মঙ্গলবার, ২১ মে ২০২৪ ।। ৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ ।। ১৩ জিলকদ ১৪৪৫


এবার 'আরবি পরিভাষা নিয়ে আপত্তিকারীদের' ধুয়ে দিলেন নদভী


নিউজ ডেস্ক

নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

|| হাসান আল মাহমুদ ||

আরবি শব্দের পরিভাষা নিয়ে আপত্তিকারীদের ধুয়ে দিলেন বিশিষ্ট লেখক সাংবাদিক মাওলানা উবায়দুর রহমান খান নদভী

তিনি বলেন ,‘ যারা বোকার মতো খাঁটি বাংলা বাংলা করে, তারা জানে না যে, জীবন্ত ভাষায় শত শত বিদেশী শব্দ ব্যবহৃত হয়। বাংলাভাষাও এমন। 'গামছা' এবং 'খাঁচা' ছাড়া আর কোনো খাঁটি বাংলা শব্দ কারো জানা থাকলে আমাকে জানানোর অনুরোধ করছি। আমার জানা মতে এগুলো ছাড়া খুব সামান্য  কিছু খাঁটি বাংলা শব্দই দুনিয়াতে আছে’।

সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) নিজের ফেসবুক আইডিতে পোস্ট করে এ কথা বলেন তিনি। এসময় তিনি লিখেন, ‘লেখাটি সেসব মূর্খের জন্য, আরবী শব্দ নিয়ে যাদের আপত্তি’।

‘তবে বাংলা হিসাবে ব্যবহৃত ৯৯.৯% ভাগ শব্দই আরবি, ফারসি, তুর্কি, পর্তুগিজ, চীনা, ইংরেজি, সংস্কৃত, গ্রিক, ইটালিয়ান, ফ্রেঞ্চ প্রভৃতি। কালের আবর্তে এসবই বাংলায় রূপান্তরিত হয়ে গেছে। নতুন সব শব্দেরও বাংলায় পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কারণ এটি মুসলিম শাসকদের যত্নে গড়া শংকর জাতীয় উদার ইনক্লুসিভ শক্তিশালী ভাষা।’- যুক্ত করেন তিনি।

তিনি বলেন, ‘যারা ইসলামী শব্দ ও পরিভাষার বিরুদ্ধে কথা বলে, সেসব মূর্খকে বলি, আগে বাংলাভাষার ইতিহাস ক্রমবিকাশ ও বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে জানতে চেষ্টা করে পরে কথা বল’।

প্রসঙ্গত, সম্প্রতি দেশের বেসরকারি একটি টিভি চ্যানেলের টকশোতে ইসলামী নানা পরিভাষা নিয়ে আপত্তি তুলেছেন একজন উপস্থাপক। বাংলাদেশীরা নানা পরিস্থিতিতে যে ‘ইনশাআল্লাহ’, ‘আলহামদুলিল্লাহ’  ও ‘জাযাকাল্লাহ’র মতো বাক্যগুলো বলেন, সে বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তিনি। যদিও তার আলোচনার মধ্যে এগুলোর বিকল্প বলতে গিয়ে তাকে ইংরেজি শব্দ উচ্চারণ করতে দেখা গেছে।

এ ঘটনার পর ওই উপস্থাপকও সাধারণ মানুষের চরম ক্ষোভের মুখে পড়েছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোতে তাকে তুলোধুনো করছেন অনেকে। এ বিষয়ে কথা বলছেন গণ্যমান্য ব্যক্তিরাও।

হাআমা/


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ