মঙ্গলবার, ০১ জুলাই ২০২৫ ।। ১৬ আষাঢ় ১৪৩২ ।। ৬ মহর্‌রম ১৪৪৭


দেশের নাগরিকদের মাথাপিছু বৈদেশিক ঋণ ২৫ হাজার টাকা

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, দেশের নাগরিকদের বর্তমানে মাথাপিছু বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ ২৪ হাজার ৮৯০ টাকা।

বুধবার জাতীয় সংসদে দিদারুল আলম এমপির প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান। স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপিত হয়।

অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘স্বাধীনতার পর হতে বিভিন্ন ঋণ চুক্তির মাধ্যমে প্রাপ্ত অর্থ হতে আসল পরিশোধের পরে ৩০ জুন পর্যন্ত বর্তমানে বৈদেশিক ঋণের স্থিতি ৪৯ হাজার ৪৫৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। পরিসংখ্যান ব্যুরো হতে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী দেশে মোট জনসংখ্যা ১৬৯ দশমিক ৩১ মিলিয়ন। এই হিসেবে মাথাপিছু বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ ২৯২ দশমিক ১১ মার্কিন ডলার। প্রতি ডলার ৮৫ দশমিক ২১ টাকা হিসেবে বাংলাদেশি টাকায় এর পরিমাণ দাঁড়ায় ২৪ হাজার ৮৯০ টাকা ৬৯ পয়সা।’

জানান, বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগী দেশ ও সংস্থার সঙ্গে ৩০ জুন ২০২১ পর্যন্ত ঋণ চুক্তির পরিমাণ ৯৫ হাজার ৯০৮ দশমিক ৩৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। এর মধ্যে ৫৯ হাজার ৪৫৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ছাড় হয়েছে।

আ হ ম মুস্তফা কামাল অর্থমন্ত্রী জানান, বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগী দেশ-সংস্থার সঙ্গে ৩০ জুন ২১ পর্যন্ত ঋণ চুক্তির পরিমাণ ৯৫ হাজার ৯০৮ দশমিক ৩৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। এর মধ্যে ৫৯ হাজার ৪৫৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ছাড় হয়েছে। ছাড়ের অপেক্ষায় রয়েছে আরও ৪৬ হাজার ৪৫০ দশমিক ৩৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।

সংসদ সদস্য মামুনুর রশীদ কিরনের প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের মাধ্যমে প্রবাস ফেরত অভিবাসী বাংলাদেশি কর্মীদের দেশে পুনর্বাসনের জন্য তিন ধরনের ঋণ দেওয়া হচ্ছে। তা হলো পুনর্বাসন ঋণ (সাধারণ), বিশেষ পুনর্বাসন ঋণ (কোভিড-১৯) ও বঙ্গবন্ধু অভিবাসী বৃহৎ পরিবার ঋণ। এ ঋণ সেবার আওতায় গত ৩১ আগস্ট পর্যন্ত পাঁচ হাজার ৮৫৫ ঋণগ্রহীতার মধ্যে মোট ১৫৩ দশমিক ৯৮ কোটি ঋণ বিতরণ করা হয়েছে।

মামুনুর রশীদ কিরনের আরেক প্রশ্নের জবাবে মুস্তফা কামাল বলেন, ২৫ আগস্ট পর্যন্ত বাংলাদেশ ব্যাংকে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৪৮ হাজার ২৯ দশমিক ৫১ মিলিয়ন ডলার।

নেত্রকোনা-৩ আসনের সংসদ সদস্য অসীম কুমার উকিলের প্রশ্নের জবাবে আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, `বিগত ২০২০-২১ অর্থবছরে স্বপ্ন সুপার শপ হতে ৪৬ কোটি ৩০ লাখ, আগোরা হতে ১৯ কোটি ৩৩ লাখ, প্রিন্স বাজার হতে ৮ কোটি ৩২ লাখ ও ডিএসএস হতে ৫ লাখ টাকা ভ্যাট আদায় করা হয়েছে। আর লাজফার্মা হতে ৩২ লাখ ৬৬ হাজার টাকা ভ্যাট সরকারি কোষাগারে জমা হয়েছে।'

এনটি


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ