মালদ্বীপ বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে প্রজন্মভিত্তিক তামাক নিষেধাজ্ঞা চালু করেছে। ২০০৭ সালের পর জন্ম নেওয়া ব্যক্তি এখন থেকে তামাকজাত পণ্য ক্রয় বা ব্যবহার করতে পারবেন না। এ বিধি অনুসারে, শুধুমাত্র ২০০৭ সালের ১ জানুয়ারির আগে জন্ম নেওয়া মানুষই তামাক পণ্য ব্যবহার করতে পারবেন।
এই আইন চলতি সপ্তাহের শুরুতে কার্যকর হয়েছে এবং মালদ্বীপের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এর বাস্তবায়ন ও তদারকির দায়িত্ব নিয়েছে। ই-সিগারেট এবং ভ্যাপ ব্যবহারের নিষেধাজ্ঞা আগের মতোই বজায় থাকবে।
মালদ্বীপ হলো বিশ্বের প্রথম দেশ যেখানে এই প্রজন্মভিত্তিক তামাক নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করা হলো। নতুন নিয়ম অনুযায়ী, খুচরা বিক্রেতাদের ক্রেতার বয়স যাচাই করে তামাক বিক্রির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, যাতে ২০০৭ সালের পর জন্ম নেওয়া প্রজন্মকে তামাকমুক্ত রাখা সম্ভব হয়।
এই নিষেধাজ্ঞা সমস্ত ধরনের তামাকজাত পণ্যের ওপর প্রযোজ্য, যা পূর্বে আরোপিত ই-সিগারেট ও ভ্যাপ নিষেধাজ্ঞার ওপর ভিত্তি করে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) জানিয়েছে, মালদ্বীপে ১৫ বছরের ঊর্ধ্বে প্রায় ২৫% মানুষ তামাক ব্যবহার করেন, এবং ১৩-১৫ বছর বয়সী কিশোরদের মধ্যে এই হার প্রায় ৫০% (২০২১ সালের জরিপ অনুযায়ী)।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা তামাককে বিশ্বের অন্যতম মারাত্মক জনস্বাস্থ্য হুমকি হিসেবে চিহ্নিত করেছে, যা প্রতিবছর প্রায় ৭০ লাখ মানুষের মৃত্যু ঘটায়। মালদ্বীপের এই উদ্যোগ মুসলিম বিশ্বের জন্য একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ, যা ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে তামাকমুক্ত রাখার জন্য এক বড় অঙ্গীকার।
স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, প্রায় পাঁচ লাখ জনসংখ্যার মালদ্বীপে এটি একটি বড় জনস্বাস্থ্য সমস্যা মোকাবিলার জন্য গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।
এদিকে, মালদ্বীপের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শুভকামনা জানিয়েছেন সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা।
এনএইচ/