বুধবার, ০২ জুলাই ২০২৫ ।। ১৭ আষাঢ় ১৪৩২ ।। ৭ মহর্‌রম ১৪৪৭

শিরোনাম :
বাংলাদেশ খেলাফত যুব মজলিস খারুয়া ইউনিয়নের দাওয়াতি মজলিস অনুষ্ঠিত ফ্যাসিবাদ বন্ধে পিআর পদ্ধতির নির্বাচন সর্বোত্তম পন্থা: চরমোনাই পীর দ্রুত গুম-খুনের বিচার ও শহীদদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দাবি খালেদা জিয়ার জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে খেলাফত মজলিসের ৩৬ দিনব্যাপী কর্মসূচি  জুলাই স্মরণে ইসলামী ছাত্র আন্দোলন-এর দেশব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা মানবিক-ইনসাফভিত্তিক বাংলাদেশ গড়ার সময় এখনই : তারেক রহমান যেকোনো দিন গাজায় যুদ্ধবিরতি হতে পারে: ট্রাম্প জামিয়া মাদানিয়া বারিধারা মাদরাসার ইসলাহি মজলিস বৃহস্পতিবার ‘জুলাই ঘোষণাপত্র চূড়ান্ত করতে না পারা এই সরকারের বড় ব্যর্থতা’ ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক থাকলেই মৃত্যুদণ্ড, ইরানে নতুন আইন

লিবিয়ার বন্যায় মৃতের সংখ্যা ১১ হাজার ছাড়াল

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার
সংগৃহীত ছবি

লিবিয়ার পূর্বাঞ্চলীয় দারনা শহরে বাঁধভাঙা বন্যায় মৃতের সংখ্যা ১১ হাজার ছাড়িয়েছে। এই সংখ্যা শেষ পর্যন্ত ২০ হাজারে পৌঁছাতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন শহরটির মেয়র। কারণ এখনো বহু মানুষ নিখোঁজ রয়েছেন। সাগরের পানিতে ভেসে আসছে একের পর এক মরদেহ।

লিবীয় রেড ক্রিসেন্ট জানিয়েছে, গত রোববার (১০ সেপ্টেম্বর) দারনায় ঘূর্ণিঝড় ড্যানিয়েলের আঘাতের পর দুটি বাঁধ ধসে সৃষ্ট ভয়াবহ বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১১ হাজার ৩০০তে দাঁড়িয়েছে। উদ্ধার তৎপরতা চলছে এবং কাঁদামাটির ভেতর থেকে একের পর এক মরদেহ উদ্ধার হওয়ায় এর সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।

এই ঘটনায় নিহতদের মধ্যে অন্তত ৪০০ জন বিদেশি রয়েছেন। এদের বেশিরভাগই সুদান এবং মিসরের নাগরিক বলে জানিয়েছেন লিবিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। লিবিয়ার এই বন্যায় মারা গেছেন ছয় বাংলাদেশিও। এ ঘটনায় নিখোঁজদের মধ্যেও কিছু বাংলাদেশি থাকতে পারেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

দারনার মেয়র আবদুলমেনাম আল-গাইথির আশঙ্কা, মৃতের সংখ্যা শেষ পর্যন্ত ২০ হাজারে পৌঁছাতে পরে। কারণ বন্যায় শহরটির একটি অংশ পুরোপুরি নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে।

ভূমধ্যসাগর পাড়ের দারনা শহরটিতে প্রায় এক লাখ মানুষ বসবাস করতো। প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, বাঁধ ধসে গেলে অনেকটা সুনামির মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছিল। এতে ভয়ংকর পানির স্রোত এসে ভাসিয়ে নিয়ে যায় চলার পথের সব কিছু।

কর্মকর্তাদের ধারণা, বন্যায় অন্তত ৩০ হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। এই পরিস্থিতির জন্য স্থানীয়দের অনেকেই অবকাঠামোর দুর্বল ব্যবস্থাপনাকে দায়ী করেছেন। দেশটির সতর্কতা ব্যবস্থার সমালোচনা করেছে জাতিসংঘও।

বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার প্রধান বলেছেন, বাসিন্দাদের সতর্ক করা গেলে এবং পালানোর সময় দেওয়া হলে বেশিরভাগ হতাহতের ঘটনা এড়ানো যেতো।

সূত্র: আল-জাজিরা, বিবিসি

টিএ/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ