ভবিষ্যতে কর্মক্ষেত্র নিয়ে নিজের অভিমত ব্যক্ত করেছেন লিংকডইনের সিইও এবং মাইক্রোসফট অফিস ও কোপাইলটের ইভিপি রায়ান রোসলানস্কি। চাকরি পাওয়ার জন্য শুধু সেরা কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে চমৎকার ডিগ্রি অর্জন করাই যথেষ্ট হবে না, বরং এআই দক্ষতা ও এ পরিবেশে নিজেকে খাপ খাইয়ে নেওয়ার প্রবণতা না থাকলে প্রতিযোগিতার বাজারে মুখ থুবড়ে পড়ার বিষয়েও তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
লিংকডইনের ‘এআই ইন ওয়ার্ক ডে’অনুষ্ঠানে রায়ান রোসলানস্কি চারটি গুণের ওপর জোর দিয়েছেন। ভবিষ্যতের কর্মক্ষেত্রে সাফল্যের ক্ষেত্রে এগুলোই হবে মুখ্য হাতিয়ার। অভিযোজন ক্ষমতা, অগ্রণী চিন্তাভাবনা, শেখার মনোভাব এবং এআই টুল ব্যবহার করার আগ্রহ। তিনি বলেন, ‘ভবিষ্যতের কাজ আর শুধু সেরা ডিগ্রি বা কলেজের কৃতিত্বের ওপর নির্ভর করবে না। বরং এটি নির্ভর করবে তাদের ওপর যারা অভিযোজিত, অগ্রণী চিন্তাভাবনা সম্পন্ন, শেখার জন্য প্রস্তুত এবং এআই টুল ব্যবহার করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে।’
সম্প্রতি প্রকাশিত তথ্যও এ প্রবণতা নিশ্চিত করছে। মাইক্রোসফটের ২০২৪ সালের একটি জরিপে দেখা গেছে, বিশ্বের ৭১ শতাংশ নিজের কর্মক্ষেত্র সাফল্যে পাওয়া উদ্যোক্তারা কম অভিজ্ঞ হলেও এআই দক্ষ প্রার্থীর দিকে বেশি ঝুঁকছেন। লিংকডইনের তথ্য অনুযায়ী, এআই দক্ষতার প্রয়োজনীয়তা যুক্ত চাকরির বিজ্ঞাপন বছরে প্রায় ৭০ শতাংশ বেড়েছে।
লিংকডইনের প্রধান অর্থনীতিবিদ ক্যারিন কিমব্রো বলেন, ‘যে কোনো পরিবেশে অভিযোজন ক্ষমতা এখন নতুন মুদ্রা।’ তিনি জানান, এআই দ্রুত পরিবর্তন হচ্ছে। এটি কেবল আমাদের চাহিদার দক্ষতাকেই নয়, ভবিষ্যতের চাকরির ধরন এবং নিয়োগের ধরনকেও বদলাচ্ছে।
রোসলানস্কি আশ্বাস দিয়েছেন, এআই মানুষের স্থান নেবে না। বরং যারা এআইকে গ্রহণ করবে, তারা তাদের স্থান দখল করবেন, যারা এআই ব্যবহার করতে জানেন না। তিনি বলেন, ‘এআইতে মানুষের অংশীদারত্বই হবে সবার মূল শক্তি। সহানুভূতি, যোগাযোগ দক্ষতা, অভিযোজন ক্ষমতা—এসবই ভবিষ্যতের যেকোনো ক্ষেত্রে সাফল্যের মূল চাবিকাঠি।
আরএইচ/