বৃহস্পতিবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৫ ।। ২১ কার্তিক ১৪৩২ ।। ১৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
সৌদিতে সভা-সমাবেশ নিয়ে কঠোর সতর্কতা বাংলাদেশ দূতাবাসের ট্রাম্পের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর প্রত্যয় জোহরান মামদানির প্রধান উপদেষ্টার কাছে জামায়াতে ইসলামীসহ ৮ দলের স্মারকলিপি দেবে আজ প্রথম মুসলিম দেশ হিসেবে তামাক নিষিদ্ধের ঘোষণা দিল মালদ্বীপ 'বাঙ্গরাবাজার থানা’ উপজেলা হলে খুলে যাবে সম্ভাবনার নতুন দুয়ার হজ চুক্তি সই করতে সৌদি আরব যাচ্ছেন ধর্ম উপদেষ্টা জোটে ভোট কাটে রাজনীতির ঠোঁট ভারতের প্রেসক্রিপশনে আন্দোলন সফল হতে দেবে না জনগণ: মাওলানা ইউসুফী ‘বিএনপি ক্ষমতায় এলে প্রতিটি স্কুল-কলেজে ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগের চেষ্টা করব’ বিএনপি-জামায়াতের বাইরে নতুন রাজনৈতিক জোটের উদ্যোগ এনসিপির

সিরিয়া সীমান্তের অধিকাংশ এলাকা তুরস্কের নিয়ন্ত্রণে

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: তুরস্ক-সিরিয়া সীমান্তের অধিকাংশ এলাকা এখন তুরস্কের দখলে। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যিপ এরদোগান এই তথ্য জানিয়েছেন।

শুক্রবার তুরস্কের দক্ষিণ প্রদেশ কিলিসের এক খাল উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এরদোগান বলেন, আঞ্চলিক অখণ্ডতা রক্ষা এবং রাজনৈতিক একতা ধরে রাখতে পারলে সিরিয়া ভবিষ্যত উজ্জ্বল। আমরা প্রতিবেশির জন্য সেটা নিশ্চিত করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাব।

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট বলেন, আমাদের সরকার এখন পর্যন্ত যত গুরুত্বপূর্ণ কাজ করেছে তার মধ্যে অন্যতম সেরা কাজ হলো-‘উত্তম বোঝাপড়া’। তুরস্ক ২০২৩ সালের টার্গেট বাস্তবায়নের সন্নিকটে রয়েছে।

এরদোগান বলেন, আমাদের ‘শক্তিশালী’ তুরস্ক নির্মাণের প্রতিজ্ঞা বাস্তবায়ন করতে হবে। তুরস্কের সকল বন্ধু এবং প্রতিবেশি রাষ্ট্র আমাদের নিয়ে স্বপ্ন দেখে।

তুরস্কের সর্বাধিক জনপ্রিয় সংবাদপত্র ডেইলি হুরিয়াতের খবরে বলা হয়েছে, ২০১৬ সালের ২৪ আগস্ট তুরস্ক ‘ইউফ্রেটস শিল্ড’ নামে  সংগঠন আইএসের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করে। সিরিয়া থেকে বাস্তচ্যুত হওয়া লাখ লাখ মানুষ এই অভিযানের ফলে নিরাপদে সিরিয়ায় ফিরতে সক্ষম হয়।

আইএসের বিরুদ্ধে তুরস্ক আরও দুটি সফল অভিযান চালিয়েছে। সেই দুটি অভিযান হলো, ২০১৮ সালে অলিভ ব্রাঞ্চ এবং ২০১৯ সালে পিস স্প্রিং। তুরস্কের এ অভিযানের লক্ষ্য হলো বিদ্রোহী গোষ্ঠী পিকেকের পিপলস প্রটেকশন ইউনিটকে তুরস্ক-সিরিয়া সীমান্ত থেকে হঠিয়ে দেওয়া।

সিরিয়ায় কেন যুদ্ধে জড়িয়েছে তুরস্ক?

প্রথমত, সিরিয়ার সাথে তুরস্কের দীর্ঘ সীমান্ত আছে। ইদলিবে তাদের অভিযানের উদ্দেশ্য হচ্ছে উত্তর-পশ্চিম সিরিয়ায় একটি নিরাপদ এলাকা তৈরি করা - যাতে যুদ্ধের কারণে সিরিয়া থেকে পালাতে থাকা বেসামরিক লোকদের সিরিয়ার ভূখণ্ডের ভেতরেই আশ্রয় দেয়া যায় এবং তারা তুরস্কের ভেতরে ঢুকে না পড়ে।

তুরস্কে প্রায় ৩৭ লাখ সিরিয়ান অভিবাসীকে আশ্রয় দিয়েছে এবং তাদের দেশে আর কাউকে আশ্রয় দেবার জায়গা নেই।

এ ছাড়া প্রেসিডেন্ট এরদোগান বাশার আসাদের কট্টর বিরোধী। আরও একটি গভীর কারণ হলো সিরিয়ায় যে কুর্দি জনগোষ্ঠী আছে তারা যেন বাশার আসাদবিরোধী বিদ্রোহের সুযোগে তুরস্ক সীমান্তবর্তী এলাকায় নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে না পারে - সেই চেষ্টা করে চলেছে তুরস্ক। তুরস্ক চায়, সীমান্ত এলাকা থেকে কুর্দিদের তাড়িয়ে অন্য প্রায় ২০ লাখ সিরিয়ানদের সেখানে পুনর্বাসিত করতে।

এনটি


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ