আগামী বছরের শুরুতেই বাংলাদেশে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওকে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এ সময় মার্কো রুবিও বাংলাদেশের চলমান সংস্কার কর্মসূচি এবং নির্বাচন অনুষ্ঠানের উদ্যোগকে স্বাগত জানান।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
জানা গেছে, সোমবার (১ জুলাই) সন্ধ্যায় প্রধান উপদেষ্টা ইউনূস এবং মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রুবিওর মধ্যে টেলিফোনে ১৫ মিনিটব্যাপী কথা হয়। আলোচনা হয় দ্বিপক্ষীয় স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে। এর মধ্যে ছিল—বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য সম্পর্ক, চলমান রাজনৈতিক সংস্কার, গণতান্ত্রিক উত্তরণের রূপরেখা, আসন্ন জাতীয় নির্বাচন এবং রোহিঙ্গা সংকটসহ অন্যান্য বিষয়।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের বরাত দিয়ে বলা হয়েছে, দুই দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরও জোরদার করার পাশাপাশি আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা ইস্যু নিয়েও মতবিনিময় হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানান, ফোনালাপ অত্যন্ত সৌহার্দ্যপূর্ণ, বন্ধুসুলভ এবং গঠনমূলক পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে দুই দেশের চমৎকার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের প্রতিফলন ঘটেছে।
ফোনালাপে মার্কো রুবিও উল্লেখ করেন, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় রপ্তানি গন্তব্য এবং অন্যতম রেমিট্যান্স উৎস। দুই নেতা আশা প্রকাশ করেন, শিগগিরই শুল্ক বিষয়ক আলোচনার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে, যা দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য সম্প্রসারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
তারা ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের শান্তি, স্থিতিশীলতা এবং প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক নিয়েও আলোচনা করেন।
প্রধান উপদেষ্টা ইউনূস আগামী বছরের শুরুতেই বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানের অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ উদ্যোগকে স্বাগত জানান এবং বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ধারা, অর্থনৈতিক অগ্রগতি ও আঞ্চলিক স্থিতিশীলতায় যুক্তরাষ্ট্রের অব্যাহত সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
খবর: বাসস, ইউএনবি।
এনএইচ/