বুধবার, ২৭ আগস্ট ২০২৫ ।। ১২ ভাদ্র ১৪৩২ ।। ৪ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
জাতিসংঘের কার্যালয় স্বাধীন বাংলাদেশের জন্য হুমকি: জমিয়ত সভাপতি  ফ্যাসিবাদমুক্ত রাষ্ট্র গঠনে পিআর পদ্ধতির বিকল্প নেই : আহমদ আবদুল কাইয়ূম ধুপখোলা মাঠে দিনব্যাপী সিরাতুন্নবী মহাসম্মেলন শুক্রবার বদনজর ও কালো জাদু থেকে সুরক্ষার কোরআনি আমল নির্বাচনের রোডম্যাপ অনুমোদন ইসির, যে কোনো সময় প্রকাশ খিলক্ষেতে মসজিদের জন্য জমি বরাদ্দ দিল বাংলাদেশ রেলওয়ে ইফার ইসলামি সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা, কওমি শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণের সুযোগ ৭ দফা দাবিতে প্রধান উপদেষ্টাকে স্মারকলিপি ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের বুয়েট শিক্ষার্থীদের দাবি পর্যালোচনায় ৪ উপদেষ্টার সমন্বয়ে কমিটি: ফাওজুল কবির খান সমমনা ইসলামি দলগুলোর বৈঠক, ঐক্য সম্প্রসারণের চিন্তা

নওগাঁয় অটোরিকশা চালক হত্যায় পাঁচজনের যাবজ্জীবন


নিউজ ডেস্ক

নিউজ ডেস্ক
শেয়ার
ছবি: সংগৃহীত

নওগাঁয় ভজন দেবনাথ সজল নামে এক অটোরিকশা চালককে হত্যার দায়ে পাঁচ আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সাথে তাদের প্রত্যেকে ৫ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও ছয় মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

বুধবার (২৭ আগস্ট) দুপুর ১২টার দিকে নওগাঁর অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ চতুর্থ আদালত এবং স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল-৫ এর বিচারক মো. কায়সারুল ইসলাম এ রায় দেন। রায়ের সময় ৪ আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন এবং একজন পলাতক ছিলেন।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এবং অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) মুনছুর আলী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- সদর উপজেলার আরজি-নওগাঁ মন্ডলপাড়া এলাকার শুকুর আলীর ছেলে জুয়েল জাহের আলী (পলাতক), উত্তরপাড়া পবা মসজিদ এলাকার হাসান মিয়ার ছেলে সুরুজ মিয়া, বেদারুল ইসলামের ছেলে সাইফুল ইসলাম, বগুড়া জেলার দুপচাঁচিয়া উপজেলার খানপুর এলাকার মৃত শাহজাহানের ছেলে আব্দুর রশিদ।    

এদিকে সদর উপজেলার নিউসাহাপুর এলাকার আলতাফ হোসেনের ছেলে আ: আজিজের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওযায় তাকে খালাস দেওয়া হয়।

আদালত সূত্রে জানা যায়, ভজন দেবনাথ সজল একজন অটোরিকশা চালক ছিলেন। ২০১৯ সালের ১৬ নভেম্বর সন্ধ্যা ৬টার দিকে তার নিজস্ব অটোরিকশাটি নিয়ে প্রতিদিনের ন্যায় ভাড়ায় চালানোর জন্য নিজ বাড়ি থেকে বের হন। তারপর ওই রাতে তিনি আর বাড়িতে ফিরেননি। এরপর স্বজনরা তাকে বিভিন্ন জায়গায় ও আত্মীয় স্বজনের বাড়িতে খোঁজাখুজি করেও কোনো সন্ধান পায়নি। পরের দিন ১৭ নভেম্বর সকালে নওগাঁ সদর উপজেলার হাঁসাইগাড়ি গোটার বিলে পাকা রাস্তা সংলগ্ন কাঁদা পানিতে কচুরি পানার মধ্যে থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় তার বাবা ভূপেনন্দ্রাথ দেবনাথ বাদী হয়ে নওগাঁ সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। দীর্ঘদিন ধরে চলা এ মামলায় ১৩জন সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আদালত এ রায় প্রদান করেন।

মামলার এ রায়ে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মনছুর আলী সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।

এসএকে/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ