|| মাওলানা শরীফ মুহাম্মদ ||
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানকে দমন করতে একটি সরকার যা যা করতে পারে তার সবটুকুই করা হয়েছিল; হিংস্রতা ও দমন-পীড়নের কোনো কিছু বাকি রাখা হয়নি। শেখ হাসিনার কোনো কসুর ছিল না। বাহিনী ব্যবহার করেছে, বন্দুক ব্যবহার করেছে, হেলিকপ্টার থেকে গুলি চালিয়েছে, দলের গুন্ডাবাহিনী নামিয়েছে, অনুগত মিডিয়ায় একতরফা প্রচারের ব্যবস্থা করেছে, ইন্টারনেট বন্ধ করেছে। তার দিক থেকে কোনো নমনীয়তা ও দুর্বলতা ছিল না। প্রায় দুই হাজার মানুষকে হত্যা করেছিল এবং আরো হাজার হাজার মানুষকে হত্যা করার প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছিল। সে কিন্তু অনেক চেষ্টা করেছে। বেচারি পারে নাই। তার ব্যর্থতার জন্য তাকে দোষ দিয়েন না। ...
আর আওয়ামী লীগের কথা যদি বলেন, ঢাকা থেকে নিয়ে মফস্বলের প্রতিটি জনপদে তারা সর্বোচ্চ মাস্তানি ও গোলাগুলি করেছে। যে যতটুকু নির্মম হতে পারে, হয়েছে। দেশের মানুষকে কুকুর বিড়ালের মতো মেরেছে। তাদের ক্ষমতা ধরে রাখার জন্য চেষ্টার কোনো ত্রুটি করে নাই; কিন্তু পারে নাই। এই ব্যর্থতার জন্য তাদের প্রতি অবজ্ঞা করবেন না, তাচ্ছিল্য করবেন না, ভবিষ্যতে তারা আবার নির্মম হয়ে উঠবে না, এমন ব্যর্থতার আগাম দায় তাদেরকে দেবেন না। সুযোগ পেলেই খুনাখুনির জন্য তারা আবার রেডি হয়ে যাবে। দেশের মানুষকে মারতে সর্বোচ্চ অবদানটা তারা রাখতে চেষ্টা করবে। নৈরাজ্য ও লুটতরাজে তারা ভয় পায় না। তারা সাহসী এবং মেহনতি।
শেখ হাসিনা ও তার দলের এই বিশাল চেষ্টা, অবদান ও ভূমিকা এবং ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা মাথায় রেখে তাদেরকে ট্রিট করুন। সযত্ন বিচার কিংবা স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি সাদর প্রতিরোধ না করলে তাদের অবদানের যথাযথ স্বীকৃতি হবে না। মিডিয়া ও প্রশাসনের বিভিন্ন জায়গায় তাদের হয়ে যারা মেহনত খেদমত করেছে এবং করছে, তাদের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখুন। জুলাই যাবে, জুলাই আসবে কিন্তু তাদের প্রতি আপনাদের মনোযোগ যথাযথ থাকবে না এটা ঠিক হবে না, এটা ইনসাফ না।
লেখক: জ্যেষ্ঠ আলেম সাংবাদিক ও বিশ্লেষক
এমএইচ/