
পুলিশকে আরও জনবান্ধব করতে আসছে আইন : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: পুলিশের উন্নয়ন এবং তাদের যুগোপযোগী করতে আরও… ...
আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: প্রযুক্তিভিত্তিক অপরাধ দিন দিন বাড়ছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, মোবাইল ফোনে হয়রানি, মানহানি, মিথ্যা পরিচয়ে টাকা চেয়ে প্রতারণার অভিযোগ বেশি।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের অপরাধীদের শাস্তির আওতায় আনতে ওইসব প্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষের সাথে বাংলাদেশের চুক্তি না থাকাটা বড় অন্তরায় বলছে গোয়েন্দা পুলিশের সাইবার ক্রাইম বিভাগ।
বেশ কিছুদিন ধরে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং সচিবের পিএস পরিচয়ে চাকুরি দেওয়ার প্রলোভনসহ বিভিন্ন প্রতারণার মাধ্যমে মানুষকে ঠকিয়ে আসছিলো রেজোয়ানুল হক। ঢাকা , মাগুরা ও রংপুরের বিভিন্ন থানায় চারটি মামলাও হয়েছে তার বিরুদ্ধে। আটক হয়েছে দুবার। মিথ্যা পরিচয়ে কৌশলে ফাঁদে ফেলে টাকার জন্য ভুক্তভোগীদের চাপ দিতো।
গত ৫ই জুন শিক্ষা সচিব ও তার পিএস’ এর নামে প্রতারণার অভিযোগে রেজোয়ানকে গ্রেফতার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। কারিগরি শিক্ষা সচিবের নামেও ভুয়া অ্যাকাউন্ট থেকে প্রতারণা করা হয়েছে।
গোয়েন্দা পুলিশের সাইবার এন্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগের দেয়া তথ্য মতে, ২০২১ সালে অনলাইন হ্যারাসমেন্ট ও মানহানিকর মিথ্যা প্রচারের শিকার হয়েছেন ৩৭জন। এ বছরের প্রথম চার মাসেই এর শিকার ১৪ জন। গত বছর ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হ্যাকিংয়ের শিকার ১৭ জন , এ বছর এপ্রিল পর্যন্ত ৬ জন। এবছর প্রথম চারমাসে পর্ণোগ্রাফি ধারণ ও প্রচারের শিকার ১৫জন।
দেশ-বিদেশে বসে ফেসবুক, ইউটিউবে মানিহানিকর ভিডিও ছেড়ে মানুষকে অসম্মানিত ও বিভ্রান্ত করা, ফোন নম্বর ফেসবুক আইডি হ্যাক ও ক্লোন করে প্রতারণা করার প্রবণতা বেড়ে যাচ্ছে। এর প্রতিকারে ফেসবুক, গুগল , ইউটিউবের সাথে চুক্তি করাটা জরুরি বলছেন গোয়েন্দা কর্মকর্তা মোহাম্মদ তারেক বিন রশিদ। স্মার্ট ফোন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারে সবাইকে সতর্ক হতে বলেছে পুলিশ।
-এটি