইচ/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ