বুধবার, ০২ জুলাই ২০২৫ ।। ১৭ আষাঢ় ১৪৩২ ।। ৭ মহর্‌রম ১৪৪৭

শিরোনাম :
বাংলাদেশ খেলাফত যুব মজলিস খারুয়া ইউনিয়নের দাওয়াতি মজলিস অনুষ্ঠিত ফ্যাসিবাদ বন্ধে পিআর পদ্ধতির নির্বাচন সর্বোত্তম পন্থা: চরমোনাই পীর দ্রুত গুম-খুনের বিচার ও শহীদদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দাবি খালেদা জিয়ার জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে খেলাফত মজলিসের ৩৬ দিনব্যাপী কর্মসূচি  জুলাই স্মরণে ইসলামী ছাত্র আন্দোলন-এর দেশব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা মানবিক-ইনসাফভিত্তিক বাংলাদেশ গড়ার সময় এখনই : তারেক রহমান যেকোনো দিন গাজায় যুদ্ধবিরতি হতে পারে: ট্রাম্প জামিয়া মাদানিয়া বারিধারা মাদরাসার ইসলাহি মজলিস বৃহস্পতিবার ‘জুলাই ঘোষণাপত্র চূড়ান্ত করতে না পারা এই সরকারের বড় ব্যর্থতা’ ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক থাকলেই মৃত্যুদণ্ড, ইরানে নতুন আইন

খরচ না হওয়ায় হাজিদের অর্থ ফেরত দিচ্ছে আফগান সরকার 

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

২০২৪ সালে হজের জন্য জমা দেওয়া অর্থ থেকে যা বেঁচে গেছে তা ফেরত দেওয়া শুরু করেছে ইমারাতে ইসলামিয়া আফগানিস্তান। দেশটির হজ ও ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয় এ অর্থ ফেরত দিচ্ছে।

বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) থেকে রাজধানী কাবুলসহ অন্যান্য প্রদেশে এ কার্যক্রম শুরু হয়েছে বলে দেশটির সংবাদ মাধ্যম টোলো নিউজ জানিয়েছে।

আফগানিস্তানের ভারপ্রাপ্ত ধর্মমন্ত্রী নূর মুহাম্মাদ সাকিব জানিয়েছেন, বেঁচে যাওয়া অর্থ থেকে প্রত্যেক হাজি ৩৭ ডলার এবং ৬১ আফগানি ফেরত পাবেন। তিনি জানান, এ বছর হজের জন্য হাজিদের কাছ থেকে ১১ কোটি ৩০ লাখেরও বেশি ডলার সংগ্রহ করা হয়েছিল, যার মধ্যে ১১ কোটি ২০ লাখের বেশি ডলার ব্যয় হয়েছে। বাকি অর্থ সরকারের কাছে রয়ে গেছে।

এই ব্যাপারে তিনি বলেন, হজের খরচের হিসাব-নিকাশ শেষে দেখা গেছে, মোট ১১ কোটি ২৩ লাখ ৪৭ হাজার ৮০০ ডলার ৮৩ সেন্ট খরচ হয়েছে। এতে বেঁচে গেছে ১১ লাখ ১১ হাজার ১০ ডলার ১৪ সেন্ট। ফলে, প্রত্যেক হাজি ৩৭ ডলার এবং ৬১ আফগানি করে ফেরত পাবেন।

ধর্মমন্ত্রী সাকিব নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে হাজিদের অর্থ সংগ্রহ করার আহ্বান জানিয়ে ঘোষণা দিয়েছেন, বেঁচে যাওয়া অর্থ ব্যাংকে ট্রাস্ট হিসেবে রাখা আছে এবং যেকোনো সময় তা সংগ্রহ করা যাবে।

তিনি আরও জানান, ২০২৫ সালে আফগানিস্তান থেকে ৩০ হাজার মানুষ হজ করার সুযোগ পাবেন এবং এই সংখ্যা বাড়ানোর চেষ্টা চলছে। 

মন্ত্রী বলেন, আমরা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং অন্যান্য মাধ্যমে চেষ্টা করছি যাতে আমাদের জনগণ আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত হয় এবং সৌদি আরবের কাছে আবেদন জানানো হয় যেন হজের কোটা বাড়ানো যায়।

২০২২ সালে প্রথমবারের মতো ইমারাতে ইসলামিয়া আফগানিস্তান খরচ না হওয়ায় হাজিদের অর্থ ফেরত দেয়। মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ফজল মোহাম্মদ হুসাইন জানান, হজ পরিচালনায় ৩০০ প্রশিক্ষক (মোয়াল্লিম) পাঠানো হয়েছিল। এ ছাড়া প্রশাসনের যেসব কর্মকর্তা হজে গিয়েছিলেন, তারা নিজস্ব খরচেই হজ করেছেন।

হাজিদের অর্থ ফেরত দেওয়ার খবরে সালাহ উদ্দিন নামের এক আফগান নাগরিক মন্তব্য করেন, সুদিন আসছে এবং এভাবেই আসবে। আমরা আবারও সততা, বিশ্বস্ততা এবং গৌরব ও আভিজাত্যে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবো- ইনশাআল্লাহ।

হাআমা/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ