বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৫ ।। ৭ কার্তিক ১৪৩২ ।। ১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
জীবন দিলেও যদি চরিত্র না বদলায় তাহলে ভাগ্যও বদলাবে না: শায়খে চরমোনাই শ্রীমঙ্গলে বেওয়ারিশ কুকুরের আতঙ্ক: এক ঘণ্টায় তিন শিশু আহত ‘দুঃখজনক হলো ইসলামি অঙ্গন থেকে শক্তিশালী মিডিয়া গড়ার উদ্যোক্তা আমরা পাইনি’ ২৪ এর লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য এখন পর্যন্ত পূরণ হয়নি: সারজিস ইন্ডিয়ার এজেন্ট ইসকন সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে দেশব্যাপী সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তুলুন ইবতেদায়ী শিক্ষকদের ন্যায্য দাবিতে শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্য জোটের জোরালো সমর্থন ভারতীয় আগ্রাসন নারী ও শিশু ধর্ষণের প্রতিবাদে সর্বস্তরের ছাত্র জনতার মানববন্ধন প্রলোভনের ফাঁদ: 'কেন আমাদের সন্তানরা এত সহজে ধরা দেয়? দেশ গড়ায় কেবল নেতা নয়, নীতিরও পরিবর্তন করতে হবে : মাসুদ সাঈদী ইমাম দম্পতিকে নির্যাতনের প্রতিবাদে দুর্গাপুরে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত

নগরকান্দায় বিচারগান বন্ধ: 'ইসলাম পরিপন্থী' অভিযোগের ভিত্তিতে ব্যবস্থা নিল প্রশাসন

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

ফরিদপুরের নগরকান্দায় বিচারগানের আয়োজনের ওপর ‘ইসলাম পরিপন্থী’ বলে অভিযোগ পাওয়ার পর অনুষ্ঠান বন্ধ করে দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন।

বুধবার (২২ অক্টোবর) সন্ধ্যায় উপজেলার তালমা ইউনিয়নের রসুলপুর বাজারে এ আয়োজন হওয়ার কথা ছিল।

আয়োজকরা জানান, এই আয়োজনকে ‘যাত্রাপালা’ আখ্যা দিয়ে ‘ইসলাম পরিপন্থী’ বলে আপত্তি তুলেন স্থানীয়দের একাংশ। তাদের অভিযোগ পেয়ে বুধবার সন্ধ্যায় নগরকান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ঘটনাস্থলে গিয়ে অনুষ্ঠান বন্ধের নির্দেশ দেন। এসময় অনুষ্ঠানের জন্য তৈরি করা প্যান্ডেল খুলে ফেলা হয়।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার তালমা ইউনিয়নের রসুলপুর বাজারে এই বিচারগানের আয়োজন করা হয়েছিল। স্থানীয় ইউপি সদস্য সোলেমান ফকির এ আয়োজনের উদ্যোক্তা ছিলেন। অনুষ্ঠান উপলক্ষে মঞ্চ ও প্যান্ডেল তৈরির পাশাপাশি দুই দিন ধরে মাইকিংও করা হয়। কিন্তু সব প্রস্তুতি শেষে অনুষ্ঠান শুরুর ঠিক আগমুহূর্তে তা বাতিল করা হয়।

আয়োজক ও তালমা ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য সোলেমান ফকির গণমাধ্যমকে বলেন, স্থানীয়দের অনুরোধে আমি এই আয়োজন করেছিলাম। এটা আমাদের এলাকার পুরনো ঐতিহ্য। কিন্তু হুজুররা এটাকে ‘যাত্রাপালা’ বলে প্রচার করে ইউএনও সাহেবের কাছে অভিযোগ করে গানের এ আয়োজন বন্ধ করে দিলেন।

ইউএনও দবির উদ্দিন বলেন, এ রকম অনুষ্ঠানের জন্য আগে থেকে অনুমতি নিতে হয়। জেলা প্রশাসক এ অনুমতি দেন। এটি এক দিনের অনুষ্ঠান ছিল। প্রথমে আমরা তেমন গুরুত্বের সঙ্গে দেখিনি। তবে বুধবার বিকেলে দেড় শতাধিক ব্যক্তি আমার কাছে এসে জানান, এ আয়োজন ইসলাম পরিপন্থী, এ অনুষ্ঠান বন্ধ করতে হবে। আর অনুষ্ঠান বন্ধ করা না হলে ওই এলাকায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটতে পারে।

ইউএনও আরও জানান, ওই অনুষ্ঠান নিয়ে আপত্তি আসার বিষয়টি তাৎক্ষণিক জেলা প্রশাসককে জানানো হয়। পরে জেলা প্রশাসকের পরামর্শে এবং যেহেতু কোনো অনুমতি না নিয়ে এ আয়োজন করা হচ্ছিল, তা বন্ধ করে দেওয়া হয়।

প্রসঙ্গত, বিচারগান হলো বাংলাদেশের একটি ঐতিহ্যবাহী লোকসংগীতের ধারা, যেখানে গান ও সংলাপের মাধ্যমে সামাজিক, নৈতিক বা ধর্মীয় বিষয়ে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করা হয়। এটি অনেকটা কবিগানের মতোই একটি আধ্যাত্মবাদী বা সাধন-ভজনের পালাগান, যেখানে শিল্পীরা গান ও যুক্তিতর্কের মাধ্যমে একটি বিষয়ের নানা দিক তুলে ধরেন। 

এলএইস/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ