রবিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ।। ৬ আশ্বিন ১৪৩২ ।। ২৯ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
জেদ্দায় হজ সম্মেলন ও প্রদর্শনী নভেম্বরে আজ ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিচ্ছে যুক্তরাজ্য খেলাফত মজলিস বানিয়াচং উপজেলা শাখার ইউনিয়ন প্রতিনিধি সম্মেলন ‘নীলনদের পানি যেমন নীল নয়, তেমনি জামায়াতেও ইসলাম নেই’ কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি শরীফুল, সম্পাদক মাজহারুল ‘ইসলামি শক্তির মধ্যে অনৈক্য সৃষ্টি করে এমন বক্তব্য থেকে বিরত থাকুন’ গণঅধিকার পরিষদ ও এনসিপির একীভূত হওয়ার আলোচনা, নেতৃত্ব নিয়ে জটিলতা পিআর সিস্টেমের নির্বাচন নিরাপদ নির্বাচন, আদর্শের নির্বাচন: শায়খে চরমোনাই মসজিদ নিয়ে দ্বন্দ্ব, সড়কে জুমা আদায় হেফাজতের চার রাহবার সিরাতে মুস্তাকিমের পথ প্রদর্শক ছিলেন: হেফাজত আমির

ইসলামফোবিয়ার বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার ডাক আজারবাইজানের প্রেসিডেন্টের

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

ইসলাম ও মুসলমানদের বিরুদ্ধে বাড়তে থাকা বিদ্বেষ ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে মুসলিম দেশগুলোকে ঐক্যবদ্ধভাবে অবস্থান নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভ।

সোমবার দেশটির রাজধানী বাকুতে অনুষ্ঠিত ‘Islamophobia in Focus: Unveiling Bias, Shattering Stigmas’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে পাঠানো এক লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘ইসলামফোবিয়া এখন একটি বৈশ্বিক ও প্রাতিষ্ঠানিক সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। মুসলিম বিশ্ব এই অন্যায় ও বিপজ্জনক প্রবণতার বিরুদ্ধে একযোগে কণ্ঠ তুলতে হবে।’

আলিয়েভ বলেন, ‘ইসলাম ও মুসলমানদের বিরুদ্ধে বিদ্বেষ, ঘৃণা ও অসহিষ্ণুতা দিন দিন বাড়ছে এবং তা আজ আর বিচ্ছিন্ন নয়, বরং বেশ ‘সুনির্দিষ্ট ও কাঠামোবদ্ধ’।’

প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘ইসলামফোবিয়া আজ কিছু দেশে কার্যত রাষ্ট্রীয় নীতিতে পরিণত হয়েছে। বিশেষ করে যেসব দেশের ঔপনিবেশিক অতীত আছে, সেখানে মুসলমানদের ধর্মীয় স্বাধীনতা, শিক্ষা, আবাসন ও কর্মসংস্থানের অধিকার ক্রমাগতভাবে খর্ব করা হচ্ছে—সবই ধর্মনিরপেক্ষতার ছদ্মাবেশে।’

আজারবাইজান প্রেসিডেন্ট স্পষ্টভাবে উল্লেখ করেন, ইসলামের ওপর আক্রমণ ও মুসলমানদের হেয় প্রতিপন্ন করার প্রচেষ্টা স্বাধীন মত প্রকাশের নামে গ্রহণযোগ্য হতে পারে না।

তিনি অভিযোগ করেন, কিছু রাষ্ট্র ও রাজনৈতিক গোষ্ঠী এই ইসলামবিদ্বেষকে উসকে দিচ্ছে। ‘চরমপন্থী দল ও ডানপন্থী রাজনীতিকেরা ইসলাম ও মুসলমানদের পশ্চিমা মূল্যবোধের জন্য হুমকি হিসেবে তুলে ধরে জনমত পেতে চাইছে,’ বলেন তিনি।

আলিয়েভ বলেন, ‘কিছু গণমাধ্যম ইসলামকে উগ্রবাদ ও সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে ইচ্ছাকৃতভাবে গুলিয়ে ফেলে। তারা ইসলামকে একটি হুমকি হিসেবে তুলে ধরে নেতিবাচক জনমত তৈরি করছে। মুসলমানদের প্রতি সমাজে ভয় ও অবিশ্বাস ছড়িয়ে দিচ্ছে।’

তিনি আরও বলেন, ইউরোপীয় পার্লামেন্ট ও ইউরোপ কাউন্সিলের পার্লামেন্টারি অ্যাসেম্বলি ইসলামফোবিয়া বিস্তারে পরোক্ষভাবে ভূমিকা রাখছে—তাদের পক্ষপাতমূলক ও দ্বিমুখী নীতির কারণে।

বক্তব্যের শেষ ভাগে প্রেসিডেন্ট আলিয়েভ ইসলাম সম্পর্কে বলেন, ‘ইসলাম হলো শান্তি, সংহতি ও করুণার ধর্ম। যতোই অপপ্রচার চালানো হোক, ইসলাম এখনও ন্যায়বিচার, মানবিকতা ও উচ্চ নৈতিক মূল্যবোধের প্রতীক। এটি কোটি কোটি মানুষের জন্য নৈতিক দিকনির্দেশনা হয়ে রয়েছে।’

সূত্র: আনাদোলু

এনএইচ/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ