বাংলাদেশী সন্দেহে আসামের বিভিন্ন স্থান থেকে অন্তত ৫০ জনকে আটক করেছে আসাম রাজ্য সরকার। সোমবার (২৬ মে) ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গুয়াহাটি, গোলাঘাট, ধুবড়ি, বরপেটা এবং কাছাড় জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে ‘সন্দেহজনক নাগরিকদের’ আটক করা হয়েছে। আটকদের আপাতত রূপনগর পুলিশের রিজার্ভে রাখা হয়েছে এবং তাদের কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
অবশ্য আটকদের মধ্যে কয়েকজনের পরিবার দাবি করেছে যে তারা ভারতীয় নাগরিক। এসব দাবির সত্যতা যাচাই প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এই ‘যাচাই অভিযান’ কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশের ভিত্তিতে পরিচালিত হচ্ছে।
মূলত ভারতে কথিত ‘বাংলাদেশী অভিবাসীদের’ শনাক্ত করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের লক্ষ্যেই এ অভিযান চালানো হচ্ছে। পুরো কার্যক্রমটি আসাম পুলিশের সীমান্ত সংস্থার তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হচ্ছে, যার নেতৃত্বে রয়েছেন একজন ইন্সপেক্টর জেনারেল পদমর্যাদার কর্মকর্তা।
এখন পর্যন্ত আসাম পুলিশ এই অভিযানের বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো বিবৃতি প্রকাশ করেনি, যা অভিযানের স্বচ্ছতা নিয়ে জনমনে প্রশ্ন তুলেছে।
এছাড়া শনিবার আসামের মরিগাঁও জেলায় নয়জন বাংলাদেশী নাগরিককে গ্রেফতার করা হয়েছে। ফরেনার্স ট্রাইব্যুনাল পূর্বে তাদের বিদেশী হিসেবে ঘোষণা করেছিল। তবে তারা দীর্ঘদিন ধরেই গ্রেফতার এড়িয়ে চলছিল।
সরকারি পর্যায়ে ‘যাচাই অভিযান’-এর ভবিষ্যৎ গতি ও প্রকৃতি নিয়ে কোনো সুনির্দিষ্ট ঘোষণা না এলেও রাজ্যজুড়ে এর প্রভাব ক্রমেই স্পষ্ট হচ্ছে।
সূত্র : এনডিটিভি
এনএইচ/