সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫ ।। ১৫ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ৩০ শাওয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
ভারতের বিশিষ্ট আলেম মাওলানা সাইয়িদ মুহাম্মাদ আকিল মাযাহেরি আর নেই আগামী মাসের শুরুতেই শেখ হাসিনার বিচার : প্রধান উপদেষ্টা বজ্রপাতে প্রাণ গেল মাদরাসা শিক্ষকের ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা হলেই শান্তি প্রতিষ্ঠা হবে: নূরুল ইসলাম বুলবুল প্রস্তুতি সম্পন্ন, রাতে শুরু হচ্ছে হজ ফ্লাইট ফ্রান্সে মসজিদে ঢুকে মুসল্লিকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাতে হত্যা ভারতীয় মুসলিমদের পাকিস্তানিদের সঙ্গে তুলনা উচিত নয়: বিজেপি বিধায়ক মুফতী ফয়জুল করীমের মেয়রের চেয়ারে বসা আটকে আছে কোথায়? মোদি ইসরায়েলের পক্ষে, ইসলাম-মুসলমানের শত্রু: মাওলানা ফজলুর রহমান কিশোরগঞ্জে হাওরে ইসলামী আন্দোলনের শরবত বিতরণ

ভারতের বিরুদ্ধে পাল্টা ব্যবস্থা নিচ্ছে পাকিস্তান

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

ভারত শাসিত কাশ্মীরের পেহেলগামে উগ্রবাদী হামলার অভিযোগে ভারতের নেয়া একাধিক কঠোর সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে এবার পাল্টা পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে পাকিস্তান।

এ লক্ষ্যে বৃহস্পতিবার পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফের আহ্বানে জাতীয় নিরাপত্তা কমিটির জরুরি বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। বৈঠকে সভাপতিত্ব করবেন প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ।

‘দ্য ডন’ পত্রিকার উদ্ধৃতি দিয়ে এএফপি আজ এই খবর জানায়।

গত সপ্তাহে জম্মু ও কাশ্মীরের পেহেলগামে বন্দুকধারীদের হামলায় ২৬ জন পর্যটক নিহত হন এবং আহত হন আরো ১৭ জন। আহত অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক। এই ঘটনার দায়ভার পাকিস্তানের ওপর চাপিয়ে ভারত একাধিক কড়া সিদ্ধান্ত নেয়। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো-সিন্ধু নদী পানি চুক্তি স্থগিত এবং পাকিস্তানি নাগরিকদের জন্য ভারত ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা আরোপ।

ভারতের এসব সিদ্ধান্তকে কেন্দ্র করে পাকিস্তানের জাতীয় নিরাপত্তা কমিটির জরুরি বৈঠকে ভারতের বিরুদ্ধে সম্ভাব্য পাল্টা পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা হবে বলে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।

বুধবার জিও নিউজ’কে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ বলেন, ‘ভারতের একতরফা সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আমরা পাল্টা ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের সাথে বৈঠক শেষে পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে।’

তিনি আরো বলেছেন, ‘ভারত একতরফাভাবে সিন্ধু পানি চুক্তি স্থগিত করতে পারে না। কারণ, এই চুক্তিতে শুধু ভারত ও পাকিস্তানই নয়। বিশ্বব্যাংকসহ আন্তর্জাতিক অংশীদাররাও জড়িত। ফলে এটি আন্তর্জাতিকভাবে বাধাগ্রস্ত হতে পারে।’

এদিকে কাশ্মীরে ঘটে যাওয়া হামলার পর ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে দিল্লি ইসলামাবাদের বিরুদ্ধে কড়া অবস্থান নিয়েছে। এর অংশ হিসেবে সীমান্তে নজরদারি বৃদ্ধি, কূটনৈতিক স্তরে চাপ সৃষ্টি এবং বাণিজ্যিক সম্পর্ক পর্যালোচনার মতো পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে ভারত।

উল্লেখ্য, কাশ্মীর ইস্যুতে দীর্ঘদিন ধরেই ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। সাম্প্রতিক এই ঘটনার ফলে সেই উত্তেজনা আরো তীব্র হয়ে উঠেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এমএইচ/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ