মঙ্গলবার, ০১ জুলাই ২০২৫ ।। ১৭ আষাঢ় ১৪৩২ ।। ৬ মহর্‌রম ১৪৪৭

শিরোনাম :
ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক থাকলেই মৃত্যুদণ্ড, ইরানে নতুন আইন ইসরাইলের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ সংগ্রামের আহ্বান ইরানি সুন্নি আলেমদের মিশরে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের গৌরবময় অর্জন আফগানিস্তানে অনৈসলামিক কার্যকলাপের অভিযোগে গুঁড়িয়ে দেয়া হল মাজার দুঃখ প্রকাশ না করা পর্যন্ত শান্তি পাবে না: আ. লীগকে শফিকুল আলম জুলাই বিক্রি হয়ে গেছে : আবু ত্ব-হা মুহাম্মদ আদনান আলিম পরীক্ষায় শেখ মুজিবকে নিয়ে প্রশ্ন, ছাত্রদের ক্ষোভ প্রকাশ হাসিনা ও তার দলের প্রতি আপনাদের মনোযোগ যথাযথ না থাকলে ইনসাফ হবে না মুজিববাদী সংবিধান ফেলে নতুন সংবিধান প্রণয়ন করতে হবে: আখতার হোসেন হযরত মোহাম্মদ (সা.)-এর ব্যঙ্গচিত্র প্রকাশের অভিযোগে তুরস্কে বিক্ষোভ

ক্ষমতায় গেলে ‘রাজনৈতিক প্রতিশোধ’ নেবেন না ইমরান খান

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

 পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান জানিয়েছেন, যদি তার দল আরেকবার ক্ষমতায় আসে; তাহলে তিনি কোনো ‘রাজনৈতিক প্রতিশোধ’ নেবেন না। এর বদলে সবাইকে ক্ষমা করে দিয়ে পাকিস্তানের উন্নতির জন্য কাজ করবেন তিনি।  

গতকাল শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা কারাগারে ইমরান খানের সঙ্গে দেখা করতে যান পিটিআইয়ের জ্যেষ্ঠ নেতা আলী মুহাম্মদ খান। ওই সময় তাকে এ কথা জানান ইমরান খান।

আলী মুহাম্মদ খান আরও জানিয়েছেন, ইমরান খান তাকে বলেছেন, পাকিস্তানকে এগিয়ে নিতে হলে একটি ন্যায় ও সমন্বয়সাধন কমিটি গঠন খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

এ ব্যাপারে মাইক্রো ব্লগিং সাইট এক্সে (সাবেক টুইটার) একটি পোস্ট করেছেন আলী মুহাম্মদ খান। তিনি ইমরান খানের বক্তব্য উদ্ধৃত করে লিখেছেন, “ক্ষমতায় আসার পর, আমরা কোনো রাজনৈতিক প্রতিশোধ নেব না। আমরা দেশ ও জাতিকে সামনে এগিয়ে নেব, দেশ এবং জাতির উন্নয়নের জন্য।”

ইমরান খান কারাগার থেকে আরও বলেছেন, “আমাদের ন্যায় ও ক্ষমাশীলতার সঙ্গে এগিয়ে যেতে হবে। তেহরিক-ই-ইনসাফ, ক্ষমতায় আসার পর, পাকিস্তানকে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা এবং উন্নয়নের দিকে নিয়ে যাবে। কোনো প্রতিশোধ নয়।”

তিনি আরও জানিয়েছেন, ইমরান খান দক্ষিণ আফ্রিকার প্রয়াত অবিসংবাদিত নেতা নেলসন ম্যান্ডেলার কথা উল্লেখ করেছেন। যিনি দেশকে গড়ার জন্য একটি ন্যায় ও সমন্বয়সাধন কমিশন গঠন করেছিলেন।

গত ৮ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের ২৬৬ আসনের মধ্যে ২৬৫টি আসনে নির্বাচন হয়। এতে ইমরান খানের পিটিআইয়ের স্বতন্ত্র প্রার্থীরা ৯২টি আসনে জয় পায়। তবে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন না করায় তার দলের সরকার গঠনের সম্ভাবনা খুবই কম।

এবারের নির্বাচনে নওয়াজ শরীফের পাকিস্তান মুসলিম লীগ-এন (পিএমএলএন) দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৭৫টি আসন পেয়েছে। আর বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারির পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) পেয়েছে ৫৪টি আসন।

ধারণা করা হচ্ছে, পিপিপির সমর্থন নিয়ে পাকিস্তানে নতুন সরকার গঠন করবে পিএমএলএন। তবে এই সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নওয়াজ শরীফকে দেখা যাবে না   

 


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ