||এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া||
১৭ নভেম্বর, ২০২৫ স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ৪৯তম মৃতু্যবার্ষিকী ছিল। ভোর বেলার প্রায় সকল গণমাধ্যমে চোখ ভোলালাম। আজ মওলানা ভাসানীর মৃতু্যবার্ষিকী সংবাদটি দেখলাম। খুটিয়ে খুটিয়ে দেখলাম ২০২৪ এর গণআন্দোলনের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত অর্ন্তবর্তীকালিন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার বাণী চোখে পড়লো না। রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে কোন অনুষ্ঠানের বিষয়টিও চোখে পড়লো না। বিষয়টি কষ্ট দিল আমাকে। এইতো কয়দিন আগেই সরকারের প্রধান উপদেষ্টার কাছে স্মারলিপি দিয়েছিলাম বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পাপর্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ'র পক্ষ থেকে। আশা করেছিলঅম অতিতে ফ্যাসীবাদী সরকারের মত বর্তমান সরকার মঝরুম জননেতা মওলানা ভাসানীকে অশ্রদ্ধা বা অবহেলা করবে না। সরকারের প্রধান উপদেষ্টা একটি বাণী প্রদানের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশের অন্যতম স্থপতি মওলানা ভাসানীকে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন। কিন্তু, সেই আশা এবারও পূরন হলো না।
২০২৪ এর গণআন্দোলনের মধ্য দিয়ে প্রতিষ্ঠিত বর্তমান সরকারের চলমান মেয়াদ কালে মওলানা ভাসানীর মৃতু্যবার্ষিকী দ্বীতিয়বারের মত পালন হলেও সরকার প্রধান কোন এক অদৃশ্য কারণে কোন বাণি প্রদান করলেন না। এতে করে কি মওলানা ভাসানী ছোট হয়েছেন নাকি সরকার প্রধান প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছেন তা আগামী সময়েই ইতিহাস বিচার করবে। তবে, এটা দিবালোকের মত স্পষ্ট যে, মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীকে সম্মান করতে না পারা জাতি হিসেবে আমাদের দৈনতারই বহিঃপ্রকাশ।
মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানীর মৃত্যুবার্ষিকীতে মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার বাণী প্রদান না করা অত্যন্ত দুঃখজনক। জাতির এমন এক ক্রান্তিলগ্নে প্রধান উপদেষ্টার সহযোগী উপদেষ্টারাও তাদের দায়িত্ব পালন করেন নাই। প্রধান উপদেষ্টাকেও এই বিষয়ে অবগত ও অনুপ্রেরণা যোগাননি তারা, যা অত্যন্ত লজ্জাজনক। ভাসানীকে যদি আমরা সম্মান না দিতে পারি, মহান মুক্তিযুদ্ধ ও জুলাই আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের বিপ্লবীদের যথাযথ সম্মান দেওয়া হবে না। মনে রাখতে হবে, ইতিহাস ভুলে যাওয়া এবং ইতিহাস মুছে ফেলা কোনটাই জাতির জন্য কল্যাণকর নয়।
বাংলাদেশের নির্মাতা মওলানা ভাসানী, অন্য কেউ নয়। নকল নির্মাতারা চারদিক থেকে দেশকে ঘিরে ধরেছে। আমাদের সাবধান থাকতে হবে। জাতীয় ঐক্যের মাধ্যমে মওলানা ভাসানীকে প্রতিষ্ঠিত করতে না পারলে জাতি কাউকে ক্ষমা করবে না। মওলানা ভাসানীর দেখানো পথে অগ্রসর হতে হবে। তিনি জাতিকে নির্মাণ করেছেন। তাই তাকে শ্রদ্ধা করতে হবে। তাকে সম্মান করা না হলে অন্যায় হবে।
মওলানা ভাসানীর মতো মানুষ এই অঞ্চলে আর জন্মাবে কি-না জানি না। সারাজীবন তিনি মানুষের জন্য কাজ করেছেন। ভাসানীসহ যারাই দেশের মানুষের জন্য কাজ করেছে, তাদের কারোই যথাযথ মর্যাদা হয়নি। শুধু কথা ও যা কিছু তা বলতে পারলেই স্বাধীনতা নয়। মানুষের স্বাধীনতা হচ্ছে মানুষের মর্যাদাবোধ, মানবিকবোধ ভালবাসা। মানুষের অন্তরে যদি শ্রদ্ধা ভালবাসা থাকতো তাহলে ভাসানীর এখানে দেহ ত্যাগ করা সার্থক হতো।
উপমহাদেশের কিংবদন্তি রাজনৈতিক নেতা ও স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর স্বপ্ন, কাজ ও স্মৃতিচিহ্ন বিগত সরকারগুলোর ‘হীনমন্যতার’ কারণে অবহেলার স্বীকার হয়েছে। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারও সেই একই পথ অনুস্বরণ করছে। বর্তমান সরকারও যদি অতীতের ধারাবাহিকতায় মওলানা ভাসানীর প্রতি অবহেলাই করে থাকেন তাহলে পরিবর্তনটা কোথায় হবে? সংস্কার কিভাবে হবে? মওলানা ভাসানীর প্রতি যথাযথ সম্মান জানাতে না পারার এই যে আমাদের দৈন্যতা, এখান থেকে আমরা যদি বের হয়ে আসতে পারি, যথাযথ সম্মান করতে পারি, মানুষের অভাবকে আমরা বুঝতে পারি, মানুষের কষ্টকে হৃদয় দিয়ে লালন করতে পারি, তাহলেই হবে মাওলানা ভাসানীর সার্থকতা। হুজুর মওলানা ভাসানীর প্রতি সম্মান জানানোর যে দৈন্যতা শাসকগোষ্ঠীর, এখান থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। কারণ তিনিই বহুদলীয় রাজনীতির এবং গণ মানুষের অধিকার কায়েমের রাজনৈতিক দরোজার নির্মাতা।
মওলানা আবুদল হামিদ খান ভাসানীর স্বপ্নের বাংলাদেশ আজও প্রতিষ্ঠিত হয়নি। ‘৪৭-এর আগে ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন, ৪৯’র সদ্য স্বাধীন পাকিস্তানে প্রথম বিরোধী দল গঠন, ৫২ সালের ভাষা আন্দোলন, ৫৪'র যুক্তফ্যন্ট গঠন ও মুসলিম লীগের পরাজয়, ৬৯এর গণঅভু্যত্থান, ৭১ মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী স্বৈরশাসনবিরোধী আন্দোলন, ভারতীয় পানি আগ্রাসনবিরোধী লংমার্চ—কোথায় নেই ভাসানী? তবু ভাসানীর প্রতি এত অবহেলা কেন? মওলানা ভাসানী আমৃত্যু তিনি সাম্রাজ্যবাদ, আধিপত্যবাদবিরোধী লড়াই আর সাধারণ মানুষের অধিকার আদায়ের সংগ্রামে অবতীর্ণ ছিলেন। ভাসানীকে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দিতে হবে, দেশের স্বার্থে-মানূষের স্বার্থে। রাজনীতি আর সংগ্রামের মাধ্যমে একটি জাতিকে জাগিয়ে তোলেন যিনি, তিনিই ভাসানী। ঔপনিবেশিক শক্তির বিরুদ্ধে এক প্রবলপ্রাণ বিদ্রোহীর নাম, মানবতার তূর্যবাদক এক সেনানির নাম মওলানা ভাসানী। মজলুম জননেতা ৯৬ বছর বয়সে ১৯৭৬ সালের ১৬ মে ফারাক্কা লংমার্চের মাধ্যমে বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের বীজ বপন করেছিলেন। মওলানা ভাসানীকে তাদের ধারণ করতে হবে, তাহলেই মুক্তি।
এ উপমহাদেশে হুজুর মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী এক মহিরুহ। তাঁকে অবলম্বন করে কত মানুষ আসমান ছুঁয়েছে, হাওয়ায় ভেসেছে। কিন্তু সেই হুজুর মওলানা ভাসানীর যথাযথ মূল্যায়ন না দেখে বুকের ভিতর বড় বেশি জ্বালা করে, হৃদয় ভেঙে খানখান হয়ে যায়। একসময় তিনি মুসলিম জগতের এক শ্রেষ্ঠ মানব আধ্যাত্মিক নেতা শাহ নাসির উদ্দিন বোগদাদির শিষ্য হয়েছিলেন। তাঁর সঙ্গে ইল্লি-দিল্লি-ইরান-তুরান-মক্কা-মদিনা-বাগদাদ দুনিয়ার বহু স্থানে ঘুরেছেন। তিনি দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশেরও শিষ্য ছিলেন। দেশের সাধারণ কৃষক প্রজার জন্য তিনি প্রাণপাত করেছেন আজীবন। টাঙ্গাইলের সন্তোষের জমিদাররা তাঁকে মেরে কেটে বস্তাবন্দী করে ফেলে দিয়েছিল। ব্রিটিশ সরকার তাঁকে বৃহত্তর ময়মনসিংহ জেলা থেকে বহিষ্কার করেছিল। কয়েক হাজার দরিদ্র কৃষক মুরিদ নিয়ে আসামের বরপেটায় ঘাঁটি গেড়েছিলেন। বাঘ-ভাল্লুক-হাতির সঙ্গে লড়াই করে বরপেটাকে আবাদ করেছিলেন। স্কুল-কলেজ-মাদরাসা-চিকিৎসালয় প্রতিষ্ঠায় কোনো কিছু বাদ পড়েনি। ধুবড়ির পাশে আসামের ভাসানচরে সে যুগে এক বিস্ময়কর ব্রিটিশবিরোধী সম্মেলনে তিনি ‘ভাসানী’ উপাধি পেয়েছিলেন।
উপমহাদেশের এই কিংবদন্তি রাজনৈতিক নেতা ও স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর টাঙ্গাইলের সন্তোষে তার স্বপ্ন, কাজ ও স্মৃতিচিহ্ন বিগত সরকারগুলোর 'হীনমন্যতার' কারণে রয়ে গেছে অবহেলিত। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মওলানা ভাসানীর প্রতিষ্ঠিত অনেক প্রতিষ্ঠান বিলুপ্ত হয়ে গেছে এবং অনেকগুলো যথাযথ পরিচর্যা ও সংরক্ষণের অভাবে ক্ষয়ে যাচ্ছে। রাস্তা প্রশস্ত করার অজুহাতে মওলানা ভাসানীর লাগানো পুরনো সব গাছ কেটে ফেলা হয়েছে। আবার পরিকল্পনা ছাড়াই বহুতল ভবন নির্মাণের জন্য খেলার মাঠ ধ্বংস করা হয়েছে। দরবার হলসহ ভাসানীর স্মৃতিচিহ্নগুলোও জরুরি রক্ষণাবেক্ষণ এবং যত্ন প্রয়োজন। এই দরবার হল সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির প্রতীক, যেখানে সব বিশ্বাস ও ধর্মের সর্বস্তরের মানুষ নির্বিঘ্নে তাদের মতামত প্রকাশ করতে সমবেত হতেন।
১৯৭০ সালের এপ্রিল থেকে আগস্টের দরবার হলটি নির্মাণ করা হয়। কাঠের স্তম্ভ, চার স্তর বিশিষ্ট টিনের ছাদ এবং তিন ফুট ইটের দেয়াল দিয়ে এটি নির্মাণ করা হয়। এখানে বসতে পারেন ৫০০ মানুষ। একটি দুই ফুট উঁচু মঞ্চ রয়েছে সেখানে। এতে দাঁড়িয়ে ভাসানী ঐতিহাসিক বহু বক্তব্য রখেছেন। স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার ডাকে প্রথম সর্বদলীয় সম্মেলন হয় ১৯৭১ সালের ৯ জানুয়ারি, দরবার হলে। মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ঐতিহাসিক এই হলটি পুড়িয়ে দেওয়ার ব্যর্থ চেষ্টাও করেছিল। সম্প্রতি সেখানে গিয়ে দেখা যায়, দরবার হলের ভেতরে কাঠের স্তম্ভগুলো ক্ষয় হয়ে গেছে, ক্ষতিগ্রস্ত অবস্থায় রয়েছে কাঠামোটিও। ১৯৮৬ সালে হলের পাশে স্থাপিত ভাসানী জাদুঘরে সংরক্ষিত ভাসানী স্মারকগুলোর মধ্যে বেশ কয়েকটির অবস্থাও শোচনীয়। এসকল স্মৃতি রক্ষায়ও সরকারের পক্ষ থেকে উল্লেখযোগ্য কোন ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে বলে জানা নাই।
মওলানা ভাসানী ১৮৮০ সালে জন্মগ্রহণ করেন। প্রায় ৭০ বছর তার রাজনৈতিক জীবন। বেঁচেছেন প্রায় ৯৬ বছর। এত লম্বা রাজনৈতিক জীবন হওয়া সত্ত্বেও বাংলাদেশের রাজনীতির ইতিহাসে ভাসানী পাঠ খুব কমই হয়। ভাসানীর সমতার ভিত্তিতে সমাজ গঠনের যে স্বপ্ন তা মাটিতে মিশিয়ে দেওয়া হয়। উপমহাদেশের কিংবদন্তি রাজনৈতিক নেতা ও স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী। টাঙ্গাইলের সন্তোষে তার স্বপ্ন, কাজ ও স্মৃতিচিহ্ন বিগত সরকারগুলোর 'হীনমন্যতার' কারণে রয়ে গেছে অবহেলিত। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে বর্তমান সরকারও একই পথে হাটছে।
মওলানা ভাসানীকে দল নিরপেক্ষ সরকারের অবহেলা করার কারণ কি ? তিনি তার জীবনে ক্ষমতাবান ও আধিপত্যবাদী শক্তির বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন এবং সাধারণ মানুষের অধিকারের পক্ষে ছিলেন। ক্ষমতাবানদের বিরুদ্ধে অবস্থান: মওলানা ভাসানী আজীবন সাম্রাজ্যবাদ, আধিপত্যবাদ এবং শোষণ বিরোধী লড়াই করেছেন। তিনি সবসময় সাধারণ মানুষের পক্ষে থেকেছেন এবং তার নীতিতে আপস করেননি। এই কারণে তার রাজনৈতিক অবস্থান অনেক ক্ষমতাশালী গোষ্ঠীর জন্য হুমকিস্বরূপ ছিল। এই নীতিগত অবস্থান তাকে অনেক ক্ষমতাশালী গোষ্ঠীর বিরাগভাজন করে, যার ফলে তার স্বপ্ন ও কাজকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়নি অতিতেও। জুলাই গণআন্দোলনে প্রতিষ্ঠিত সরকারও একই আচরন করছে।
ভাসানী এই দুই দলেরই উর্ধ্বে ছিলেন এবং আমৃত্যু শোষিত মানুষের পক্ষে সোচ্চার ছিলেন। তার আপসহীন মনোভাব এবং কোনো নির্দিষ্ট রাজনৈতিক শিবিরে নিজেকে আবদ্ধ না রাখার কারণে, লুটেরা, দুর্নীতবাজ ও ক্ষমতালোভিরা তাকে পুরোপুরি নিজেদের হিসেবে গ্রহণ করতে পারেনি, যার প্রভাব অর্ন্তবর্তীকালিন সরকার বা তত্ত্বাবধায়ক সরকারগুলোর ওপরও পড়েছে। অনেক সরকার এবং রাজনৈতিক দল ভাসানীর অবদানকে অবহেলা করেছে। যখন রাজনৈতিক সরকারগুলোই তার প্রতি যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করেনি, তখন একটি অন্তর্বর্তীকালীন বা দল-নিরপেক্ষ সরকারও এই বিষয়ে বিশেষ কোনো উদ্যোগ নিতে আগ্রহী হয় না। বর্তমান সরকারও তার থেকে আলাদা হতে পারলো না। তার স্বপ্ন, কাজ এবং স্মৃতিচিহ্নগুলো অবহেলিত রয়ে গেছে, যা রাজনৈতিকভাবে তাকে আরও প্রান্তিক করে তোলে।
মনে রাখতে হবে, মওলানা ভাসানী রাষ্ট্র ক্ষমতায় যাননি বটে, তবে তিনি রাষ্ট্রক্ষমতা পরিবর্তনের অনুঘটক ছিলেন। আজ মওলানা ভাসানীকে ইতিহাস থেকে মুছে ফেলার ষড়যন্ত্র চলছে। কিন্তু, ষড়যন্ত্রকারীরা জানে না, যতদিন বাংলাদেশ থাকবে, ততদিন মওলানা ভাসানী দেশপ্রেমিক মানুষের হৃদয়ে থাকবেন। মওলানা ভাসানীর মতো একজন মজলুম জননেতার প্রতি অবহেলা রাজনৈতিক দলগুলোর হীনমন্যতারই প্রতিফলন, যা দল-নিরপেক্ষ সরকার বর্তমান অর্ন্তবর্তীকালিন সরকারের সময়েও পরিলক্ষিত হচ্ছে। বিভিন্ন সময়ে তার মৃত্যুবার্ষিকী রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় পালনের দাবি উঠলেও, তা সব সরকারের আমলেই উপেক্ষিত থেকেছে, বর্তমান সরকারের সময়েও তা অব্যাহত আছে। আগামী ইতিহাসের কাঠগড়ায় তাদেরই দাড়াতে হবে যারা মওলানা ভাসানীকে অবহেলা করেছেন। ইতিহাসের দায় থেকে তারা কখানো মুক্তি পাবেন না।
লেখক: রাজনীতিক, রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও কলাম লেখক
এলএইস/