বুধবার, ২৭ আগস্ট ২০২৫ ।। ১২ ভাদ্র ১৪৩২ ।। ৪ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
খিলক্ষেতে মসজিদের জন্য জমি বরাদ্দ দিল বাংলাদেশ রেলওয়ে ইফার ইসলামি সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা, কওমি শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণের সুযোগ ৭ দফা দাবিতে প্রধান উপদেষ্টাকে স্মারকলিপি ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের বুয়েট শিক্ষার্থীদের দাবি পর্যালোচনায় ৪ উপদেষ্টার সমন্বয়ে কমিটি: ফাওজুল কবির খান সমমনা ইসলামি দলগুলোর বৈঠক, ঐক্য সম্প্রসারণের চিন্তা যমুনা অভিমুখে বুয়েট শিক্ষার্থীরা, পুলিশের টিয়ারশেল-জলকামানে ছত্রভঙ্গ নওগাঁয় অটোরিকশা চালক হত্যায় পাঁচজনের যাবজ্জীবন তত্ত্বাবধায়ক বাতিলের রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের অনুমতি আফতাবনগর মাদরাসায় সিরাতুন্নবী সা. মাহফিল কাল প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের ফের শাহবাগ অবরোধ

ক্যামরার চোখে কাশ্মীরের মুসলমানদের জীবন

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আবদুল্লাহ তামিম।। কাশ্মীরের অনিন্দ সুন্দর ভূমিতে ইসলাম ধর্মের গভীর শিকড় রয়েছে। এই অঞ্চলের মানুষ ইসলামের শিক্ষা এবং সকল রীতিনীতি মেনে চলে। কাশ্মীরের অধিবাসীদের মসজিদ ও মাজারের প্রতি ব্যাপক উৎসাহ রয়েছ এবং এসকল ধর্মীয় স্থান তাদের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ।

কাশ্মীর ভারতীয় উপমহাদেশের উত্তরপশ্চিমের একটি অঞ্চল। ১৯শ শতকের মাঝামাঝি পর্যন্ত, কাশ্মীর শব্দটি ভৌগোলিকভাবে শুধু বিশাল হিমালয় এবং পীর পঞ্জল পর্বতমালার উপত্যকাকে নির্দেশনা করা হতো। আজ কাশ্মীর বলতে বোঝায় একটি বিশাল অঞ্চল যা ভারতীয়-শাসিত রাজ্য জম্মু ও কাশ্মীর (এর মধ্যে বিভাগসমূহ রয়েছে: কাশ্মীর উপত্যকা, জম্মু এবং লাদাখ), পাকিস্তানি-শাসিত গিলগিত-বালতিস্তান এবং আজাদ কাশ্মীর প্রদেশ এবং চীন-শাসিত আকসাই চীন এবং ট্রান্স-কারাকোরাম ট্রাক্ট অঞ্চলসমূহ নিয়ে গঠিত।

১ম সহস্রাব্দের প্রথমার্ধে কাশ্মীর অঞ্চল হিন্দুধর্ম ও পরে বৌদ্ধধর্মের গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র হয়ে ওঠে, পরে নবম শতাব্দীতে কাশ্মীর শাইভিবাদের উত্থান ঘটে। ১৩৩৯ সালে শাহ মীর কাশ্মীরের প্রথম মুসলমান শাসক হন এবং সালতিন-ই-কাশ্মীর বা শাহ মীর রাজবংশের গোড়াপত্তন করেন।

কাশ্মীর ১৫৮৬ থেকে ১৭৫১ সাল পর্যন্ত মুঘল সাম্রাজ্যের অংশ ছিল, এবং পরে ১৮২০ সাল পর্যন্ত আফগান দুররানি সাম্রাজ্যের অংশ ছিল। এই বছর রঞ্জিত সিঙের নেতৃত্বে শিখরা কাশ্মীর দখল করে।

১৮৪৬ সালে প্রথম ইঙ্গ-শিখ যুদ্ধে শিখরা পরাজিত হয় এবং জম্মুর রাজা গুলাব সিং অমৃতসর চুক্তির মাধ্যমে ব্রিটিশদের কাছ থেকে এই অঞ্চল ক্রয় করে কাশ্মীরের নতুন শাসক হন।

তার উত্তরসূরিরা ব্রিটিশদের অধীনে এই অঞ্চলের শাসন করে ১৯৪৭ সালে ভারত বিভাজনের পূর্ব পর্যন্ত। ভারত বিভাজনের পর সাবেক ব্রিটিশ ভারতীয় সাম্রাজ্যের এই রাজ্যটি অমীমাংসিত অঞ্চলে পরিণত হয় এবং বর্তমানে এটি তিনটি দেশ কর্তৃক শাসিত হচ্ছে, দেশ তিনটি হল ভারত, পাকিস্তান ও চীন।

কাশ্মীর শব্দটি প্রাচীন সংস্কৃত ভাষা থেকে উৎপত্তি হয়েছে এবং যাকে káśmīra নামে অভিহিত করা হয়। নীলমত পুরাণ অনুসারে সতী-সরস নামক হৃদের পানি থেকে এই উপত্যকার উৎপত্তি ঘটে।

অনিশ্চিত এক জনশ্রুতি অনুসারে কাস্‌মীর শব্দের স্থানীয় ব্যুৎপত্তিগত অর্থ হল পানি থেকে উদ্ভূত ভূমি। সূত্র: উইকিপিডিয়া, ইকনা

-এটি


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ