মঙ্গলবার, ০৯ ডিসেম্বর ২০২৫ ।। ২৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ ।। ১৮ জমাদিউস সানি ১৪৪৭

শিরোনাম :
ইসলামী অনুশাসন প্রতিষ্ঠা ছাড়া দুর্নীতি নির্মূল করা সম্ভব নয় : মাওলানা ইমতিয়াজ আলম বিএনপির সঙ্গে জোট করার বিষয়ে যা বললেন রাশেদ খাঁন মহাসড়কে পড়ে ছিল নৌবাহিনী সদস্যের মরদেহ জামিন পাননি বাউল শিল্পী আবুল সরকার, শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ ‘দীনি শিক্ষাব্যবস্থায় গুণগত মানের ঘাটতি উদ্বেগজনকভাবে বেড়েছে’ আলোকিত সমাজ গড়তে শিক্ষকদের জন্য উন্নত কর্মপরিবেশ সৃষ্টি করতে চাই : মাসুদ সাঈদী এবার লাখো কণ্ঠে কোরআন তেলাওয়াত আয়োজনের ঘোষণা হুমায়ুনের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ৯০ টন পেঁয়াজ আমদানি মার্কিন দূতাবাসের কর্মকর্তার সঙ্গে চট্টগ্রাম মহানগর জামায়াতের বৈঠক প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগ দিতে আইনি নোটিশ

নেতানিয়াহুর মিথ্যাচারের শেষ কোথায়?

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার
ফাইল ছবি

গাজায় নিরাপদ জায়গা নিয়ে ফিলিস্তিনিদের সাথে যেনো মিথ্যাচারের খেলায় মেতেছে বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। আগ্রাসনের শুরুতে, উত্তর গাজায় যখন আগ্রাসন চালায় ইসরায়েল, তখন উপত্যকার দক্ষিণাঞ্চলকে নিরাপদ ঘোষণা করা হয়েছিলো। এরপর, দক্ষিণাঞ্চলেও শুরু হয় তাণ্ডব।

সবশেষ প্রাণ বাঁচাতে মিসর সীমান্তের রাফাহ শহরে আশ্রয় নিয়েছিলো অর্ধেকের বেশি ফিলিস্তিনি। সেখানেও চলছে নৃশংসতা। সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিবেদনে ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান এ তথ্য জানায়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, চলমান যুদ্ধে ইসরায়েলি আগ্রাসনের প্রথম সাক্ষী উত্তর গাজা। এরপর উত্তরের বাসিন্দাদের দক্ষিণে সরে যেতে বিতরণ করা হয় লিফলেটও। এরপরই প্রাণ বাঁচাতে নারী-শিশুসহ লাখ লাখ বেসামরিক ফিলিস্তিনি আশ্রয় নেন দক্ষিণে।

উত্তর গাজাকে ধ্বংসস্তূপ বানানোর পর, গাজা সিটি আর দেইর আল বালাহতে চলে নৃশংসতা। এরপর নিরাপদ ঘোষিত দক্ষিণাঞ্চলেও শুরু হয় আগ্রাসন। মুহূর্মুহু বিমান হামলা আর স্থল অভিযানের নামে খান ইউনিস শহরে চলে নারকীয় তাণ্ডব।

নিরাপত্তার কথা বলে, গত চার মাস ধরেই, ফিলিস্তিনিদের এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় পালাতে বাধ্য করেছে ইসরায়েল।উপত্যকার ২৩ লাখ বাসিন্দার এখন প্রায় সবাই বাস্তুচ্যুত।

গাজাবাসীর জন্য সবশেষ নিরাপদ জায়গা ঘোষণা করা হয়েছিলো রাফাকে। যুদ্ধ শুরু আগেও, মাত্র দুই লাখ ৮০ হাজার মানুষের বাস ছিল রাফায়, বর্তমানে সে সংখ্যা ১৪ লক্ষাধিক। সেখানেও এখন ধ্বংসযজ্ঞ চালাচ্ছে ইসরায়েল। একটু নিরাপত্তার খোঁজে গাজার এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে ছুটে চলা ফিলিস্তিনিদের প্রশ্ন, নিরাপদ জায়গা নিয়ে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর এই মিথ্যাচারের শেষ কোথায়?

এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা মিত্রদের নিষেধ উপেক্ষা করেই, মিসর সীমান্তবর্তী রাফায় অভিযান চালাচ্ছে ইসরায়েল। কার্যত শত্রুমিত্র কাউকেই তোয়াক্কা করছে না নেতানিয়াহু। ইসরায়েলের এমন আচরণ গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদের পুরোপুরি উৎখাতের ষড়যন্ত্র বলেই মনে করছে বিশ্ববাসী।

এনএ/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ