মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর ২০২৫ ।। ৪ কার্তিক ১৪৩২ ।। ২৯ রবিউস সানি ১৪৪৭

শিরোনাম :
আবারও ‍খুলে দেওয়া হচ্ছে পাকিস্তান-আফগানিস্তান সীমান্ত স্বাধীন দেশে থেকেও আমরা ছিলাম পরাধীন: ফয়জুল করীম নোয়াখালীতে কোরআন তালিমে হামলার প্রতিবাদে ছাত্রশিবিরের বিক্ষোভ মিছিল ইসরায়েলকে কঠিন পরিণতির হুঁশিয়ারি ইয়েমেনের  সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সম্মানী/ভাতা পুনঃনির্ধারণ: অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপন এবার এক টাকা কেজি গরুর গোশত বিক্রির ঘোষণা এমপি প্রার্থীর! ‘দায়সারা গোছের তামাশার নির্বাচন জনগণ মেনে নেবে না’ নভেম্বরের মধ্যে গণভোট আয়োজন করার উদ্যোগ নিন আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেল শায়খ আহমাদুল্লাহর আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন সমাজে নৈতিক অবক্ষয় ও তরুণ প্রজন্মের দিকভ্রান্তি

আলিয়া মাদরাসায় শিক্ষার্থী ৩, শিক্ষক ১৩ জন!


নিউজ ডেস্ক

নিউজ ডেস্ক
শেয়ার
সংগৃহিত ছবি

পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার ঝলইশালশিরি ইউনিয়নের হোসেনাবাদ ইসলামিয়া দাখিল মাদরাসায় শিক্ষার্থী আছে মাত্র তিনজন। আর এই তিন শিক্ষার্থীকে পাঠদানের জন্য প্রতিষ্ঠানটিতে নিয়োজিত রয়েছেন ১৩ জন শিক্ষক। তিন শিক্ষার্থী ও ১৩ জন শিক্ষক দিয়েই চলছে এই মাদরাসার কার্যক্রম।

রোববার (১৮ মে) সাংবাদিকরা সরেজমিনে গিয়ে দেখেন, মাদরাসায় ১১ জন শিক্ষক ও একজন কর্মচারী উপস্থিত আছেন। এর মধ্যে আট জন শিক্ষক অফিসে এবং দুইজন শিক্ষক বারান্দায় বসে গল্প করে সময় কাটাচ্ছেন।

এদিকে প্রথম থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত দশটি শ্রেণিকক্ষ থাকার কথা থাকলেও আছে ৬টি শ্রেণিকক্ষ। একটি শ্রেণিতে দেখা মিলল তিনজন শিক্ষার্থীর। তারা নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী। সেখানে ক্লাস নিচ্ছেন এক শিক্ষক। তবে সুপারকে এ সময় মাদ্রাসায় পাওয়া যায়নি।

২০০২ সালে এমপিওভুক্ত হওয়া এ মাদরাসায় কাগজে কলমে শিক্ষার্থী দেখানো হয়েছে ১৬৩ জন। এদিকে ২০২৫ শিক্ষাবর্ষে দাখিল পরীক্ষা দিয়েছেন ৩ জন।

জানা যায়, কয়েক বছর আগেও মাদরাসাটিতে অনেক শিক্ষার্থী ছিল। কিন্তু শিক্ষার পরিবেশ না থাকায় শিক্ষার্থীদের এ মাদরাসার প্রতি আগ্রহ নেই। অনেকে ভর্তি হলেও পরে অন্য মাদরাসায় চলে যায়।

জানতে চাইলে মাদরাসাটির সহকারী শিক্ষক জসিম উদ্দীন বলেন, কোনো তথ্যের প্রয়োজন হলে প্রতিষ্ঠান প্রধানের কাছে তথ্য নেন। আপনারা আসেন আমাদের প্রতিষ্ঠানের ভালো মন্দ কিছুই হয় না। নিউজও হয়, মানুষ শুনে জানে ধিক্কার দেয়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক ব্যক্তি বলেন, এমপিও ভুক্তি রয়েছে কিন্তু মাদ্রাসাটিতে শিক্ষার্থী নাই বললেই চলে। শিক্ষার্থী না থাকায় মাদ্রাসাটি বন্ধ হয়ে যায় দুপুরের মধ্যেই। এভাবে মাদ্রাসা থাকা না থাকা একই কথা। প্রতি বছর শিক্ষকের বেতন বাবদ সরকারের লাখ লাখ টাকা অপচয় হচ্ছে।

বোদা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আইবুল ইসলাম বলেন, আমি নিজেই ওই প্রতিষ্ঠানে গিয়ে সব শিক্ষকদের নিয়ে বসি, তাদেরকে বলি দ্রুত আপনারা অভিভাবক সমাবেশ ও হোম ভিজিট করে শিক্ষার্থী বাড়ান। প্রতিষ্ঠানটির বিষয়ে আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। আবার ফলোআপ করে জানাব।

আরএইচ/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ