মুফতি যুবাইর মাহমুদ রাহমানি
শরিয়তে জামাতের সঙ্গে নামাজ আদায় করার গুরুত্ব অপরিসীম। জামাতের সঙ্গে নামাজ আদায় করার রয়েছে কিছু নিয়মকানুন। যেমন কেউ যদি পরে আসে এবং দেখে, সামনের কাতারসমূহ পূর্ণ হয়ে গেছে, এ সময় তার করণীয় কী? এ সম্পর্কে একভাইয়ের প্রশ্ন এবং তার উত্তর নিচে উল্লেখ করা হল।
প্রশ্ন : আমরা অনেক সময় জামাতের নামাজে শরিক হই। দেখা যায়, সমানের কাতারগুলো পরিপূর্ণ। পেছনের কাতারে কেউ নেই। এমতাবস্থায় আগন্তুক মুসল্লি কি একাই পেছনে দাঁড়িয়ে নামাজ পড়বে?
উত্তর : শরিয়তের দৃষ্টিতে পেছনের কাতারে যদি কোনো মুসল্লী না থাকে অথবা আসার সম্ভাবনাও না থাকে, তখন সেক্ষেত্রে পেছনের কাতারে একা দাঁড়ানো মাকরূহ। পক্ষান্তরে উক্ত কাতারে একজন মুসল্লী থাকলে অথবা আসার সম্ভাবনা থাকলে পেছনে একা দাঁড়ানো মাকরূহ নয়।
সুতরাং প্রশ্নে বর্ণিত অবস্থায় কোনো ব্যক্তি যদি দেখে, সামনের কাতারসমূহ পূর্ণ হয়ে গেছে। পেছনের কাতারে কোনো মুসল্লী নেই এবং আসার সম্ভাবনাও নেই, তখন সেক্ষেত্রে সে সামনের কাতারের একজন মুসল্লিকে টেনে পেছনে নিয়ে আসবে। উপর্যুক্ত ব্যক্তি এক কদম বা দু কদম ফেলে চেহারা কেবলামুখী রেখে পেছনে চলে আসবে।
উল্লেখ্য, যে মুসল্লীকে সামনের কাতার থেকে টেনে আনা হবে, সে যদি মাসয়ালা নাও জানে এবং এ কারণে নামাজ ছেড়ে দেওয়ার আশঙ্কা থাকে, তথাপি তাকে টেনে আনবে। এতে একবার হয়তো সমস্যা হবে। কিন্তু এর ফলে আজীবন এর জন্য মাসয়ালা জানা হয়ে যাবে।
শেষ কথা:
নামাজের এ সকল গুরুত্বপূর্ণ মাসয়ালাগুলো আমাদের মসজিদ এবং ইলমি হালাকাগুলোতে বেশি বেশি আলোচনা হওয়া উচিত। ফলে আমাদের নামাজসমূহ সঠিক মাসয়ালা অনুযায়ী হবে, ইনশাআল্লাহ।
আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে শরিয়তের সঠিক দিকনির্দেশনা অনুযায়ী আমল করার তাওফিক দান করুন। আমিন।
সূত্র : সুনানুত তিরমিজি ১/৫৪; রদ্দুল মুহতার ২/৫০২; তুহফাতুল আলমায়ি ১/৫৫৭
আরএইচ/