শুক্রবার, ১০ অক্টোবর ২০২৫ ।। ২৫ আশ্বিন ১৪৩২ ।। ১৮ রবিউস সানি ১৪৪৭

শিরোনাম :
গণভোটের মাধ্যমেই জুলাই সনদের আইনী ভিত্তি দিতে হবে: ড. আহমদ আবদুল কাদের শ্রমিক মজলিসের সেমিনার অনুষ্ঠিত কুমিল্লাকে বিভাগ ঘোষণার দাবি মুরাদনগর উপজেলা জমিয়তের নামাজ চলাকালীন গান-বাজনার মাধ্যমে মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করা হয়েছে: মাওলানা আবদুর রব ইউসুফী  পিআরসহ ৫ দফা দাবীতে ঢাকাসহ সকল বিভাগীয় শহরে গণমিছিল পিআর পদ্ধতিতেই আগামী জাতীয় নির্বাচন দিতে হবে: পীর সাহেব চরমোনাই ‘পিআর পদ্ধতির নির্বাচন আদায়ে শেষ দিন পর্যন্ত লড়াই করবে ইসলামী আন্দোলন’ জুলাই সনদ বাস্তবায়নে নির্বাচনী তফসিলের পূর্বেই গণভোট দিতে হবে: নেজামে ইসলাম পার্টি লালবাগ কেল্লায় বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবসে গ্রুপ মেডিটেশন ও ইয়োগা অনুষ্ঠান ইসরায়েলি সেনারা সরছে, নিজ ভূমিতে ফিরছে ফিলিস্তিনিরা

মসজিদের চাবি না দেওয়ায় সংঘর্ষ, ভাঙচুর সহ আহত ৫০

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

ফরিদপুরের সালথায় মসজিদের চাবি না দেওয়ায় দুই পক্ষের মধ্যে কয়েক দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয়পক্ষের কমপক্ষে ৫০ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে অন্তত ২০ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। 

শুক্রবার (১০ অক্টোবর) সকাল ৬টা থেকে উপজেলার রামকান্তপুর ইউনিয়নের বাহিরদিয়া গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। 

সংঘর্ষের সময় দুটি বাড়ি ও একটি দোকানে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করা হয়। এ খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পোঁছে পরিস্থিতি শান্ত করে।  

স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আওয়ামী সরকারের পতনের পর থেকেই এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে রামকান্তুপুর ইউনিয়নের বাহিরদিয়া গ্রামের লুৎফর রহমান ও ইমরান মোল্যার সঙ্গে মৌলভী হেমায়েত হোসেনের বিরোধ চলে আসছিল। চলমান বিরোধের মধ্যে বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে লুৎফর রহমান ও ইমরানের সমর্থক নজরুলের কাছে থাকা স্থানীয় মসজিদের দরজার চাবি চাইতে যান মৌলভী হেমায়েত হোসেনের সমর্থকরা। এ সময় চাবি না দেওয়ায় দুই পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। 

এরপর থেকে দিনভর উভয়পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনা চলছিল। খবর পেয়ে রাতে পুলিশ, বাহিরদিয়া মাদ্রাসার আলেম-ওলামা ও বিএনপি নেতারা গিয়ে ঘটনাটি মিমাংসার চেষ্টা করেন এবং উভয়পক্ষকে শান্ত থাকার পরামর্শ দেন। কিন্তু শুক্রবার সকাল ৬টার দিকে হেমায়েত হোসেনের সমর্থকরা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ইমরানের বাড়িতে হামলা চালায়। পরে উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। প্রায় তিন ঘণ্টাব্যাপী চলে সংঘর্ষ ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া।

এ সময় দুটি বাড়ি ও একটি দোকানে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করা হয়। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ৫০ জন আহত হন। আহতদের মধ্যে অন্তত ২০ জনতে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ ও বোয়ালমারী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

সালথা থানার ওসি মো. আতাউর রহমান বলেন, সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এলাকার পরিবেশ শান্ত রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

এলএইস/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ