রবিবার, ২২ জুন ২০২৫ ।। ৮ আষাঢ় ১৪৩২ ।। ২৬ জিলহজ ১৪৪৬


আল্লাহকে চেনার জন্যই চরমোনাই ময়দান: দ্বিতীয় দিনের বয়ানে চরমোনাই পীর

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

মোস্তফা ওয়াদুদ: ‘আমাদের জীবনের মাকসাদ হবে একটাই। সেটা হলো আল্লাহকে চেনা। আর আল্লাহকে চেনার জন্যই চরমোনাই ময়দান।’ ঐতিহাসিক ৩দিন ব্যাপী চরমোনাই মাহফিলের দ্বিতীয় দিনের প্রথম বয়ানে এসব কথা বলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর ও চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম।

তিনি বলেন, দুনিয়ার জীবন সামান্য সময়ের জন্য। আখেরাতের জীবন অনন্তকালের জীবন। যার শুরু আছে শেষ নেই। আমাদেরকে আখেরাতের পুঁজি অর্জন করতে হবে। দুনিয়ার মোহ ত্যাগ করতে হবে। তবেই আমরা সফলকাম হতে পারবো।

গীবতের ভয়াবহতার কথা উল্লেখ করে চরমোনাই পীর বলেন, গীবত পরিত্যাগ করতে হবে। গীবতের পরিণাম অত্যন্ত ভয়াবহ। নিজের মৃত ভাইয়ের গোশত খাওয়ার সাথে তুলনা করা হয়েছে গীবতকে। নিশ্চয় আমরা কেউ নিজের মৃত ভাইয়ের গোশত ভক্ষণ করতে চাইবো না। অতএব গীবত নামক ব্যাধি দূর করতে হবে নিজের থেকে। কলবকে গুনাহ মুক্ত করতে হবে। ঈমানের নুরে আলোকিত করতে হবে নফসকে।

আজ বৃহস্পতিবার বাদ ফজর পবিত্র কুরআনুল কারীমের তেলাওয়াত, এশকের গজল ও পীর সৈয়দ রেজাউল করীমের বয়ানের মাধ্যমে মাহফিলের দ্বিতীয় দিনের প্রথম অধিবেশন শুরু হয়েছে।

সৈয়দ রেজাউল করীমের বয়ানের সময় পীনপতন নিরবতা বিরাজ করে মাঠজুড়ে। কখনো কান্নার রোল পড়ে যায় চরমোনাইয়ের জমিনে। কখনো আবার মাওলার প্রেমে হারিয়ে যায় চরমোনাইয়ে আগত হেদায়াত প্রত্যাশী মুসল্লিরা।

সৈয়দ রেজাউল করীমের বয়ানের পর হালকায়ে জিকির অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় চরমোনাইয়ের মাঠ-ঘাট প্রকম্পিত হয়ে উঠে। এক মুগ্ধ করা সুর বিরাজ করে চরমোনাইয়ের আকাশে-বাতাসে।

সরেজমিনে দেখা যায়, লক্ষ লক্ষ মানুষ অংশ নিয়েছে চরমোনাইয়ের ঐতিহাসিক ফাল্গুনের মাহফিলে। চরমোনাইয়ের পাঁচটি মাঠ কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে গেছে। মুসল্লিগণ আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য অবস্থান করছেন বিশাল সামিয়ানার নিচে। সবার মুখে আল্লাহ আল্লাহ জিকির। আশেকীন জাকেরীনের জিকিরে মুখরিত চরমোনাই ময়দান। আখেরাতের পুঁজি লাভই একমাত্র তাদের ব্রত। দুনিয়ার কোনোদিকে তাদের নজর নেই। নেই দুনিয়াবী স্বার্থের কোনো চিন্তা। আল্লাহর সন্তুষ্টিই একমাত্র উদ্দেশ্য।

জানা গেছে, মাহফিলের ৩দিনে মোট ৭টি বয়ান হবে। এর মাঝে ৫টি বয়ান করবেন চরমোনাইয়ের প্রধান পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম। এ ৫ বয়ানের ২ টি ইতোমধ্যে করে ফেলেছেন চরমোনাইয়ের প্রধান পীর। আর ২টি বয়ান করবেন চরমোনাইয়ের নায়েবে পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম।

মাহফিলে বিজ্ঞ আলেমদের বয়ানের পাশাপাশি ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, বাংলাদেশ কুরআন শিক্ষা বোর্ড, ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলনের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে মাহফিলের মূল স্টেজে। এছাড়াও মাহফিলে আগত বিদেশী উলামায় কেরামগণ মুসল্লিদের উদ্দেশ্যে বয়ান করবেন বলে জানা গেছে।

চরমোনাইয়ের ঐতিহাসিক ৩ দিনব্যাপী ফাল্গুনের এ মাহফিল চলবে আগামী ২৭ তারিখ বাদ ফজর পর্যন্ত। চরমোনাই পীর সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীমের আখেরী মুনাজাতের মাধ্যমে ২৭ ফেব্রুয়ারি (শনিবার) বাদ ফজর শেষ হবে এ মাহফিল।

-এএ


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ