সোমবার, ২৭ অক্টোবর ২০২৫ ।। ১০ কার্তিক ১৪৩২ ।। ৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
বরগুনার ইসলামী আন্দোলনের নেতৃবৃন্দের বিএনপিতে যোগদানের খবরটি মিথ্যা নবীজির জীবনাদর্শ অনুসরণে জীবন আলোকিত হবে: ধর্ম উপদেষ্টা বাংলাদেশ-পাকিস্তান একে অপরকে সহযোগিতা করে যাবে–ড. ইউনূসকে জেনারেল সাহির ‘আলেম সমাজকে প্রকৃত ভূমিকা পালনে অগ্রণী হতে হবে’ ভাগ্যের পরিবর্তন চাইলে ইসলামকে ক্ষমতায় নিতে হবে: শায়খে চরমোনাই মেট্রোরেলের বিয়ারিং প্যাড খুলে পথচারীর মৃত্যু, কারণ অনুসন্ধানে কমিটি গঠন ফেব্রুয়ারি নয়, জানুয়ারিতেই নির্বাচনের দাবি গণঅধিকার পরিষদের মনিগাঁও মাদরাসার প্রাক্তন ছাত্রদের পুনর্মিলনী ২৯ নভেম্বর কোনোভাবেই পতিত ফ্যাসিবাদকে সুযোগ দেওয়া যাবে না: পীর সাহেব চরমোনাই ৫ দফা দাবিতে যুগপৎ কর্মসূচি সফল করার আহ্বান জামায়াতের

সেফ নয়, স্বাভাবিক এক্সিট নিয়েই দেশে থাকবো: ধর্ম উপদেষ্টা

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, ‘আমরা সেফ এক্সিট চাই না। স্বাভাবিক এক্সিট নিয়েই জাীতয় নির্বাচন পরবর্তী সময়ে এই দেশেই থাকবো।’

শনিবার (১১ অক্টোবর) রাঙ্গামাটিতে পার্বত্য চট্টগ্রাম ওলামা পরিষদ আয়োজিত ‘সম্প্রীতি সমাবেশ’ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে জাতীয় নির্বাচন যথাসময়ে ও সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন কমিশন ইতোমধ্যেই প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। নির্বাচিত সরকারের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করে আমরা চলে যাব। সেফ এক্সিট বলতে আমি কিছু বুঝি না। আমার কোনো সেকেন্ড হোম নেই, এমনকি ঢাকাতেও আমার নিজের বাড়ি নেই। বর্তমানে আমি সরকারি বাড়িতে এবং চট্টগ্রামে ভাড়া বাসায় থাকি। আমি এই দেশের মানুষ। এই দেশ আমার, এখানেই আমি থাকব।

ধর্ম উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘আমরা সম্প্রীতির বন্ধনে থাকতে চাই। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি আমাদের মৌলিক বিষয়। পার্বত্য অঞ্চলসহ সারা দেশে এই সম্প্রীতির মাধ্যমে আমরা একসঙ্গে থাকতে পারব বলে আশাবাদী।’

দেশের উন্নয়নের ভিত্তি হচ্ছে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি এ কথা উল্লেখ করে আ ফ ম খালিদ হোসেন আরও বলেন, কাউকে ধর্মীয়, সামাজিক বা অন্য কোনোভাবে বঞ্চিত করা উচিত নয়। আমাদের সবার মাঝে সম্প্রীতি থাকা দরকার, কারণ এটিই আসল। আমি দেশের সব সম্প্রদায়ের উপদেষ্টা। হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান—সব ধর্মের জন্যই বরাদ্দ রয়েছে। আমাদের দেশ একটি সেকুলার রাষ্ট্র। আমি যেমন মসজিদে যাই, তেমনি রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব পালনে মন্দির, চার্চ ও বিহারেও যাই। এটাই আমার দায়িত্ব।

তিনি আরও বলেন, এই দেশ একটি গণতান্ত্রিক সংস্কৃতিতে বিশ্বাসী। রাষ্ট্র পরিচালনায় সবাইকে নিয়ে চলতে হবে। কোনো ধরনের বিভেদ বা বৈষম্য করা যাবে না। এটি কোনো ইসলামিক রাষ্ট্র নয়, এটি একটি সেকুলার রাষ্ট্র।”

সম্প্রীতি সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম ওলামা পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মাওলানা হাজী শরীয়ত উল্লাহ এবং সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মুহাম্মদ আবু বক্কর সিদ্দিক।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব সাদেক হোসেন, রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক মো. হাবিব উল্লাহ মারুফ, জেলা পুলিশ সুপার ড. এস এম ফরহাদ হোসেন, জেলা ও উপজেলার বিভিন্ন মসজিদ, মন্দির, বিহারসহ ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের নেতৃবৃন্দসহ বিশিষ্টজনরা।

এলএইস/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ