রবিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৫ ।। ১০ কার্তিক ১৪৩২ ।। ৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
কোনোভাবেই পতিত ফ্যাসিবাদকে সুযোগ দেওয়া যাবে না: পীর সাহেব চরমোনাই ৫ দফা দাবিতে যুগপৎ কর্মসূচি সফল করার আহ্বান জামায়াতের মৃত্যুর আগে শেষ স্ট্যাটাসে যা লিখে গেছেন ফার্মগেটে নিহত যুবক দুই সপ্তাহ ধরে আন্দোলনরত ইবতেদায়ি শিক্ষকদের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা গাজায় শিশুদের জীবন রক্ষায় যুদ্ধবিরতিকে টিকিয়ে রাখতে হবে: ইউনিসেফ সরকারের বোধোদয় না হলে কঠিন কর্মসূচির পথে হাঁটবে ইসলামী আন্দোলন সিম ব্যবহারে নতুন নীতিমালা: ৪ দিন পরেই বাতিল অতিরিক্ত সিমকার্ড বরিশালে নতুন ব্যাচের নূরানী মু'আল্লিম প্রশিক্ষণ কোর্স শুরু ১০ নভেম্বর ভালোদের তুলে না আনলে অযোগ্যরা ওয়াজের মাঠ দখল করবেই জাতীয় পার্টি আগামী নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না: আখতার হোসেন

‘অভিভাবকরা স্কুল বাদ দিয়ে কওমি মাদরাসার দিকে ঝুঁকছেন’

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষা বিভাগের সাবেক জ্যেষ্ঠ সচিব ড. খ ম কবিরুল ইসলাম বলেছেন, বর্তমানে শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা স্কুল বাদ দিয়ে কওমি মাদরাসার দিকে ঝুঁকছেন। এমন সিদ্ধান্তের পেছনে রয়েছে স্কুলে বিশ্বাস ও মূল্যবোধের প্রতিফলন না ঘটা।

শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) রাজধানীর ধানমন্ডিতে জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থাপনা একাডেমিতে (নায়েম) এক অনুষ্ঠানে সাবেক এই সচিব এসব বলেন। শিক্ষা অধিকার সংসদ আয়োজিত ‘ইয়াং এডুকেটরস সামিট-২০২৫’ এর ‘রিইম্যাজিনিং এডুকেশন ইন বাংলাদেশ টু পয়েন্ট জিরো: ভিশন টুয়েন্টি থার্টি অ্যান্ড বিয়ন্ড’ শীর্ষক মূল অধিবেশনে বক্তব্য রাখছিলেন তিনি।   

খ ম কবিরুল ইসলাম বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থা পুনরায় ঢেলে সাজাতে মূল্যবোধ ও প্রযুক্তির সমন্বয়ের ওপর জোর দেন। তিনি বলেন, শিশুরা এখন স্কুলে যাচ্ছে না। উদ্বেগজনক হচ্ছে তারা কওমি মাদরাসায় যাচ্ছে। উদ্বেগের কারণ এই যে, কওমি মাদরাসায় তো চাকরি নেই। তাহলে অভিভাবকরা পাঠাচ্ছেন কেন? কারণ তারা মনে করছেন, স্কুলে তাদের বিশ্বাসের প্রতিফলন ঘটছে না। এজন্য মূল্যবোধ এবং প্রযুক্তির সমন্বয় প্রয়োজন।

এক্ষেত্রে প্রযুক্তির ব্যবহারে সতর্কতার প্রয়োজনীয়তাও স্মরণ করিয়ে দেন তিনি। বলেন, কোন বয়সে কোন প্রযুক্তি শিক্ষার্থীদের দেওয়া হবে, তা আমাদের ভাবতে হবে। দক্ষিণ কোরিয়ায় সম্প্রতি একটি নীতি গ্রহণ করেছে যে, ১৬ বছরের কম বয়সী শিশুদের অনেক ডিভাইস তারা দেবে না। অস্ট্রেলিয়াতে এক গবেষক আমাকে বলেছিলেন, অতিরিক্ত প্রযুক্তি ব্যবহারের কারণে শিশুদের যোগাযোগ দক্ষতা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।

এদিকে রাষ্ট্রব্যবস্থা এবং শিক্ষক ও অভিভাবকদের নির্লিপ্ততা ও অবহেলার কারণে শিক্ষা ব্যবস্থা ধসে পড়েছে বলেও মন্তব্য করেছেন সাবেক এই সরকারি কর্মকর্তা। তিনি বলেন, আমরা চাকরি করি সবাই, আমাদের ভিতরে কোনো মোটিভেশন নাই। একইসঙ্গে ভোগবাদিতায় লিপ্ত হয়ে গেছি। অভিভাবকদের কাছে জ্ঞান অর্জনের চেয়ে জিপিএ ৫ মুখ্য হয়ে গেছে। এ ছাড়া গত ১৫ বছরে শিক্ষা অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যতটুকু বেঁচে আছে, তা ইনস্টিটিউশনাল না; ব্যক্তিগত উদ্যোগে কিছু ক্ষেত্রে বেঁচে আছে। অর্থাৎ শিক্ষাব্যবস্থার সমস্ত অংশীজনের মধ্যে আমি শিক্ষার্থীদের দোষ কম দেব।

এনএইচ/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ