উসকানি ছড়ানোর অভিযোগে ইসলামের তৃতীয় পবিত্র স্থান মসজিদুল আকসা বা আল আকসা মসজিদের খতিব শেখ ইকরিমা সাবরির বিচার শুরু করতে যাচ্ছে দখলদার ইসরায়েল।
শেখ একরিমা সাব্বিরের আইনজীবীরা জানিয়েছেন, ২০২৪ সালের জুলাইয়ে শেখ ইকরিমা সাবরির বিরুদ্ধে ধর্মীয় উসকানি ছাড়ানোর অভিযোগ নিবন্ধন করেছিল জেরুজালেম ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের ইসরায়েলি পাবলিক প্রসিকিউটর। সম্প্রতি আদালত সেই অভিযোগ সম্প্রতি আমলে নিয়েছেন। বর্তমানে অভিযোগ সংক্রান্ত বিবরণের পর্যালোচনা চলছে।
৮৬ বছর বয়সী এই খতিবের বিরুদ্ধে মূল অভিযোগ হলো— ২০২৪ সালের জুলাইয়ে ইরানের রাজধানী তেহরানে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাসের প্রধান নেতা ইসমাইল হানিয়া নিহত হওয়ার পর জুমার নামাজের খুৎবায় তার মৃত্যুতে শোক ও ২০২২ সালে অধিকৃত পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি বন্দুকযুদ্ধে ফিলিস্তিনিদের মৃত্যুর ঘটনায় নিহতদের জন্য দোয়া ও সমবেদনা জানিয়েছিলেন তিনি।
এরপরপরই এই ধর্মপ্রচারককে ছয় মাসের জন্য আল-আকসা মসজিদে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেয় ইসরায়েলি পুলিশ।
আইনজীবীরা জানিয়েছেন, শেখ একরিমার এই বিচার সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ফিলিস্তিনি ধর্মপ্রচারকের বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারী পদক্ষেপ এবং রাজনৈতিক, ধর্মীয় এবং ধারাবাহিক নিপীড়নের অংশ। ইসরায়েল শেখ একরিমাকে গ্রেফতার না করলেও তাকে আল-আকসায় প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না, ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে এবং তার বাড়ি ভেঙে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এর আগেও বিভিন্ন সময়ে মসজিদে খুৎবায় গাজার সমর্থন ও ইসরায়েলের অতি-ডানপন্থী দল এবং সংগঠনগুলো সমালোচনার অভিযোগ রয়েছে শেখ একরিমার বিরুদ্ধে। ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ তার বিরুদ্ধে একাধিকবার ব্যবস্থাও নিয়েছে। পাশাপাশি ইসরায়েলি জাতীয় নিরাপত্তা মন্ত্রী ইতামার বেন-গভির এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মোশে আরবেলসহ তেল আবিবের কর্মকর্তারা তার বিরুদ্ধে অব্যাহত উসকানি দিচ্ছেন।
সূত্র: আনাদোলু
এলএইস/