আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়নি বলে জানিয়েছেন সংগঠনটির যুগ্ম মহাসচিব আল্লামা মামুনুল হক।
সোমবার (১৩ অক্টোবর) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোটার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) শফিকুল কবির মিলনায়তনে আয়োজিত এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সঙ্গীত শিক্ষক নিয়োগ বাতিল ও ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগের নতুন বিধিমালা প্রণয়ন, কুরআন অবমাননার বিচার, কাঠামোগত ইসলামবিদ্বেষ ও ধর্ম অবমাননা রোধে সর্বোচ্চ কঠোর আইন প্রণয়নের দাবিতে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মাওলানা মামুনুল হক বলেন, হেফাজতে ইসলাম একটি অরাজনৈতিক সংগঠন। তাই নির্বাচনে প্রতিদ্বনিন্দ্বতা করা আমাদের নীতিমালায় নেই। আমাদের আমির সবসময় ধর্মীয় বিষয়ে বক্তব্য দেন। তিনি যদি কোনো বক্তব্য দিয়ে থাকেন, সেটি তার ব্যক্তিগত বক্তব্য। সংগঠন কোনো সিদ্ধান্ত নিলে সেটি সাংগঠনিকভাবে জানানো হবে।
ইবনে শাইখুল হাদিস বলেন, আমাদের সংগঠনের কোনো নেতাকর্মী যদি ব্যক্তিগতভাবে কোনো রাজনৈতিক কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত হন। সেটি তার ব্যক্তিগত স্বাধীনতা। সাংগঠনিকভাবে হেফাজতে ইসলাম কোনো রাজনীতির সঙ্গে নেই।
সংবাদ সম্মেলনে মহাসচিব সাজিদুর রহমান বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নাচ-গানের শিক্ষক নিয়োগ দিয়েছেন সরকার। আমাদের সুফি-জনতা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গান বাজনা চায় না। তারা একটি ইসলামী আদর্শের রাষ্ট্র চায়। অভিভাবকরাও তাদের ছেলে-মেয়েদের গান-বাজনা শেখাতে স্কুলে পাঠায় না।
হেফাজত মহাসচিব বলেন, আমরা সরকারকে অনতিবিলম্বে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সঙ্গীত শিক্ষকের নিয়োগ বাতিল করে সব বিদ্যালয়ে ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগের নতুন বিধিমালা প্রণয়নের দাবি জানাচ্ছি। পাশাপাশি কুরআন অবমাননায় সর্বোচ্চ শাস্তির বিধান রেখে আইন প্রণয়নের দাবি জানাচ্ছি।
এলএইস/