সোমবার, ২০ অক্টোবর ২০২৫ ।। ৪ কার্তিক ১৪৩২ ।। ২৮ রবিউস সানি ১৪৪৭

শিরোনাম :
শিক্ষক মানবতার নির্মাতা ও সমাজগঠনের দিশারী যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে ৯৭ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে ইসরায়েল মোসাদের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তি, ইরানে একজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর ভারতে ‘আই লাভ মুহাম্মদ’ বলায় মুসলিমদের ওপর বুলডোজার অভিযান জামায়াতের কথার সঙ্গে কাজের মিল নেই : রুমিন ফারহানা লাগাতার অগ্নিকাণ্ড রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে স্পষ্ট  ষড়যন্ত্র: মাওলানা ইমতিয়াজ আলম ভারতীয় সংস্থাগুলোর যেভাবে কাশ্মীরীদের সম্পত্তি দখল করছে গণভোট আয়োজনে সরকারের গড়িমসি উদ্বেগজনক: জামায়াত বিহার নির্বাচনে মাঠে ৩৬ মুসলিম প্রার্থী আফগানিস্তান যুদ্ধ চায় না, তবে সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘন করলে নীরব থাকবো না

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনই একমাত্র সমাধান: চীনা রাষ্ট্রদূত

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেছেন, রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে বেইজিং যথাযথভাবে ভূমিকা রেখে যাচ্ছে। বেইজিংও বিশ্বাস করে মিয়ানমারে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনই একমাত্র সমাধান।

আজ রোববার (২২ জানুয়ারি) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের একথা বলেন তিনি।

রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে চীন যথাযথভাবে ভূমিকা রেখে যাচ্ছে জানিয়ে রাষ্ট্রদূত বলেন, বেইজিংও বিশ্বাস করে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে প্রত্যাবাসন করাই একমাত্র সমাধান।

স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে চীন সহযোগিতা করে যাবে বলেও জানান চীনের রাষ্ট্রদূত। এর আগে চীনের নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূত পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম এবং পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।

পরে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেন, মিয়ানমার সীমান্তে বিবদমান দুই গ্রুপের সঙ্গে সংঘর্ষে উদ্ভূত পরিস্থিতি চীনের রাষ্ট্রদূতকে জানানো হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে মিয়ানমারের সঙ্গে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক চলছে।

এরআগে, গত বছরের (৮ ডিসেম্বর) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে চীনের বিদায়ী রাষ্ট্রদূত লি জিমিং সাক্ষাতকারে বলেছিলেন, মিয়ানমার থেকে নির্যাতনের শিকার হয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন নতুন বছরে (২০২৩ সালে) শুরু হতে পারে।

উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের ২৫ আগস্টের পর রাখাইন রাজ্যে সে দেশের সেনাবাহিনীর নিপীড়নের মুখে বাংলাদেশে পালিয়ে আশ্রয় নেয় ৮ লাখের বেশি রোহিঙ্গা। এর আগে আসে আরও কয়েক লাখ।

বর্তমানে উখিয়া ও টেকনাফের ৩৩টি আশ্রয় শিবিরে নিবন্ধিত রোহিঙ্গার সংখ্যা সাড়ে ১২ লাখ। সে সময় ছয় হাজারের বেশি রোহিঙ্গা নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম ইউনিয়নের কোনারপাড়া খালের দক্ষিণে শূন্যরেখায় বসতি শুরু করে। ওই আশ্রয় শিবিরের কয়েক গজ দূরত্বে মিয়ানমার সীমান্ত কাঁটাতার দিয়ে ঘেরা। শূন্যরেখায় আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের নজরদারিতে কাঁটাতারের বাইরে পাহাড়চূড়ায় মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) একাধিক চৌকি স্থাপন করেছে। এর বাইরে তমব্রুর কোনারপাড়া শূন্যরেখা আশ্রয়শিবিরে ৬২১টি পরিবারে ৪ হাজার ২০০ রোহিঙ্গা বসবাস করছিল।

-এটি


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ