সোমবার, ০৩ নভেম্বর ২০২৫ ।। ১৮ কার্তিক ১৪৩২ ।। ১২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
দেশ কীভাবে গণতন্ত্রের পথে হাঁটবে তা নির্ভর করছে আসন্ন নির্বাচনের ওপর: সিইসি গণভোটের বিষয়ে দলগুলো একমত না হলে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে সরকার  ইরানে ভয়াবহ খরা, তীব্র পানি সংকটের আশঙ্কা তেহরানে  পাঁচ দফা দাবিতে নতুন কর্মসূচি দিলো জামায়াত-ইসলামী আন্দোলনসহ ৮ দল এক সপ্তাহের মধ্যে পরামর্শ জানাতে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি সরকারের আহ্বান নতুন প্রজন্মের জন্য 'ধূমপান' সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করল মালদ্বীপ জামায়াত ক্ষমতায় আসলে কওমি ও সুন্নিদের অস্তিত্ব থাকবে না: মহিবুল্লাহ বাবুনগরী ঢাকায় ঝটিকা মিছিলে অংশ নেওয়ায় আওয়ামী লীগের ৬ নেতাকর্মী আটক ‘আমি তোমাদের মায়ের বয়সী’ বলে কাঁদলেও ধর্ষণ থেকে রেহাই পাননি সুদানি নারী ৬ মাসে হাফেজ হলেন ৯ বছর বয়সী হাসান

৭ মাসে কুরআনের হাফেজ ইতালি প্রবাসী বাবার দুই ছেলে

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

মাত্র সাত মাসের মধ্যে কুরআনের হাফেজ হওয়ার গৌরব অর্জন করেছেন ইতালি প্রবাসী বাবার দুই ছেলে। বাংলাদেশের একটি মাদ্রাসায় পড়াশোনা করে তারা হাফেজ হওয়ার মর্যাদা অর্জন করেছেন এবং পেয়েছেন পাগড়ি। বাবার স্বপ্ন, তাদের মিশরে পাঠিয়ে আলেম বানাবেন।

মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার আলমদস্তার এলাকার জামিয়া আরাবিয়া দারুল উলূম মাদ্রাসায় অধ্যয়নরত হাফেজ আব্দুর রহমান হাওলাদার (১৫) ও হাফেজ আব্দুর রহিম হাওলাদার (১৩) মাত্র সাত মাসে পূর্ণ কুরআন মুখস্থ করেন। বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) জোহরের নামাজ শেষে মাদ্রাসার মসজিদে তাদের পাগড়ি পরিয়ে দেন প্রতিষ্ঠানের প্রিন্সিপাল মুফতি রেজাউল ইসলাম। এ সময় ফুলের মালা দিয়ে অভিনন্দন জানান স্থানীয় আলেম ও স্বজনরা।

আব্দুর রহমান ও আব্দুর রহিমের বাড়ি মাদারীপুর সদর উপজেলার কুচিয়ামোড়া গ্রামে। তারা প্রবাসী মামুন হাওলাদার ও তানিয়া হাওলাদার দম্পতির সন্তান। জন্মসূত্রে তারা ইতালির নাগরিক।

পরিবার সূত্রে জানা যায়, মামুন হাওলাদার দীর্ঘ ২৩ বছর ধরে ইতালিতে কর্মরত। সেখানেই স্ত্রী-সন্তান নিয়ে স্থায়ীভাবে বসবাস করলেও ইসলামী শিক্ষার উপযুক্ত পরিবেশ না থাকায় সন্তানদের বাংলাদেশে এনে মাদ্রাসায় ভর্তি করান। অল্প সময়েই দুই ছেলে হাফেজ হওয়ার কৃতিত্ব দেখিয়ে সবার প্রশংসা কুড়িয়েছেন।

প্রবাসী বাবা মামুন হাওলাদার বলেন, “আমার দুই ছেলে জন্মসূত্রে ইতালির নাগরিক হলেও আমি চাই, তারা বড় আলেম হোক। এজন্য দেশে এনে মাদ্রাসায় ভর্তি করাই। আজ তারা হাফেজ হয়েছে, এতে আমি খুব খুশি। ইনশাআল্লাহ, আবার তাদের ইতালি নিয়ে যাবো এবং পরে মিশরে মাওলানা পড়তে পাঠাবো।”

এমএইচ/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ