রবিবার, ১৯ মে ২০২৪ ।। ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ ।। ১১ জিলকদ ১৪৪৫


পর্নোগ্রাফিতে সয়লাব দেশ; উত্তরণের পথ কী?

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

মুসা আল হাফিজ
লেখক, কলামিষ্ট>

সারা ব্রিটেনে ২০১৯ সালে ১৮ থেকে ২৫ বছর বয়সী লোকজনের ওপর চালানো এক জরিপে দেখা গেছে, ৭৭% পুরুষ এবং ৪৭% নারী বলেছে যে জরিপের আগের মাসে তারা পর্নোগ্রাফি দেখেছে। সূত্র: বিবিসি

বাংলাদেশে ৩০-৩৫ বছর বয়সী ইন্টারনেট ব্যবহার কারীদের মধ্যে চালানো জরিপে দেখা গেছে, তাদের শতভাগই একবার হলেও পর্নোগ্রাফি দেখেছেন৷ নিয়মিত পর্নোগ্রাফি দেখেন ৯০ ভাগ৷ আর যুবনারীদের মধ্যে সংখ্যাটা শতকরা ৫০ ভাগ৷ সূত্র : মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন

পর্ণোগ্রাফি বাংলাদেশে কী প্রলয় নিয়ে আসছে, সেটা কল্পনা করাও কঠিন। বিশেষত কিশোরদের পর্ণো আসক্তি ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। তরুণরা উচ্ছন্নে যাচ্ছে। সিক্স থেকে এইট পড়তে না পড়তেই ষাট ভাগের অধিক শিক্ষার্থী পর্নো দেখার অভিজ্ঞতা লাভ করছে। তাদের প্রধান এক অংশ তলিয়ে যাচ্ছে গভীর অন্ধকারে!

এ সমস্যা নিয়ে আমরা ভাবছি।
- কী করা যেতে পারে?
করণীয় অনেক কিছুই আছে। সমস্যাটির মুখোমুখি হতে হবে, অন্য উপায় নেই। সরকার, শিক্ষক, অভিভাবক, সামাজিক ও ধর্মীয় নেতৃত্ব, ভার্চুয়াল এক্টিভিস্ট সবারই করার আছে। শিশু-কিশোর-মনোলোকেও কাজ করতে হবে।

এ সমস্যা নিয়ে উদ্বিগ্ন ও সক্রিয়, এমন কিছু তরুণ জানালেন, এ ময়দানে কাজের ক্ষেত্রে বিভিন্ন সমস্যার কথা। একটি সমস্যা নিয়ে আজ বলি।

ইসলামপন্থীদের অনেকেই এ কাজে বাঁধা হয়ে দাঁড়ান। তারা বলেন, এ নিয়ে আলাপ জারি থাকলে এটি আরো ছড়াবে।যারা জানে না, তারাও জানবে। একে চেপে যেতে হবে।

এটি সমস্যার বিস্তার ও ভয়াবহতা থেকে অজ্ঞতার ফসল। পর্ণো আসক্তি বাংলাদেশে ইতোমধ্যে সামাজিক রূপ পেয়ে গেছে। দেশি-বিদেশী সমস্ত জরিপ এ কথাই বলছে।

চারদিকে ঝড় বয়ে যাচ্ছে। আপনি বালিতে মাথা লুকিয়ে বলতে পারেন না, ঝড় আসলে নেই! এর মুখোমুখি হতে ইতোমধ্যে অনেক বিলম্ব হয়ে গেছে। এবার একে উপেক্ষা করে আর রক্ষে নেই!

-এএ


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ