নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী অপূর্ব পাল কর্তৃক কোরআন মাজিদ অবমাননার প্রতিবাদে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) অনুষদের সামনে কোরআন বিতরণ, তেলাওয়াত, নাশিদ ও বিক্ষোভ সমাবেশ পালন করেন।
কর্মসূচি শুরু হয় কলা অনুষদ থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে- শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় কলা অনুষদে এসে মিছিল শেষ করে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জাকসুর শিক্ষা ও গবেষণা সম্পাদক আবু ওবায়দা ওসামা, তথ্যপ্রযুক্তি ও গ্রন্থাগার সম্পাদক মো. রাশেদুল ইসলাম, কার্যকরী সদস্য মোহাম্মদ আলী চিশতি, হল সংসদের নেতৃবৃন্দ ও বিভিন্ন বিভাগের সাধারণ শিক্ষার্থীবৃন্দ।
অবস্থানকালে মহড়া-তেলাওয়াত ও নাশিদের মধ্য দিয়ে অংশগ্রহণকারীরা কখনও শান্তিপূর্ণভাবে কোরআন পাঠ করেন, কখনও প্রতিবাদী স্লোগান দেন।
জাকসুর শিক্ষা ও গবেষণা সম্পাদক আবু ওবায়দা ওসামা বলেন, ‘আমাদের দেশে বিচারহীনতার সংস্কৃতি ও বিচার কাঠামোর দীর্ঘসূত্রিতার কারণে দিন দিন অপরাধ প্রবণতা বাড়ছে। ভিক্টিমদের চোখের জল শুকিয়ে যাচ্ছে, তাদের আবেগ মরে যাচ্ছে, অপরদিকে অপরাধীরা আইনের ফাঁকফোঁক শুনে বেরিয়ে যাচ্ছে। আমরা এই সিস্টেমের পরিবর্তন চাই।’
তিনি আরও জানান, ‘ইদানীং ধর্ম অবমাননার ঘটনা বৃদ্ধি পেয়েছে। অপরাধীকে দ্রুত বিচার করলে এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি প্রতিরোধ করা সম্ভব হয়। আমাদের ক্যাম্পাসেও ধর্ম অবমাননার ঘটনা ঘটেছে-বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যেন দ্রুততর ও সর্বোচ্চ শাস্তির ব্যবস্থা করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করে, সেই দাবিতেও আমরা মাঠে থাকব।’
জাকসুর তথ্যপ্রযুক্তি ও গ্রন্থাগার সম্পাদক মো. রাশেদুল ইসলাম বলেন, ‘রাসুল (সা:) ও কুরআন অবমাননার সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে এবং কাঠামোগত ইসলাম বিদ্বেষ নির্মূল করতে দ্রুত ব্লাসফেমি আইন প্রণয়ন ও কার্যকর করা আবশ্যক। রাষ্ট্রকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে বলছি-এ ধরনের ঘটনা ভবিষ্যতে যাতে না ঘটে, তা নিশ্চিত করতে হবে।’
এলএইস/