শনিবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৫ ।। ৩০ কার্তিক ১৪৩২ ।। ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭


গাজাবাসীর নতুন ঝুঁকি বন্যা ও ভবন ধস

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

গাজায় বাস্তুচ্যুত লাখো মানুষের দুর্ভোগ এখন আরও মারাত্মক রূপ নিতে শুরু করেছে ঠান্ডা বাতাস, বৃষ্টি ও আকস্মিক বন্যার আশঙ্কায়। 

শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) ভোরে আবহাওয়ার ব্যাপক নিম্নচাপ আর ঠান্ডা বায়ুর প্রবাহ গাজায় পৌঁছানোর পর পরিস্থিতি দ্রুত নাজুক হয়ে ওঠে।

ফিলিস্তিনি আবহাওয়া বিভাগ জানিয়েছে, এই নিম্নচাপটি মাঝে মাঝে বজ্রসহ ভারি বর্ষণ ঘটাতে পারে, যা ভেঙেপড়া অবকাঠামো এবং দুর্বল আশ্রয়কেন্দ্রগুলোর জন্য ভয়াবহ হুমকি তৈরি করছে।

গাজা সিভিল ডিফেন্স পরিস্থিতিকে সামাল দিতে জরুরি সতর্কতা জারি করে জানিয়েছে, বিশেষ করে উপকূলীয় এলাকায় থাকা বাস্তুচ্যুতদের অবশ্যই তাদের তাঁবু শক্ত করে বাঁধতে হবে। বন্যা এবং ধসের ঝুঁকি এড়াতে সিভিল ডিফেন্স একাধিক জরুরি নির্দেশিকা জারি করেছে। 

ভারি বৃষ্টির কারণে বোমাবর্ষণে ক্ষতিগ্রস্ত ও দুর্বল ভবনগুলো ধসে পড়তে পারে, তাই এসব ভবনের কাছাকাছি না থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। বাস্তুচ্যুতদের নিরাপত্তার জন্য তাঁবুগুলোর মধ্যে পানি নিষ্কাশনের খালি নালা বা ড্রেন তৈরি করার নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে। এছাড়া, আগুন লাগার ঝুঁকি এড়াতে টেন্টের ভেতরে বা প্লাস্টিক সামগ্রীর পাশে আগুন জ্বালানো থেকেও বিরত থাকতে বলা হয়েছে।

গত দুই বছর ধরে বর্ষা মৌসুমের বৃষ্টিতে বহু আশ্রয়কেন্দ্র ভেসে গেছে বা ছিন্নভিন্ন হয়েছে। ইসরায়েলি বোমাবর্ষণে ক্ষতিগ্রস্ত এই অস্থায়ী আশ্রয়গুলো এখন আরও দুর্বল। গাজা মিডিয়া অফিসের হিসাব অনুযায়ী, ‘১ লাখ ৩৫ হাজার তাঁবুর মধ্যে ৯৩ শতাংশই আর বসবাসের উপযোগী নয়।’ কিন্তু বিকল্প কোনো আশ্রয় না থাকায় পরিবারগুলো বাধ্য হয়েই সেগুলোতে থাকছে।

মানবিক সহায়তা প্রবেশে ইসরায়েলের কঠোর সীমাবদ্ধতার কারণে নতুন তাঁবু বা মোবাইল আশ্রয়কেন্দ্রও গাজায় ঢুকতে পারছে না। কর্তৃপক্ষ জানায়, সম্প্রতি ঘোষিত যুদ্ধবিরতির মানবিক প্রোটোকল লঙ্ঘন করেই ইসরায়েল এসব জরুরি সামগ্রী আটকে রেখেছে।

সূত্র: টিআরটি ওয়ার্ল্ড

এনএইচ/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ