চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি মহাসড়ক ও চট্টগ্রাম-রাঙামাটি মহাসড়ক অবরোধ করে রেখেছেন হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীরা।
বুধবার (৮ অক্টোবর) চট্টগ্রামের রাউজানে সড়ক দুর্ঘটনায় মাওলানা সোহেল চৌধুরী (৫০) নামের একজন হেফাজত নেতা নিহত হন। এ ঘটনায় সকাল থেকে মহাসড়ক অবরোধ করে রেখেছেন হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীরা। এতে যানচলাচল বন্ধ রয়েছে, আটকা পড়েছে শত শত গাড়ি।
চট্টগ্রামের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হাটহাজারী সার্কেল) কাজী মো. তারেক আজিজ গণমাধ্যমকে বলেন, ‘তারা (হেফাজত ইসলামের নেতাকর্মীরা) সড়ক অবরোধ করে রেখেছে। আমরা তাদের সঙ্গে আলোচনা করে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করছি।’
এর আগে মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) বিকালের দিকে রাউজান উপজেলার নবীন সেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে চট্টগ্রাম-রাঙামাটি মহাসড়কে দুর্ঘটনায় হেফাজত নেতার মৃত্যু হয়।
সোহেল চৌধুরী মোটরসাইকেল চালিয়ে রাউজান উপজেলার নবীন সেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এলাকা অতিক্রম করার সময় পেছন থেকে আসা একটি বাস তাকে বহনকারী মোটরসাইকেলের পেছনে ধাক্কা দেয়। এতে গুরুতর আহত হন মাওলানা সোহেল।
পরে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে দায়িত্বরত চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
জানা গেছে, নিহত সোহেল চৌধুরী জন্মস্থান সন্দ্বীপ উপজেলায় হলেও তিনি দীর্ঘ বছর ধরে রাউজান পৌরসভার মেডিকেল গেট এলাকায় পরিবার নিয়ে বসবাস করে আসছিলেন। তিনি হেফাজতের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ছিলেন।
মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মূল ফটকের সামনে সড়ক অবরোধের ঘোষণা দেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় যুব বিষয়ক সম্পাদক মুফতি কামরুল ইসলাম।
তিনি বলেন, আমার ভাইকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করা হয়েছে। স্বৈরাচার আওয়ামী লীগের সময় দুইবার গুম করা হয়েছিল। মাওলানা সুহেল চৌধুরী মোটরসাইকেল যোগে আসার সময় পেছন দিক থেকে সুপরিকল্পিতভাবে বাস চাপা দিয়েছে। পরে তাকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনা হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এ হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে আমরা বুধবার সকাল-সন্ধ্যা চট্টগ্রাম উত্তর জেলা অবরোধের ডাক দিয়েছি।
এলএইস/