রবিবার, ০২ নভেম্বর ২০২৫ ।। ১৬ কার্তিক ১৪৩২ ।। ১১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
জাকির নায়েক ইস্যুতে ভারত সরকারের মন্তব্যের জবাব দিল ঢাকা ৭২-এর সংবিধান বাতিল করতে হবে : ইবনে শায়খুল হাদিস রিটার্নিং কর্মকর্তারা ভোটগ্রহণ স্থগিত করতে পারবেন: ইসি আনোয়ারুল গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে ভারতীয় জেলে আটক করেছে পাকিস্তান জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি ছাড়া নির্বাচন মানবে না জনগণ : মামুনুল হক ইসলামিক দলগুলো ছাড়া অন্য দলগুলোর মধ্যে সমন্বয় নেই : হাসনাত আবদুল্লাহ খতমে নবুওয়ত মহাসম্মেলন সফল করতে গোপালগঞ্জে ওলামা-মাশায়েখ  সম্মেলন অনুষ্ঠিত সৌদির শাসকদের নিয়ে যা বললেন গ্র্যান্ড মুফতি কওমি শিক্ষার্থীদের দেশ-জাতির সেবায় নিয়োজিত করার বিষয়টি কোথায় আটকে আছে? ৪ দিনের কর্মসূচির ঘোষণা প্রাথমিক শিক্ষকদের

কুরবানির পশু কেনাবেচা: 'হাসিল' আদায় না করা ধোঁকার শামিল

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

তানভীর সিরাজ: কুবানির মান বার্তা নিয়ে আমাদের সামনে পবিত্র ঈদুল আজহা উপস্থিত হতে চলেছে। সামর্থবানরা এ সময় কুরবানি  করবেন। ইতোমধ্যে রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে কুরবানির পশু বিক্রি শুরু হয়ে গেছে। আমরা অনেকেই কুরবানি করব। বাজার থেকে পশু কেনারও প্রস্তুতি নিয়েছি অনেকে। এক্ষেত্রে আমাদের লক্ষ্য রাখতে হবে- কুরবানির হাট কেন্দ্রিক নির্ধারিত 'হাসিল' (বাজার খরচ) বা ধার্য্য অর্থ হাট মালিকদের দিতে হবে। অন্যথায়, পশু ক্রেতা-বিক্রেতা উভয় গুনাহগার হবে। এটি কবিরা গুনাহর অন্তর্ভুক্ত।

প্রতি ১০০০- এ ৫০ টাকা 'হাসিল' দিয়েই বাজার থেকে পশু কিনতে হবে। তাহলে ৫০ হাজার টাকা দামের পশুর 'হাসিল' আসবে ১০০০ টাকা। বাজার খরচ বা 'হাসিল' আদায় না করা বিশেষ করে গ্রামেগঞ্জে দেখা যায়, ক্রেতা বিক্রেতা যখন একটা সিদ্ধান্তে ও দামদরে পৌঁছে তখন একে অপরের গোপন ইশারায় বিক্রেতা পশু নিয়ে বাজার থেকে দূরে চলে যায়। বিক্রেতা পরিচিত হলে তার বাড়ি থেকেই কুরবানির পশুটি নিয়ে যায়। অথচ পশুর দেখা বিক্রেতার বাড়িতে মেলেনি, মিলেছে অন্যের ভাড়া করা বাজারে।

বাজার হল অন্যের মালিকানাধীন একটি জায়গা, যা মালিক কতৃপক্ষ ভাড়া নিয়েছে একপক্ষ, এবং 'হাসিল' দিতে হবে এইপক্ষকে। তাই কুরবানির পশু বেচাকেনার জায়গাদারের হক বা 'হাসিল' আদায় না করে কুরবানির পশু পছন্দের পর চুক্তি করে হাছিল না দিয়ে বাজার থেকে পশু সরিয়ে ফেলা আর গোপনে কেনাবেচা করা- মারাত্মক গোনাহ। ক্রেতা বিক্রেতা উভয়ে 'হাসিল' চুরি করে পশু বিক্রির প্রতি অন্যদেরকেও উৎসাহিত করার নামান্তর, যা সম্পূর্ণভাবে হারাম। (সূরা মায়েদা, সূরা নিসা, আয়াত: ২৯ # ফাতাওয়া রশীদিয়া, ৪৯৯, # ফাতাওয়া মাহমুদিয়া,খ. ১১, পৃ. ২৮০)

এই বেচাকেনা ততক্ষণ পরিপূর্ণ হালাল হবে না যতক্ষণ বাজার মালিককে 'হাসিল' চুরির টাকা ফিরিয়ে দেয়া হবে না। তখন কুরবানিরও পূর্ণতা পাবে।

আল্লাহর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম- বলেছেন, من غشنا فليس منا

অর্থ: যে ব্যক্তি ধোঁকা দেয়, সে আমাদের দলভুক্ত নয়। (সুনানে তিরমিযি, হাদিস নং- ১২৩৬)

'হাসিল' আদায় না করাও একধরণের ধোঁকাবাজি। তবে এ 'হাসিল'-চুরি ঐসব এলাকা বা দেশে বৈধ হতে পারে যেসব এলাকা বা দেশে মুসলমানদের কোনও অধিকার চলে না বরং অমুসলিমদের রাজত্ব বিরাজমান। যেখানে সামর্থ্যবান মুসলমান কুরবানি করতে অনুমতি পাচ্ছে না সেখানে গোপনে ওয়াজিব এই আমল করতে এ হাছিল বৈধ হবে। কারণ সেখানে বাজার মালিকসহ মৌলিক সবাই আল্লাহর বিধানের শত্রু।

আরএম/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ