বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫ ।। ১ শ্রাবণ ১৪৩২ ।। ২১ মহর্‌রম ১৪৪৭


ভারতের ঐতিহাসিক ১০ দৃষ্টিনন্দন মসজিদ

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

কাজী আব্দুল্লাহ।। মসজিদ মুসলমানদের দলবদ্ধভাবে নামাজ পড়ার জন্য নির্মিত স্থাপনা। মসজিদ মুসলমানদের বিভিন্ন ধর্মীয় কার্যাবলীর প্রাণকেন্দ্র। মুসলমানদের কাছে সবচে’ সম্মানিত মসজিদ হলো তিনটি। যথা- মসজিদে হারাম, মসজিদে নববি এবং মসজিদে আকসা।

মুসলিম সমাজ আবর্তিত হয় মসজিদকে কেন্দ্র করে।ফলে বিশ্বের যেখানে রয়েছে মুসলমানের বাস সেখানেই গড়ে উঠেছে মসজিদ। যেখানে মসজিদ প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হয়নি, সেখানে ব্যবস্থা করা হয়েছে নামাজের স্থানের।

মসজিদ যে শুধু মুসলিম দেশেই রয়েছে তা নয়। মুসলমান দেশ ছাড়াও বিশ্বের অমুসলিম অনেক দেশেই অনেক ঐতিহাসিক মসজিদ রয়েছে।

বিশ্বে মোট মসজিদের সংখ্যা ২৫ লাখের বেশি। মুসলিম এবং অমুসলিম দেশ মিলিয়ে এই সংখ্যা। তবে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক মসজিদ রয়েছে প্রতিবেশী দেশ ভারতে। সেখানে মসজিদের সংখ্যা প্রায় তিন লাখ। সাম্প্রতিক এক জরিপে এ তথ্য জানা গেছে। আজ আওয়ার ইসলামের পাঠকদের জন্য ভারতের ১০ টি ঐতিহাসিক মসজিদের ইতিহাস তুলে ধরা হল-

জামে মসজিদ, দিল্লি

১৬৫৮ খ্রিস্টাব্দে দিল্লি'র জামে মসজিদের নির্মাণ কাজ শেষ হয়। জামে মসজিদ নামে এই মসজিদটি প্রসিদ্ধ। দিল্লির প্রাচীন মসজিদের মধ্যে এটি অন্যতম। এ মসজিদে এক সাথে ২৫ হাজার মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারেন।

মক্কা মসজিদ, হায়দ্রাবাদ

ভারতের হায়দ্রাবাদের প্রাচীন মসজিদসমূহের মধ্যে অন্যতম মক্কা মসজিদটি। সেখানে বড় মসজিদ সমূহের মধ্যে এটি একটি। তেলেঙ্গানা এবং অন্ধ্রপ্রদেশ রাজ্যের মিলনস্থল এবং কেন্দ্রীয় শহর হচ্ছে হায়দ্রাবাদ। পবিত্র নগরী মক্কার মাটি দিয়ে এই মসজিদের খিলান নির্মাণ করা হয়েছে। আর এ কারণে এই মসজিদের নামকরণ মক্কা করা হয়েছে।

বারা ইমামবাড়া, লখনৌ

ভারতে দুর্ভিক্ষ চলাকালীন সময়ে যুবকদের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করার জন্য এই মসজিদটি নির্মাণ করা হয়েছে। স্তম্ভ বিহীন এই বৃহৎ মসজিদটি দীর্ঘ দিন যাবত অক্ষত রয়েছে।

জামালি কামালি মসজিদ, দিল্লি

মসজিদটি ১৬০০ শতকের দিকে নির্মাণ করা হয়।দিল্লির মেহরাউলি পার্কে এটি অবস্থিত।

জামিয়া মসজিদ, শ্রীনগর

১৪০২ খ্রিস্টাব্দে শ্রীনগরে জামিয়া মসজিদটি নির্মাণ করা হয়। ৩৭০টি কাঠের স্তম্ভের উপর এই মসজিদটি নির্মাণ করা হয়েছে। শ্রীনগরের বৃহৎ মসজিদের মধ্যে এটি অন্যতম। ঐতিহাসিক জামিয়া মসজিদে এ পর্যন্ত তিনবার আগুন লেগেছে এবং প্রতিবারই মেরামত করা হয়েছে।

নাজিনা মসজিদ, আগ্রা

আগ্রার নাজিনা মসজিদটি মোঘল শাসনামলে বাদশাহ শাজাহান নির্মাণ করেছিলেন। এই মসজিদটি নির্মাণের জন্য সাদা মার্বেল পাথর ব্যবহার করা হয়। মসজিদের পাশেই মিনা বাজার নামে একটি বড় বাজার রয়েছে। বাদশাহ শাজাহান এই বাজারটি তার স্ত্রীর জন্য নির্মাণ করা হয়েছে।

আদেহী দ্বীন কা জাহানবারা, আজমির

ভারতের রাজস্থান রাজ্যের আজমির শহরে একটি মন্দির এবং সংস্কৃত স্কুলের ধ্বংসাবশেষে 'আদেহী দ্বীন কা জাহানবারা' মসজিদটি ১১৯৯ সালে গড়ে উঠে। ভারতের প্রাচীন মসজিদসমূহের মধ্যে এটি অন্যতম একটি মসজিদ।

জামে মসজিদ, আগ্রা

ভারতবর্ষে মোঘল কীর্তির বিখ্যাত তিনটি জামে মসজিদ রয়েছে। এর দ্বিতীয়টি হলো আগ্রা জামে মসজিদ, যা আকারে দিল্লি জামে মসজিদ থেকে কিছুটা বড়। এ মসজিদ বাদশাহ শাহজাহানের কন্যা জাহানারার অবদানে নির্মিত।

হযরতবল মসজিদ, শ্রীনগর

ভারতের শ্রীনগরে বল্ মসজিদটি ১৭ শতাব্দীতে নির্মাণ করা হয়। 'ডাল' হ্রদের পশ্চিমে এই মসজিদটি সাদা মার্বেল পাথর দিয়ে নির্মাণ করা হয়েছে। ভারতে ইসলাম ধর্মের পবিত্র স্থান সমূহের মধ্যে বল্ মসজিদ অন্যতম। মোঘল এবং কাশ্মীরী স্থাপত্যের শৈলীতে এই মসজিদটি নির্মাণ করা হয়েছে।

তাজ আল-মমসজিদ, ভোপাল

এই মসজিদের নির্মাণ কাজ ১৯৮৫ খ্রিস্টাব্দে সম্পন্ন হয়। এশিয়ার বৃহত্তম মসজিদের মধ্যে এটি অন্যতম। এই মসজিদটি 'তাজ আল-মুজাহিদিন মসজিদ' অথবা 'তাজ আল-মাসাজিদ' নামে বিখ্যাত। এই মসজিদের পাশে ইসলামী জ্ঞান অর্জনের জন্য একটি মাদ্রাসা রয়েছে।

-এটি


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ